কুরআন ও সুন্নাহকে আঁকড়ে ধরার এক অনন্য বার্তা

বিশ্বকাপ ফুটবল এবং আমাদের ঈমান-আক্বীদা

কাতার ফুটবল বিশ্বকাপ ২০২২! যার জ্বরে কাঁপছে পুরো বিশ্ব। যে উন্মাদনায় উত্তাল এখন পুরো দেশ। বাংলাদেশ ৯০ ভাগ মুসলিমের দেশ হলেও আমাদের ঈমান-আক্বীদা এখনো পরিপূর্ণ ইসলামের ভিত্তিতে রূপান্তরিত হতে পারেনি। যেকারণে ইয়াহূদী-খ্রিষ্টানদের উৎসবগুলোতে আমাদের অংশগ্রহণ আজ দূষণীয় কিছু নয়!

যদিও অধিকাংশ নামধারী মুসলিম এর সাথে একমত নন! তাদের আপত্তি হলো, যেখানে সেখানে ইসলামকে টেনে আনা এক ধরনের মৌলবাদী চিন্তাধারা। তাদের যুক্তি হলো খেলাধুলা এক ধরনের বিনোদন। সুতরাং এখানে ধর্মকর্ম টেনে আনা মানেই আমি ব্যাকডেটেড!

কিন্তু ইসলাম যদি তাঁর অনুসারীদের মৌলবাদী হতে শিক্ষা দেয়, তাহলে মৌলবাদী হওয়াটাই হচ্ছে ঈমান। আজ যারা এই খেলাকে কেন্দ্র করে বিভিন্ন দেশ, জাতি, ব্যক্তিকে সমর্থন, অনুকরণ, অনুসরণ এবং বন্ধুত্বের সম্পর্ক তৈরি করেছে, তাদের জেনে রাখা উচিত বিধর্মীদের সমর্থন, অনুসরণ ও বন্ধুত্ব করা ইসলাম আদৌ সমর্থন করে না।

আমরা পবিত্র কুরআন এবং ছহীহ হাদীছের আলোকে জানার চেষ্টা করব- বিশ্বকাপে আমরা যাদের সমর্থন, অনুসরণ, অনুকরণ এবং বন্ধুত্ব করছি, তা কতটুকু জায়েয এবং হালাল।

আল্লাহ তাআলা পবিত্র কুরআনে অসংখ্য আয়াতে আল্লাহ ও তাঁর রাসূল ছাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়াসাল্লাম এবং মুমিনদের সাথে বন্ধুত্ব করার কথা বলেছেন। একইসাথে এটিও বলে দিয়েছেন যে, কাদের এবং কার কার সাথে বন্ধুত্ব করা যাবে না। যেমন- আল্লাহ তাআলা বলেন, يَا أَيُّهَا الَّذِينَ آمَنُوا لَا تَتَّخِذُوا الْيَهُودَ وَالنَّصَارَى ‘হে মুমিনগণ! তোমরা ইয়াহূদী-খ্রিষ্টানদের বন্ধুরূপে গ্রহণ করো না’ (আল-মায়েদা, ৫/৫১)। অন্যত্র আল্লাহ তাআলা বলেন,لَا يَتَّخِذِ الْمُؤْمِنُونَ الْكَافِرِينَ أَوْلِيَاءَ مِنْ دُونِ الْمُؤْمِنِينَ وَمَنْ يَفْعَلْ ذَلِكَ فَلَيْسَ مِنَ اللَّهِ فِي شَيْءٍ ‘মুমিনগণ যেন মুমিনদেরকে ছেড়ে কাফেরদেরকে বন্ধুরূপে গ্রহণ না করে এবং তাদের আশঙ্কা হতে আত্মরক্ষা ব্যতীত যে এরূপ করে আল্লাহর সাথে তার কোনো সম্পর্ক নেই’ (আলে ইমরান, ৩/২৮)। আল্লাহ আরও বলেন, يَا أَيُّهَا الَّذِينَ آمَنُوا لَا تَتَّخِذُوا بِطَانَةً مِنْ دُونِكُمْ ‘হে ঈমানদারগণ! তোমরা মুমিন ব্যতীত অন্য কাউকে অন্তরঙ্গরূপে গ্রহণ করো না’ আলে ইমরান, ৩/১১৮)। অন্যত্র আল্লাহ তাআলা বলেন,يَا أَيُّهَا الَّذِينَ آمَنُوا لَا تَتَّخِذُوا الْكَافِرِينَ أَوْلِيَاءَ مِنْ دُونِ الْمُؤْمِنِينَ ‘হে ঈমানদারগণ! তোমরা মুমিনদের ছেড়ে কাফেরদেরকে বন্ধু বানিয়ো না’ (আন-নিসা, ৪/১৪৪)। অন্যত্র আল্লাহ তাআলা আরও বলেন,يَا أَيُّهَا الَّذِينَ آمَنُوا لَا تَتَّخِذُوا الَّذِينَ اتَّخَذُوا دِينَكُمْ هُزُوًا وَلَعِبًا ‘হে মুমিনগণ! তোমরা তাদেরকে )বন্ধুরূপে( গ্রহণ করো না, যারা তোমাদের দ্বীনকে উপহাস ও খেল-তামাশারূপে গ্রহণ করেছে’ (আল-মায়েদা, ৫/৫৭)

