কুরআন ও সুন্নাহকে আঁকড়ে ধরার এক অনন্য বার্তা

অহির বাস্তবতা বিশ্লেষণ (১৭তম পর্ব)

post title will place here

(মিন্নাতুল বারী- ২৪তম পর্ব)

হাদীছ নং : ৬ (বাকী অংশ)

وَكَانَ ابْنُ النَّاظُورِ، صَاحِبُ إِيلِيَاءَ وَهِرَقْلَ، سُقُفًّا عَلَى نَصَارَى الشَّأْمِ يُحَدِّثُ أَنَّ هِرَقْلَ حِينَ قَدِمَ إِيلِيَاءَ، أَصْبَحَ يَوْمًا خَبِيثَ النَّفْسِ، فَقَالَ بَعْضُ بَطَارِقَتِهِ: قَدِ اسْتَنْكَرْنَا هَيْئَتَكَ، قَالَ ابْنُ النَّاظُورِ: وَكَانَ هِرَقْلُ حَزَّاءً يَنْظُرُ فِي النُّجُومِ، فَقَالَ لَهُمْ حِينَ سَأَلُوهُ: إِنِّي رَأَيْتُ اللَّيْلَةَ حِينَ نَظَرْتُ فِي النُّجُومِ مَلِكَ الخِتَانِ قَدْ ظَهَرَ، فَمَنْ يَخْتَتِنُ مِنْ هَذِهِ الأُمَّةِ؟ قَالُوا: لَيْسَ يَخْتَتِنُ إِلَّا اليَهُودُ، فَلاَ يُهِمَّنَّكَ شَأْنُهُمْ، وَاكْتُبْ إِلَى مَدَايِنِ مُلْكِكَ، فَيَقْتُلُوا مَنْ فِيهِمْ مِنَ اليَهُودِ. فَبَيْنَمَا هُمْ عَلَى أَمْرِهِمْ، أُتِيَ هِرَقْلُ بِرَجُلٍ أَرْسَلَ بِهِ مَلِكُ غَسَّانَ يُخْبِرُ عَنْ خَبَرِ رَسُولِ اللهِ صَلَّى اللهُ عَلَيْهِ وَسَلَّمَ، فَلَمَّا اسْتَخْبَرَهُ هِرَقْلُ قَالَ: اذْهَبُوا فَانْظُرُوا أَمُخْتَتِنٌ هُوَ أَمْ لاَ، فَنَظَرُوا إِلَيْهِ، فَحَدَّثُوهُ أَنَّهُ مُخْتَتِنٌ، وَسَأَلَهُ عَنِ العَرَبِ، فَقَالَ: هُمْ يَخْتَتِنُونَ، فَقَالَ هِرَقْلُ: هَذَا مُلْكُ هَذِهِ الأُمَّةِ قَدْ ظَهَرَ. ثُمَّ كَتَبَ هِرَقْلُ إِلَى صَاحِبٍ لَهُ بِرُومِيَةَ، وَكَانَ نَظِيرَهُ فِي العِلْمِ، وَسَارَ هِرَقْلُ إِلَى حِمْصَ، فَلَمْ يَرِمْ حِمْصَ حَتَّى أَتَاهُ كِتَابٌ مِنْ صَاحِبِهِ يُوَافِقُ رَأْيَ هِرَقْلَ عَلَى خُرُوجِ النَّبِيِّ صَلَّى اللهُ عَلَيْهِ وَسَلَّمَ، وَأَنَّهُ نَبِيٌّ، فَأَذِنَ هِرَقْلُ لِعُظَمَاءِ الرُّومِ فِي دَسْكَرَةٍ لَهُ بِحِمْصَ، ثُمَّ أَمَرَ بِأَبْوَابِهَا فَغُلِّقَتْ، ثُمَّ اطَّلَعَ فَقَالَ: يَا مَعْشَرَ الرُّومِ، هَلْ لَكُمْ فِي الفَلاَحِ وَالرُّشْدِ، وَأَنْ يَثْبُتَ مُلْكُكُمْ، فَتُبَايِعُوا هَذَا النَّبِيَّ؟ فَحَاصُوا حَيْصَةَ حُمُرِ الوَحْشِ إِلَى الأَبْوَابِ، فَوَجَدُوهَا قَدْ غُلِّقَتْ، فَلَمَّا رَأَى هِرَقْلُ نَفْرَتَهُمْ، وَأَيِسَ مِنَ الإِيمَانِ، قَالَ: رُدُّوهُمْ عَلَيَّ، وَقَالَ: إِنِّي قُلْتُ مَقَالَتِي آنِفًا أَخْتَبِرُ بِهَا شِدَّتَكُمْ عَلَى دِينِكُمْ، فَقَدْ رَأَيْتُ، فَسَجَدُوا لَهُ وَرَضُوا عَنْهُ، فَكَانَ ذَلِكَ آخِرَ شَأْنِ هِرَقْلَ رَوَاهُ صَالِحُ بْنُ كَيْسَانَ، وَيُونُسُ، وَمَعْمَرٌ، عَنِ الزُّهْرِيِّ.

