কুরআন ও সুন্নাহকে আঁকড়ে ধরার এক অনন্য বার্তা

বৈচিত্র্যময় শীত

বাংলাদেশের একটি উল্লেখযোগ্য ঋতু হচ্ছে শীতকাল। শীতকাল একটি দারুন ঋতু। যদিও ঠাণ্ডায় গা হিম হয়ে যায়।

‘কনকনে ঠাণ্ডাতে

শীত এলো— এলো রে

ঠকঠকে কাঁপুনি

দম বুঝি গেল রে।

বিহানের সূর্যটা

ওই বুঝি— ওঠে রে

গেরামের চাষি ভাই

মাঠপানে ছুটে রে’।

হেমন্তের পরপরই আগমন করে এ শীতকাল। ঋতু পরিক্রমায় পৌষ ও মাঘ মাস শীতের জন্য হলেও প্রকৃতিতে শীত থাকে তিন-চার মাস। সাধারণত নভেম্বর মাস থেকে ফেব্রুয়ারি মাস পর্যন্ত। ডিসেম্বর থেকে ফেব্রুয়ারির মাঝামাঝি এই দুই মাস একটু বেশি বেশি শীত থাকে।

‘চায় না মনে এমন দিনে

লেপ কাঁথা সুখ ছাড়তে রে..

আরাম করে হিম শীতে যে

হাত-পাগুলো নাড়তে রে’।

শীত আমাদের বৈচিত্র্যময় প্রাকৃতিক রূপের একটি। আহ! কী যে অপরূপ ধরণি হয় তখন, ভাষায় প্রকাশ করার মতো নয়। তবু কবিরা নীরব নিথর হাত গুটিয়ে বসে থাকেন না। কলমের আঁচড়ে ফুটিয়ে তোলেন শীতের রূপ। লিখেন ছড়া, কবিতা, গল্প।

শীতের রাতে গাছের পাতায় পাতায় কুয়াশা পড়ে। ছেঁয়ে যায় আমাদের বাসা-বাড়ির চারপাশ। এত ঘন কুয়াশা, কিচ্ছু দেখা যায় না। চোখ ধাঁধিয়ে দেয়। সাদা চাদরে যেন আবৃত হয়ে যায় পুরো দেশটা।

সারাদিন সূর্যের মুখ দেখা যায় না। সকালে কুয়াশা কাটতে না কাটতেই কখন যে সন্ধ্যা নামে ভাবাই যায় না। দিনটিও হয়ে যায় একেবারে ছোট। কিন্তু রাত হয় দীর্ঘ।

‘শীত কুয়াশা একই সাথে

বাইরে যাওয়া যায় না রে..

সূর্য কোথায় মুখ লুকালো

আলো জ্বেলে চায় না রে।

শিশির পড়ে টপটপাটপ

বৃষ্টি যেন ঝরছে রে..

হিম কুয়াশা ওড়ে ওড়ে

স্মৃতির মিনার গড়ছে রে’।

অপরূপ বৈশিষ্ট্যের জন্য শীতকাল বছরের অন্য ঋতু থেকে স্বতন্ত্র। শীতের সকালে কুয়াশা কাটলে আস্তে আস্তে বিরাট একটি লাল বর্ণের থালার মতো সূর্য পূর্ব দিগন্তে দেখা যায়।

‘বিহান বেলা টগবগিয়ে সূর্যের আলো ফুটে

মাঠের বুকে শিশিরগুলো এক নিমিষে লুটে।

আমন ধানের ক্ষেতে বসে চখাচখির মেলা

কৃষক চোখে স্বপ্ন বুনে কেটে যায় বেলা’।

হঠাৎ রোদ উঠে। শীতের রোদ আহা কী যে মিষ্টি! রোদ পোহানোর জন্য মানুষ খুবই ব্যস্ত হয়ে পড়ে। পাটালি গুড় দিয়ে অথবা সর্ষে তেল পিঁয়াজ কাঁচামরিচ ধনে পাতায় মুড়ি মাখিয়ে খেতেও খুব মজা। রোদ ওঠার সাথে সাথেই কুয়াশা পালাতে শুরু করে। মানুষ রোদ না পোহায়ে অনেক সময় খড় কুটা দিয়ে আগুন জ্বালিয়ে আগুন পোহায়। গাছের সবুজ কচিপাতা টগবগিয়ে জাগে। পাখিগুলো পাতার ফাঁকে বসে সূর্যের তাপ পোহাতে নতুন স্বপ্ন আঁকে।

