উত্তর : বর্তমানে বিউটিশিয়ানদের মাধ্যমে মেয়েরা যেভাবে রূপচর্চা করছে এবং চুল ছেঁটে, ভ্রু চিকন করে ও উলকী ব্যবহারের মাধ্যমে সৌন্দর্য বৃদ্ধি করছে, তা শরী‘আত সম্মত নয়। আব্দুল্লাহ ইবনু মাসঊদ রাযিয়াল্লাহু আনহুমা হতে বর্ণিত, তিনি বলেন, ‘সৌন্দর্য বৃদ্ধির উদ্দেশ্যে শরীরে উলকি অঙ্কনকারী, উলকি গ্রহণকারী, চুল-ভ্রু উত্তোলনকারী, দাঁত চিকনকারী ও দাঁতের মাঝে ফাঁক সৃষ্টিকারী নারীদের প্রতি আল্লাহ লা‘নত করেছেন। কেননা তা তাঁর সৃষ্টিকে পরিবর্তন করে দেয়’.... (ছহীহ বুখারী, হা/৫৯৩১; ছহীহ মুসলিম, হা/২১২৫; মিশকাত, হা/৪৪৩১)| নবী ছাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়াসাল্লাম আরো বলেন, ‘কৃত্রিম চুল ব্যবহারকারী ও এর বেশধারী এবং শরীরে উলকি অঙ্কনকারী ও উলকি গ্রহণকারী নারীদের প্রতি আল্লাহ তা‘আলা লা‘নত করেছেন’ (ছহীহ বুখারী, হা/৫৯৩৩; ছহীহ মুসলিম, হা/২১২২; মিশকাত, হা/৪৪৩০)।
উল্লেখ্য যে, পার্লারের বিউটিশিয়ানরা যুবতী মেয়েদের সাজানোর সময় তাদের শরীরের বিভিন্ন অঙ্গ-প্রত্যঙ্গ স্পর্শ ও দর্শন করে তা স্বামী বা অন্যের নিকটে প্রকাশ করতে পারে। ফলে তারা তাদেরকে অন্তরের চোখ দিয়ে কল্পনা করে ও দেখে থাকে। যা যিনার শামিল। আব্দুল্লাহ ইবনু মাস‘ঊদ রাযিয়াল্লাহু আনহুমা হতে বর্ণিত। রাসূল ছাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়াসাল্লাম বলেন, ‘কোনো নারী যেন অপর কোনো নারীর সাথে ঘনিষ্ঠতার সাথে সাক্ষাতের পরে স্বীয় স্বামীর সামনে উক্ত নারীর (রূপের) এরূপ বর্ণনা না করে, যাতে স্বামী যেন তাকে দেখছে’ (ছহীহ বুখারী, হা/৫২৪০; ছহীহ মুসলিম, হা/২১২২; মিশকাত, হা/৩০৯৯)। অতএব এরূপে রূপ চর্চা করা যাবে না। তবে নিষিদ্ধ সামগ্রী ব্যতীত বৈধ সামগ্রী দ্বারা বাড়ীতে স্বামীর মনোরঞ্জনের জন্য সাজতে পারে।
 
                             
                        
 
        
    