অনুবাদ :

ইবনুন নাতুর যে বায়তুল মাক্বদিসের গভর্ণর, হেরাক্লিয়াসের বন্ধু এবং খ্রিষ্টানদের শাম বা সিরিয়া এলাকার বিশপ, তিনি বর্ণনা করেন, একদিন হেরাক্লিয়াস বায়তুল মাক্বদিসে আসলেন। কোনো এক সকালে তার মন খারাপ। কিছু প্যাট্রিয়ক তাকে জিজ্ঞেস করল, আজকে আপনার সার্বিক অবস্থা একটু খারাপ মনে হচ্ছে। ইবনুন নাতুর বলেন, আসলে হেরাক্লিয়াস নক্ষত্রবিদ্যায় পারদর্শী ছিলেন। নক্ষত্র গণনা করে তিনি ভবিষ্যৎ জানার চেষ্টা করতেন। প্যাট্রিয়করা যখন তাকে এই প্রশ্ন করল তখন তিনি উত্তরে বললেন, আমি আজ রাতে তারকা গণনা করে দেখেছি, খাতনাকারীদের বাদশাহ প্রকাশ পেয়েছে। এই উম্মতের মধ্যে কারা খাতনা করে তোমরা কি জানো? প্যাট্রিয়কগণ উত্তরে বললেন, ইয়াহূদীরা ব্যতীত কেউ খাতনা করে না। আর ইয়াহূদীদের নিয়ে আপনি চিন্তা করবেন না। আপনি বরং সকল শহরে এই আদেশ পাঠিয়ে দেন যে, যত ইয়াহূদী আছে তাদের হত্যা করা হোক! এই অবস্থাতেই হঠাৎ একজন ব্যক্তিকে তার সামনে আনা হলো, যাকে গাসসানের বাদশাহ পাঠিয়েছেন। যে আরবের নবী মুহাম্মাদ ছাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়াসাল্লাম সম্পর্কে সংবাদ দিতে পারে। হেরাক্লিয়াস তাকে কিছু জিজ্ঞেস করার পূর্বেই তার খাতনা করা আছে কিনা তা দেখার জন্য কর্মচারীদের আদেশ দিলেন। তার সভাসদগণ চেক করে জানালো যে তার খাতনা করা আছে। তাকে আরবদের সম্পর্কে জিজ্ঞেস করা হলে সে জানালো আরবরা খাতনা করে। একথা শুনে হেরাক্লিয়াস বললেন, এই উম্মতের বাদশাহ তাহলে তিনিই, যিনি আরবে প্রকাশ পেয়েছেন।