‘শীত সকালে রোদের কিরণ

বড্ড মিঠা লাগে

সবুজ কচি গাছের পাতা

টগবগিয়ে জাগে।

শীতসকালে পাখিগুলো

পাতার ফাঁকে থাকে

রোদের কিরণ তাপ পোহাতে

নতুন স্বপ্ন আঁকে’।

মূলত শীতের আসল সৌন্দর্য গ্রামে। কুয়াশার চাদরে আবৃত থাকা গ্রামীণ দৃশ্য ধরা পড়ে সকালের মিষ্টি রৌদ্রময় সময়ের অপেক্ষা করার অনুভূতিগুলোতে। আর কুয়াশাচ্ছন্ন প্রকৃতি, শিশির সিক্ত রাস্তাঘাট, হিমেল বাতাসের মিষ্টি মধুর আমেজ শীতকালে এক ভিন্ন রূপ বয়ে নিয়ে আসে সোনার বাংলায়।

‘এলো পৌষ মাস—

সকাল গিয়ে সন্ধ্যা নামে

শহর নগর গাঁও গেরামে

ঠাণ্ডায় বসবাস।

এলো পৌষ মাস—

কনকনে শীত রাস্তা ঘাটে

চাষীরা নেই ধানের মাঠে

যদিও বিজয় মাস’।

শীতকালে আল্লাহর আরেক নেয়ামত ফুলে-ফলে ভরপুর হয় সারা দেশ। এসব ফুলের রূপ সৌন্দর্য, পরশ মানুষের মনে দারুণ অনুভূতির জন্ম দেয়।

‘বাতাস পেলে দোল খেয়ে যায়

মল্লিকা ফুলগুলি,

রোদের ঝলক হাসি ছড়ায়

গান ধরে বুলবুলি’।

শীতকালে টাটকা শাকসবজি ও তরকারি পাওয়া যায়। মূলা, গাজর, লাউ, কুমড়া, সরিষা, শালগম, আলু, পালংশাক, বেগুন, শিম, বরবটি, মটরশুঁটি, ফুলকপি, বাঁধাকপি প্রভৃতি শীতকালীন সবজি ও ফসলের দৃশ্য গ্রামবাংলার ক্ষেতে ক্ষেতে দেখলে মন ভরে ওঠে।

‘সর্ষে ফুলে খেত ভরেছে

মৌমাছি যে ওড়ছে

ফুল তুলিতে ছেলেমেয়ে

খেতের পাশে ঘুরছে’।

আহা রে! শীতকালে কত রকমের মাছ ধরা পড়ে খালে, বিলে, নদীতে। আর শিং, শৈল, কৈ, বোয়ালসহ বিভিন্ন ধরনের সুস্বাদু মাছ শীত মৌসুমেই বেশ মিলে। এ আল্লাহর এক খাছ নেয়ামত।

পিঠাপুলি তো শীতকালে গ্রামবাংলার আরেক ঐতিহ্য। বাংলার শীতকাল আর পিঠা যেন একসূত্রে গাঁথা। কৃষকের ঘরে হেমন্তে নতুন ধান ওঠার সঙ্গে সঙ্গে শুরু হয় পিঠা তৈরির কাজ। চলতে থাকে তা পুরো শীতকাল জুড়ে।

