কুরআন ও সুন্নাহকে আঁকড়ে ধরার এক অনন্য বার্তা

প্রশ্ন (২৮) : আমাদের সমাজের মসজিদে অর্থ না থাকায়, ইমাম মুয়াযযিনের বেতন বাবদ সমাজের লোকদের থেকে চাঁদা আদায়ের মাধ্যমে প্রদান করা হয়। এতে কিছু বেনামাযী ও মসজিদে ছালাত আদায় করতে আসে না এমন লোক চাঁদা প্রদানে অস্বীকৃতি জানালে তাদেরকে একঘরে করে দেওয়াসহ বিভিন্ন ভয়ভীতি দেখিয়ে জোরপূর্বক চাঁদা আদায় করা হয়। এটা কি জায়েয?

উত্তর : যাকাত ব্যতীত ঐচ্ছিক দানের ক্ষেত্রে কাউকে বাধ্য করা জায়েয নেই। কারো সম্পদ ভক্ষণ করা বা ব্যবহার করা তার মনসম্মতি ছাড়া বৈধ হবে না। আবূ হুরায়রা আর-রাক্বাশী তার চাচা থেকে বর্ণনা করেন, তিনি বলেন, রাসূলুল্লাহ ছাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়াসাল্লাম বলেছেন, ‘খরবদার! তোমরা যুলম করো না। খবরদার জেনে রেখো, কোনো ব্যক্তির সম্পদ তার সম্মতি ছাড়া ব্যবহার করা বৈধ হবে না’ (মুসনাদে আহামদ, হা/২১১১৯; মিশকাত, হা/২৯৪৬)। কারো থেকে জোরপূর্বক তার অসম্মতিতে সম্পদ নিয়ে নেওয়াকে ছিনতাই বলে। ছিনতাইয়ের মাল বা লোকলজ্জার ভয়ে যদি কেউ সম্পদ দান করে (আসলে দান করার ইচ্ছা ছিল না) তাহলে এ ধরনের সম্পদ ব্যবহার করা বৈধ হবে না। বিদায় হজ্জের ভাষণে মহানবী ছাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়াসাল্লাম যে ঐতিহাসিক বক্তব্য পেশ করেছিলেন তার একটি অংশ হলো, ‘তোমাদের রক্ত, সম্পদ, ও সম্মানহানি করা তোমাদের জন্য হারাম’ (ছহীহ মুসলিম, হা/৩০০৯; ইবনু মাজাহ, হা/৩০৭৪)। তবে মানুষ সামাজিক জীব। মানুষ সমাজ ছাড়া একাকি জীবন যাপন করতে পারে না। সামাজিক প্রয়োজনে সমাজ নেতা সমাজের মানুষের কাছে কোনো সাহায্য-সহযোগিতা চাইলে তাতে নিজ নিজ সামর্থ্য অনুযায়ী এগিয়ে আসা ঐ সমাজে বসবাসরত সকল সদস্যের নৈতিক দায়িত্ব ও কর্তব্য। আল্লাহ বলেন, ‘তোমরা সৎকর্ম ও তাক্বওয়ার কাজে পরস্পরকে সহযোগিতা করো; পাপ ও সীমাংলঙ্ঘনের কাজে সহযোগিতা করো না’ (আল-মায়েদা, ৫/২)।

প্রশ্নকারী : মো : সেকেন্দার আলী

বাগমারা, রাজশাহী


Magazine