অতঃপর হেরাক্লিয়াস এই বিষয়ে রোমে তার বন্ধুর নিকটে চিঠি লিখলেন, যে তার মতোই তারকারাজি সম্পর্কে ভালো জ্ঞান রাখে এবং তিনি বায়তুল মাক্বদিস ছেড়ে হিমসের উদ্দেশ্যে রওয়ানা করলেন। হিমসে পৌঁছতে পৌঁছতেই রোম থেকে তার সেই বন্ধুর চিঠি এসে পৌঁছলো। সেই চিঠিতে তার বন্ধুও এই উম্মতের বাদশাহর আরবে প্রকাশ সম্পর্কে একমত পোষণ করেছেন এবং মুহাম্মাদ ছাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়াসাল্লাম যে সত্য নবী তা স্বীকার করেছেন। এই চিঠি পড়ে হেরাক্লিয়াস তার দরবারে রোমের সকল সভাসদকে আহ্বান করলেন। অতঃপর দরবারের সকল দরজা বন্ধ করে দিয়ে ঘোষণা দিলেন, হে রোমবাসীরা! তোমরা কি সফলতা ও কল্যাণ চাও? তোমরা কি চাও যে, তোমাদের রাজত্ব অক্ষত থাকুক? তাহলে এই নবীর হাতে বায়আত গ্রহণ করো। এই ঘোষণা শুনে তারা জংলি গাধার মতো এদিক-সেদিক পালাতে লাগল এবং দেখল চারিদিক থেকে দরজা বন্ধ। হেরাক্লিয়াস যখন তাদের অসন্তুষ্টি অনুভব করলেন এবং বুঝতে পারলেন যে, তারা ঈমান আনবে না, তখন তাদেরকে পুনরায় ডেকে বললেন, আসলে আমি একথা বলে তোমাদেরকে পরীক্ষা করতে চাচ্ছিলাম। তোমাদের নিজেদের দ্বীনের উপর তোমাদের বিশ্বাস কতটা মযবূত সেটা দেখার জন্য। তার এই কথা শুনে সবাই তাকে সিজদা করল এবং তার উপর সন্তুষ্টি প্রকাশ করে সেখান থেকে বিদায় নিল। আর এটাই নবী মুহাম্মাদ ছাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়াসাল্লাম সম্পর্কে হেরাক্লিয়াসের সর্বশেষ অবস্থা।

সনদ বিশ্লেষণ : ইবনুন নাতুর থেকে বর্ণিত এই অংশটি মূল হাদীছ থেকে সম্পূর্ণ আলাদা। ইমাম বুখারী রহিমাহুল্লাহ-এর পক্ষ থেকে হাদীছের অর্থ বুঝতে সুবিধা হওয়ার জন্য যুক্ত করা টীকা। আর সাধারণত ইমাম বুখারী রহিমাহুল্লাহ সনদ ছাড়াই টীকাতে বিভিন্ন হাদীছ ও আয়াত উল্লেখ করে থাকেন। এই অংশটি ইবনুন নাতুর থেকে কে বর্ণনা করেছে তা ইমাম বুখারী রহিমাহুল্লাহ স্পষ্ট করেননি। ব্যাখ্যাকারগণের মধ্যে দুটি মত পাওয়া যায়। কেউ বলেছেন, ইমাম যুহরী রহিমাহুল্লাহ সরাসরি ইবনু নাতুর থেকে শুনেছেন। আর কেউ বলেছেন, ইবনু আব্বাস রযিয়াল্লাহু আনহুমা যিনি মূল হাদীছ আবু সুফিয়ান থেকে বর্ণনা করেছেন তিনিই মূলত ইবনুন নাতুর থেকে এই টীকার অংশটি শুনেছেন।[1]

রাবী ব্যতীত হাদীছে উল্লিখিত অন্যান্য নামের পরিচয় :