‘হেমন্তে ঐ মাঠে মাঠে

আমন ধান যে পাকে

গন্ধ ছড়ায় ছন্দ গড়ায় গাঁয়ের বধুর নাকে।

মন ভরে যায় ধানের ঘ্রাণে

অবকাশের ফাঁকে

নবান্ন তাই পিঠাপুলি হাতছানিতে ডাকে’।

বেশির ভাগ পিঠাই মিষ্টিপ্রধান, কিছু পিঠা ঝালজাতীয়। এক এক অঞ্চলে এক এক রকমের পিঠা তৈরি হয়। একই পিঠার নামও আবার অঞ্চলভেদে ভিন্ন। তবে এমন কিছু পিঠা আছে, যা দেশের প্রায় সব অঞ্চলেই বানানো হয়।

শীতকালীন পিঠার মধ্যে উল্লেখযোগ্য হলো— চিতই, পাকান, পাটিসাপটা, ভাপা, পুলি, ম্যারা, নারকেল ভাজা পুলি, নারকেল সিদ্ধ পুলি, নারকেল ঝুরি পিঠা, তেলপোয়া পিঠা, ঝাল পিঠা, বিস্কুট পিঠা, খাস্তা পিঠা, তেলেভাজা, ফুলঝুরি, নকশি, গোলাপ ফুল, দুধ পিঠা, লাউ পায়েস, ছিট পিঠা, সিদ্ধ পিঠা, মালপোয়া পিঠা, মালভোগ, ক্ষীরকুলি, মালাই পিঠা, গজা, রুটি পিঠা, দুধ পায়েস, পুতুল পিঠা, লরি পিঠা, তারাজোড়া, জামাই পিঠা, ঝুরি পিঠা, বিবিয়ানা পিঠা, খান্দেশা পিঠা, পাতা পিঠা, গুলগুলা, লবঙ্গ পিঠা, ক্ষীরডুবি, খাস্তা পিঠা, ঝালপোয়া পিঠা, কুলি পিঠা, দুধকুলি পিঠা, জামাই কুলি পিঠা, হাঁড়ি পিঠা, চাপড়ি পিঠা, চুটকি পিঠা, রসপুলি, মুরালি পিঠা, খান্দাশ, পয়সা পিঠা, চুষি পিঠা ইত্যাদি।

‘ফাগুন মাসে গ্রামাঞ্চলে

নতুন ধানে ভরে

সেই ধানেতে পিঠাপুলি

সবার ঘরে ঘরে।

চিতই ভাপা-খেজুর রসে

তেলের পোয়া পিঠা

মায়ের হাতে তৈয়ার করা

খাইতে বড়ই মিঠা’।

অতিথি পাখির আগমন বাংলার আরেক বৈচিত্র্য। প্রতি বছর শীতকালে শীতের যেসব পাখি আমাদের দেশে আসে, তাদেরকে বলা হয় অতিথি পাখি বা পরিযায়ী পাখি। কবি বলেছেন—

‘নীলাকাশে ঝাঁকে ঝাঁকে পরিযায়ী পাখি,

শীতে নামে বিলেঝিলে ভালোবাসে আঁখি।

বড্ড মায়া লাগে— অসহায়ের বেশে,

পরিযায়ী পাখিগুলো আসে বাংলাদেশে।

ভালোবাসে বাংলা এই মৌসূমে

বিলেঝিলে থাকে— নিগূঢ় ঘুমে।

ভয় নেই, তারা যেন শীতদেশ ছেড়ে

তবু পড়ে যায়— দুষ্টদের ফাঁদে’।

অতিথি পাখি আসে মূলত হিমালয়ের পাদদেশ আর রাশিয়ার বিভিন্ন জায়গা থেকে। এই পাখিগুলো দেখতে যেমন সুন্দর, তেমনই সুন্দর এদের গায়ের বাহারি রং। ওদের দেখলেই মন ভরে যায়। নামগুলোও বেশ চমৎকার। শীতের পাখিদের মধ্যে বালিহাঁস, গিরিয়া হাঁস, সাদা মানিকজোড়, নারুদ্দি, চিনাহাঁস, নাইরাল ল্যাঙ্গি, ভোলাপাখি, হারিয়াল, বনহুর, বুরলিহাস, সিরিয়া পাতিরা, পিয়াংচিনা, কবালি, যেনজি, প্রোভায়, নাইবাল, ডেলা ঘেনজি, গ্রাসওয়ার, গেন্ডাভার, বারহেড, রাঙ্গামুরি, বড়গুলিন্দা, হট্টি টি, ডাহুক, কোড়া, বাটাং, পানকৌড়ি, বড় বক অন্যতম।

