উত্তর: এমতাবস্থায় ভদ্রতা বজায় রেখে নরম ভাষায় নিয়মিত মাকে বুঝানোর চেষ্টা করবে। কোনো সময় খারাপ আচরণ করা যাবে না। আসমা বিনতু আবূ বকর রাযিয়াল্লাহু আনহুমা হতে বর্ণিত, তিনি বলেন, আমার মা, যিনি মুশরিকা ছিলেন। তার পিতার সঙ্গে আমার নিকট এলেন, যখন আল্লাহর রাসূল ছাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়াসাল্লাম-এর সঙ্গে কুরাইশরা চুক্তি করেছিল। তখন আসমা রাযিয়াল্লাহু আনহা আল্লাহর রাসূল ছাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়াসাল্লাম-কে জিজ্ঞেস করলেন, হে আল্লাহর রাসূল ছাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়াসাল্লাম! আমার মা আমার কাছে এসেছেন। তিনি ইসলামের প্রতি আসক্ত নন। আমি কি তার সঙ্গে ভালো ব্যবহার করব? আল্লাহর রাসূল ছাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়াসাল্লাম বললেন, ‘হ্যাঁ, তাঁর সঙ্গে সদ্ব্যবহার করো (ছহীহ বুখারী, হা/৩১৮৩)। সাথে সাথে নিয়মিত তাকে যেমন দাওয়াত দিতে হবে তেমনি এমন মায়ের জন্য দু‘আ করতে হবে। কেননা দু‘আয় মানুষের ভাগ্যের পরিবর্তন ঘটায়। রাসূলুল্লাহ ছাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়াসাল্লাম বলেছেন, ‘দু‘আ ব্যতীত অন্য কোনো কিছুই ভাগ্যের পরিবর্তন করতে পারে না’ (তিরমিযী, হা/২১৩৯)। তারপরও যদি মা তার পূর্বের কর্মের উপর অটল থাকে এবং সঠিক পথে ফিরে না আসে, তাহলে এর দায়ভার সন্তানের উপর আসবে না। আল্লাহ তাআলা বলেন, ‘কেউ অন্য কারো ভার বহন করবে না’ (আল-ইসরা, ১৭/১৫)।
প্রশ্নকারী : রিদয় মিয়া
বেলাব, নরসিংদী।