(১) হেরাকল : যাকে ইংরেজিতে হেরাক্লিয়াস বলা হয়। তার উপাধি হচ্ছে কায়সার, যেটাকে ইংরেজিতে সিজার বলা হয়। কায়সার বা সিজার অর্থ চেরা বা ফাড়া। তাদের প্রধান রাজার উপাধি ছিল কায়সার। তাদের অতীত কোনো রাজা সম্ভাব্য জুলিয়াস সিজারকে মায়ের মৃত্যুর পর পেট থেকে চিরে জীবিত অবস্থায় বের করা হয়েছিল। এই ব্যতিক্রম ঘটনার উপর গর্ব করে তার নাম হয় কায়সার বা সিজার। তারপর থেকে তাদের সকল রাজাকে কায়সার নামে অভিহিত করা হয়ে থাকে। বাদশাহ হেরাক্লিয়াস রোমান বাইজেন্টাইন সাম্রাজ্যের একজন রাজা ছিলেন। যাদের রাজত্বের কেন্দ্র ছিল ইস্তাম্বুল বা কনস্টান্টিনোপোল। বাদশাহ হেরাক্লিয়াস তার সময়ে পারস্য রাজা খসরুকে পরাজিত করে ফিলিস্তীন বিজয় করেন। ৫৭৫ খ্রিষ্টাব্দে জন্মগ্রহণকারী এই বাদশাহ ৬৪১ খ্রিষ্টাব্দে মৃত্যুবরণ করেন।[2]

তিনি ইসলাম গ্রহণ করেছিলেন কিনা এই বিষয়ে গ্রহণযোগ্য মত হচ্ছে, তিনি শেষ পর্যন্ত ইসলাম গ্রহণ করেননি। তবে তিনি এটা নিশ্চিতভাবে জানতেন যে, মুহাম্মাদ ছাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়াসাল্লাম একজন সত্য নবী। এটা জানার পরও তিনি দ্বীন গ্রহণ করতে পারেননি। যেমনটা নবী ছাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়াসাল্লাম-এর চাচা আবূ তালেবও পারেননি। হেরাক্লিয়াস মুতার যুদ্ধে এবং তাবুকের যুদ্ধে রাসূল ছাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়াসাল্লাম-এর বিরুদ্ধে অবস্থান গ্রহণ করেছিলেন।[3]

(২) দিহইয়াতুল কালবী : তার পূর্ণ নাম হচ্ছে দিহইয়া ইবনু খলীফা ইবনু ফারওয়া আল-কালবী। তিনি ওই সমস্ত ছাহাবীর অন্তর্ভুক্ত, যারা ইসলামের প্রথম যুগে ইসলাম গ্রহণ করেছিলেন। তিনি দেখতে অনেক সুন্দর ছিলেন। জিবরীল আলাইহিস সালাম তার আকৃতিতে আল্লাহর রাসূল ছাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়াসাল্লাম-এর নিকটে আসতেন। তিনি বদর যুদ্ধে অংশগ্রহণ না করলেও পরবর্তী প্রায় সকল যুদ্ধে অংশগ্রহণ করেছিলেন। রাসূল ছাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়াসাল্লাম তাকে দূত হিসেবে দুমাতুল জান্দাল এবং হেরাক্লিয়াসের কাছে পাঠিয়েছিলেন। তার বোন শারাফের সাথে রাসূল ছাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়াসাল্লাম বিবাহ বন্ধনে আবদ্ধ হয়েছিলেন। তবে সংসার শুরু করার পূর্বেই দিহইয়া রযিয়াল্লাহু আনহু-এর বোন মারা যান। কুতুবে সিত্তাহর মধ্যে একমাত্র সুনানে আবূ দাঊদে তার হাদীছ বর্ণিত হয়েছে। ইয়ারমুকের যুদ্ধে অংশগ্রহণের পর ৬৬১ খ্রিষ্টাব্দ ৫০ হিজরীতে দামেশকে তিনি মৃত্যুবরণ করেন।[4]