‘অচেনা দেশ সাইবেরিয়া

নানান পাখির দেশ,

শীত ঋতুতে ঠাণ্ডা পড়ে

কঠিন পরিবেশ।

জীবন বাঁচার লড়াই করে

উড়ে আসে সব,

বাংলাদেশে পাড়ি জমায়

করে কলরব।

কী অপরূপ অতিথি এই

পাখির কারুকাজ,

নদীর কুলে পাখির মেলায়

নানা রকম সাজ’।

শীতকাল আসার সঙ্গে সঙ্গে এ পাখিগুলো আমাদের দেশে আসতে শুরু করে। তারপর মার্চ থেকে এপ্রিলের দিকে ওদের দেশে বরফ গলতে শুরু করলে ফিরে যেতে থাকে নিজেদের দেশে। কিন্তু কিছু দুষ্ট মানুষ তাদের শিকার করে।

‘ধরে পাখি পরিযায়ী— দুষ্ট দলে দলে

ছলে বলে শিকারীরা কূটকৌশলে।

মানে না যে— আইন বিধান তারা অভয়াশ্রম

ভালোবাসা নেইতো কভু— তাই শিকারেতে যম’।

এ সবকিছুই আল্লাহর নেয়ামত। নেয়ামতের শুকরিয়া আদায় করে উভয় জগতের সুফল ভোগ করা যায়।

মহিউদ্দিন বিন জুবায়েদ

মুহিমনগর, চৈতনখিলা, শেরপুর।

সাওয়াল জওয়াব

প্রশ্ন (৩৮) : ওশরকিভাবে দিব বা আদায় করব?

প্রশ্ন (৩৯) : কেউ যদি শয়তানের প্ররোচনায় পড়ে মায়ের গায়ে হাত উঠায়, এর পর অনুতপ্ত হয়ে মায়ের কাছে পা ধরে ক্ষমা চাই এবং মাতাকে ক্ষমা করে দেয়, তাহলে সেই সন্তান পরকালে কি জাহান্নামে যাবে?

প্রশ্ন (৪০) : কেউ যদি কসম করে বলে যে, আমি জীবনে একটা হরফও পড়বো না। তাহলে কি সে জীবনে কখনো একটি হরফও পড়তে পারবে না? এক্ষেত্রে করনীয় কী?

প্রশ্ন (৪১) : কোন পুরুষ বা মহিলা মাহরাম ছাড়া অন্য কোন মহিলা বা পুরুষে সাথে হোয়াটসআপ, মেসেঞ্জার, ইমো ইত্যাদিতে ভিডিও বা অডিও নয় শুধু মেসেজের মাধ্যমে কথা বলতে পারবে কি?

প্রশ্ন (৪২) : বর্তমানে অনেককে দেখা যাচ্ছে যে, তারা তাদের নিজের পরীক্ষার প্র‍্যাকটিক্যাল খাতা অন্যজনের মাধ্যমে সম্পন্ন করিয়ে নিয়ে তাদেরকে পারিশ্রমিক হিসেবে টাকা দিচ্ছে। এমন কর্ম কী উভয়ের জন্য বৈধ?

প্রশ্ন (৪৩) : আহলেহাদীছ মানহাজের দাওয়াত দেওয়া হলে এক শ্রেণির লোক মেকিদরদ দেখিয়ে বলে, যে এলাকায় এক মাযহাবের ওপর আমল আছে সে এলাকার লোকেরা সেই মাযহাব অনুযায়ী আমল করবে; সেখানে নতুন কিছুর দাওয়াত দেওয়া মানে বিচ্ছিন্নতা ও ফেৎনা সৃষ্টি করা। তাদের একথা কতটুকু শরীআতসম্মত এবং এক্ষেত্রে আমার করনীয় কী?

প্রশ্ন (৪৪) : আমার প্রশ্ন হল- অনলাইনে সার্ভে করে ইনকাম করলে তা হালাল হবে কি? অর্থাৎআমি বাংলাদেশের নাগরিক আমার লোকেশন বাংলাদেশ, কিন্তু ঐ কাজটা করতে গেলে আমার লোকেশন, নাম-পরিচয় এবং আমার দেশ সবকিছু (hide) লুকিয়ে কাজ করতে হয়।ধরুন; আমাকে অস্ট্রেলিয়া থেকে কিছু প্রশ্ন করল আমি অস্ট্রেলিয়ারলোকেশন এবং এড্রেস নিয়ে ঐ প্রশ্নের উত্তর দিচ্ছি, এর বিনিময়ে তারা আমাকে ডলার দিচ্ছে, এমন উপার্জনহালাল হবে নাকি হারাম হবে?

প্রশ্ন (৪৫) : আমার মামার মেয়ে শিশুকালে আমার মায়ের দুধপান করেছে।কিন্তুআমার মায়ের পরিষ্কার মনে পড়ছে না সে কতবার দুধপান করেছে।তবে আমার মা বলছেন, সম্ভবত দুই থেকে তিনবার পান করেছে। এমতাবস্থায় মামার মেয়েকে আমি বিবাহ করতে পারবো কি?উত্তরদানেবাধিতকরবেন।

প্রশ্ন (৪৬) : আমি একজন ভাইয়ের রিকমেন্ডেশনে ড. শহিদ আব্দুল্লাহ আজ্জাম এর দুই খন্ডের ‘তাফসীরে সূরা তওবা’ নামক বইটি কিনে ছিলাম।প্রশ্ন হচ্ছে- উনি কি হক্বের পথে ছিলেন? উনার এই বইটি কি পড়া যাবে?

প্রশ্ন (৪৭) : কুরআন ও হাদীছের ব্যাখ্যানুসারে তওবা কাকে বলে?

প্রশ্ন (৪৮) : পর্যায়ক্রমিক সন্তান না নেয়ার সিদ্ধান্তেসহবাসের সময় কি কনডম বা এই জাতীয় কোনো নিরোধ ব্যবহারকরা যাবে? ইসলামে আযল পদ্ধতি কি জায়েয?

প্রশ্ন (৪৯) : যদি ভুল করে কেউ আমার মোবাইলে রিচার্জ করে দেয়, আর কোনো ভাবেই জানা না যায় যে কে রিচার্জ করে দিয়েছে, তাহলে এমন অবস্থায়আমার করণীয় কি?

প্রশ্ন (৫০) : ব্যাংকের এলসি (LETTER OF CREDIT) কেনা-বেচা জায়েয কি?

প্রশ্ন (৫১) : হোমিও ওষুধ খাওয়া যাবে কি? আমি একটা ওষুধ কিনেছি (NUX VOME 200) ওষুধটিতে Alcohol এর পরিমাণ ৯০ ভাগ। দয়া করে জানাবেন।

প্রশ্ন (২২) : কেউ যদি স্ত্রীকে তালাক দেয় যে, তুমি যখন বাচ্চা প্রসব করবে তখন তুমি তালাক। এই নারীর তালাক কখন কার্যকর হবে আর তার ইদ্দত কী হবে?

প্রশ্ন (২৩) : মাইয়্যেতকে গোসল দেওয়ার পর গোসল দানকারীর জন্য গোসল করা কিজরুরী?