(৩) ইবনু আবী কাবশা : ইবনু আবী কাবশা দ্বারা আল্লাহর রাসূল ছাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়াসাল্লাম উদ্দেশ্য। তবে আবূ কাবশা দ্বারা কে উদ্দেশ্য তা নিয়ে মতভেদ আছে। কেউ বলেছেন, আল্লাহর রাসূল ছাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়াসাল্লাম-এর নানা ওহাব ইবনু আবদে মানাফ উদ্দেশ্য। কেউ বলেছেন, আল্লাহর রাসূল ছাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়াসাল্লাম-এর দাদীর বাবা ইবনু আমর আল-খাযরাজী উদ্দেশ্য। আবার কেউ বলেছেন, হালীমা আস-সাদিয়ার স্বামী হারেছ ইবনু আব্দিল উযযা উদ্দেশ্য। আবার কেউ বলেছেন, এটার দ্বারা ওজয ইবনু গালিব উদ্দেশ্য, যিনি আল্লাহর রাসূল ছাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়াসাল্লাম-এর আম্মার দাদাদের একজন, যিনি মক্কায় সর্বপ্রথম মূর্তিপূজা অস্বীকার করে একটি নির্দিষ্ট তারকার পূজা শুরু করেছিলেন। মুহাম্মাদ ছাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়াসাল্লামও মূর্তি পূজার বিরোধিতা করার কারণে তাকে কুরাইশগণ ইবনু আবী কাবশা নাম দেয়।

ইবনু আবী কাবশা কেন বলা হতো? কুরাইশরা মূলত মুহাম্মাদ ছাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়াসাল্লাম-কে ছোট করার উদ্দেশ্যে এই নামে ডাকত। কেননা আল্লাহর রাসূল ছাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়াসাল্লাম-এর নিজ দাদা আব্দুল মুত্তালিব ছিলেন কুরাইশগণের সরদার। কুরাইশগণ তাকে সম্মান করত। তাই আব্দুল মুত্তালিবের দিকে সম্পৃক্ত করে মুহাম্মাদ ছাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়াসাল্লাম-এর নাম বললে এটা এক প্রকার মুহাম্মাদ ছাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়াসাল্লাম-কে সম্মান করা হয়। এজন্য তারা আব্দুল মুত্তালিব ব্যতীত অন্য কারো দিকে সম্পৃক্ত করার উদ্দেশ্যে ইবনু আবী কাবশা বলত। আর এজন্য বিভিন্ন সময় রাসূল ছাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়াসাল্লাম কুরাইশদের উদ্দেশ্যে করে নিজের পরিচয় দিতেন এই বলে যে, আমি আব্দুল মুত্তালিবের ছেলে।[5]

(৪) ইবনুন নাতুর : নাতুর শব্দটি অনারব। কৃষিকাজের পরিদর্শক বা পাহারাদারকে নাতুর বলা হয়। সকল মুহাদ্দিছ ইবনুন নাতুর সম্পর্কে বলতে গিয়ে শুধু নামটির অর্থ বলে আলোচনা শেষ করেছেন। আর যতটুকু তথ্য হাদীছের মধ্যে পাওয়া গেছে ততটুকুই। তথা তিনি বায়তুল মাক্বদিসের গভর্ণর ছিলেন।[6]

(৫) গাসসানের বাদশাহ : হারেস ইবনু আবী শিমর আল-গাসসানী। বাইজান্টাইন রোমান সাম্রাজ্যের সহযোগিতায় তিনি সিরিয়ার সকল গোত্রকে একত্রিত করে সিরিয়ায় রোমান সাম্রাজ্য প্রতিষ্ঠা করেছিলেন। রাসূল ছাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়াসাল্লাম তাকেও ইসলামের দাওয়াত দিয়ে চিঠি লিখেছিলেন।[7]

(চলবে)

আব্দুল্লাহ বিন আব্দুর রাযযাক
ফাযেল, দারুল উলূম দেওবান্দ, ভারত; বি. এ (অনার্স), মদীনা ইসলামী বিশ্ববিদ্যালয়, সঊদী আরব;
এমএসসি, ইসলামিক ব্যাংকিং অ্যান্ড ফাইন্যান্স, ইউনিভার্সিটি অফ ডান্ডি, যুক্তরাজ্য।


[1]. তুহফাতুল ক্বারী, ১/১৭১।

[2]. উমদাতুল ক্বারী, ১/৯১।

[3]. আল-ইস্তী‘আব, ১/৪৭৩।

[4]. সিয়ারু আলামিন নুবালা, ২/৫৫১।

[5]. উমদাতুল ক্বারী, ১/৯১।

[6]. প্রাগুক্ত।

[7]. জামহারাতু আনসাবিল আরাব, ২/৩৭২।

Magazine