প্রশ্ন (২৪) : যখন মানুষের রূহ কবজ করা হয় আমরা দুনিয়ার মানুষ বুঝতে পারি যে, তার মৃত্যু হয়েছে। কিন্তু একজন মৃত মানুষ কিভাবে বুঝবে যে, সে মৃত্যুবরণ করেছে?

প্রশ্ন (২৫) : ইয়াতীমদের কোনো প্রতিষ্ঠানে ইয়াতীমদের জন্য যে অর্থ দান করা হয় সে অর্থ থেকে যে খাবার প্রস্তুত করা হয় বা ক্রয় করা হয় সে খাবার থেকে প্রতিষ্ঠানের শিক্ষকরা কি খেতে পারবেন?

প্রশ্ন (২৬) : যদি কেউ মৃত ব্যক্তির নামে দান করে তাহলে কি শুধু মৃত ব্যক্তিই উপকৃত হবে, না-কি যে দান করছে সেও উপকৃত হবে? আর সম্পর্কে কেউ না এমন মৃত ব্যক্তিরজন্য দান করলে কি মৃত ব্যক্তির কোনো উপকারে আসবে?

প্রশ্ন (১৪) : আমি প্রবাসে কাজ করি। কাজের চাপে আছর ছালাত সময় মত পড়তে পারি না মাগরিবের সময় পড়ি। এটা কি শরীয়তসম্মত হবে?

প্রশ্ন (১৫) : পিতা-মাতার কথা মতো স্ত্রীকে তালাক দেওয়া যাবে কি?

প্রশ্ন (১৬) : আপন ভাগ্নীর মেয়েকে বিবাহ করা যাবে কি? দলিলসহ জানতে চাই।

প্রশ্ন (১৭) : বিবাহ সম্পাদনের সঠিক পদ্ধতি কী?

প্রশ্ন (১৮) : নিজ চাচার মৃত্যুর পর ভাতিজা চাচিকে বিবাহ করতে পারবে কি?

প্রশ্ন (১৯) : একজন ছেলে এক মেয়েকে আল্লাহর নামে কসম করে বলেছিল তাকেই বিবাহ করবে। পরবর্তীতে মেয়েটি দ্বীনদার নয় জানতে পেরে ছেলেটি তাকে বিবাহ করতে অসম্মতি প্রকাশ করে। এই কসমের কারণে কি ছেলেটির উপর মেয়েটিকে বিবাহ করা আবশ্যক?

প্রশ্ন (২০) : গত ১০/০৯/২০২২ ইং তারিখে আমার স্ত্রীর সাথে আমার ঝগড়া হয়। আমি তাকে বিভিন্নভাবে শান্ত করার চেষ্টা করি কিন্তু কিছুতেই সে শান্ত হয় না। এক পর্যায়ে আমি তাকে এক তালাক প্রদান করি। কিছুক্ষণ পর সে রাগান্বিত হয়ে আমাকে বাকি দুই তালাক দেওয়ার জন্য জোর করে। ফলে আমি তাকে তিনবার “তালাক তালাক তালাক” বলি। পরবর্তীতে আমরা আমাদের ভুল বুঝতে পারি এবং বিষয়টি জানার চেষ্টা করি। তাতে জানতে পারি যে, এভাবে তালাক দিলে এক তালাক হয়। তাই আমরা পরের দিন থেকে সংসার করতে থাকি। প্রশ্ন হলো- আমাদের মাঝে কয় তালাক হয়েছে এবং আমাদের সংসার জীবন শরীয়তের দৃষ্টিতে কতটুকু বৈধ?

প্রশ্ন (২১) : মাসিক অবস্থায় তালাক দিলে তালাক হবে কি?

দ্বীনের উপর অবিচল থাকার গুরুত্ব ও তাৎপর্য

বিশ্বকাপ ফুটবল এবং আমাদের ঈমান-আক্বীদা

প্রশ্ন (১) : আমরা কিভাবে আল্লাহর পরিচয় লাভ করতে পারি?

প্রশ্ন (২) : ‘নবীগণ তাঁদের কবরের মধ্যে জীবিত, তাঁরা ছালাত আদায় করেন’। এই হাদীছের সঠিক ব্যাখ্যা জানতে চাই।

প্রশ্ন (৩) : যারা বলে যে, ছাহাবীগণের মধ্যেও বিদআত ছিল; তাদের কথা কি ঠিক?

প্রশ্ন (৪) : আক্বীদাগত বিদআতী কি কাফের-মুশরিকদের মত চিরস্থায়ী জাহান্নামী?

প্রশ্ন (৫) : কিছু কিছু পীরপন্থী লোকেরা ছালাত-ছিয়াম অস্বীকার করে।কুরআন ৯০ পারা মানে।তাদের সাথে দেখা হলে আমি সালাম দেয় না। এটা কি ঠিক করছি?

প্রশ্ন (৬) : কালো জাদু কি সত্য, একজন মুসলিম হিসেবে এগুলো সম্পর্কে আমাদের আক্বীদা কেমন হওয়া উচিত, বিস্তারিত জানতে চাই?

প্রশ্ন (৭) : হে আল্লাহ তোমার পবিত্রতার কসম, তোমার ইজ্জতের কসম, তোমার সম্মানের কসম, তোমার গুণাবলীর কসম, কাবা গৃহের রবের কসম, হে আল্লাহ তোমার পবিত্র কুরআনকে সামনে রেখে, তোমার কুরআনকে সাক্ষী রেখে, আমার সৃষ্টিকর্তার নামে শপথ করে বলছি, এখন থেকে আমি তুমি যা অপছন্দ করো তা আমি করবো না। প্রশ্ন হলো- নিজেকে পাপ থেকে দূরে রাখতে, শয়তানের ধোঁকা থেকে বাঁচতে, নফসের ধোঁকা, যৌবনের ধোঁকা থেকে বাঁচতে। এই ভাবে কসম করা বা আল্লাহকে কথা দেয়া যাবে কি?

প্রশ্ন (৮) : আবহাওয়া অফিসের প্রচারিত আগাম সংবাদ বিশ্বাস করা যাবে কি?

প্রশ্ন (৯) : নবী ছাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়াসাল্লাম-এর কবরের মাটি নাকি আল্লাহর আরশ থেকেও শ্রেষ্ঠ। একথা কি সত্য?

প্রশ্ন (২৭) : গনরোভ ফল খাওয়া কি হালাল?

প্রশ্ন (২৮) : আমারস্বামী পর্তুগাল প্রবাসী। সে একটি রেস্তোরায় কাজ করে। সেখানে অন্য খাবারের পাশাপাশি শুকরের গোশত বিক্রি করা হয়। এমতাবস্থায় তার এই উপার্জন কি হালাল হবে? উল্লেখ্যযে, সেখানেসেঅন্যকোনোকাজপাচ্ছেনাএবংতারউপরঅনেকঋণরয়েছে।সেখানেকাজনাকরলেঅনাহারেথাকতেহবে।

প্রশ্ন (২৯) : সরকারী অডিট এবং কাস্টমস অফিসে চাকুরী করা যাবে কি? এখানে বৈধ বিষয়ের কাজ করতে হয়। কিন্তু অনেক সময় এসব অফিসে সূদের হিসাব করতে হয়। যেহেতু হালাল-হারাম মিশ্রিত তাই সার্বিক বিচারে এই সমস্ত বিভাগে চাকুরি করা কি জায়েয আছে?

প্রশ্ন (৩০) : চাকুরির মেয়াদকাল ৩ বছরের বেশি হলে কর্মকর্তাদের জমাকৃত টাকার ১০০% সাথে প্রতিষ্ঠানের প্রদেয় ১০০% অর্থ প্রদান করে, এক্ষেত্রে আমার প্রশ্ন হলো- প্রতিষ্ঠানের প্রদেয় অর্থ গ্রহণ করা কি শরীআতসম্মত হবে?

Magazine