উপরিউক্ত আয়াত ছাড়াও অসংখ্য আয়াতে আল্লাহ সুস্পষ্টভাবে নিষেধাজ্ঞা দিয়েছেন বিধর্মীদের ব্যাপারে। যাতে কোনো ঈমানদার কখনই তাদেরকে বন্ধু না বানায় কিংবা বন্ধুত্ব বা সমর্থন না করে। এখন অনেকেই প্রশ্ন করতে পারে, দল সমর্থন করলেই কি তাদের সাথে বন্ধুত্ব হয়ে গেল! তাদের নিকট জিজ্ঞাসা হলো, তাহলে কেন তাদের সমর্থন করছেন? উত্তরে তারা বলবে, দলের খেলা সুন্দর তাই তাদের সমর্থন করি (যদিও খেলাধুলা নিয়ে ইসলামের নীতিমালা এখানে আলোচ্য বিষয় নয়)। একইসাথে খেলোয়াড়দের পছন্দ করি বলেই দল সমর্থন করি।

তাদের উত্তরেই বিধর্মীদের প্রতি এক ধরনের সহমর্মিতা কিংবা বন্ধুত্বের বা পছন্দের আভাস পাওয়া যায়। দল এবং ব্যক্তির প্রতি এই সহমর্মিতা, হেরে গেলে সমবেদনা ইত্যাদিই হচ্ছে তাদের প্রতি সমর্থন ও ভালোবাসা। আর সমর্থন এবং ভালোবাসা তখনই সৃষ্টি হয়, যখন তাদের সাথে বন্ধুত্বের সম্পর্ক সৃষ্টি হয়। আর এই সমর্থন বন্ধুত্ব অনুসরণ ইত্যাদি আল্লাহ হারাম করে দিয়েছেন। 

আজ আমরা শুধু যে তাদের সমর্থন করছি তা নয়, বরং তাদেরকে অনুসরণ-অনুকরণ করছি প্রতিটি পদে পদে। বিভিন্ন দেশের পতাকা, জার্সি ইত্যাদি তৈরি করে পরিধান করছি। তাদের মতো করেই চুল থেকে শুরু করে পোশাক-আশাক, চালচলন ইত্যাদিসহ সবকিছুতেই বিধর্মী কাফের-মুশরিকদের ছায়া আমরা অবলম্বন করি, যা ইসলামে সুস্পষ্ট নাজায়েয।

আল্লাহ তাআলা বলেন, وَلَا تُطِعِ الْكَافِرِينَ وَالْمُنَافِقِينَ ‘তোমরা কাফের ও মুনাফেক্বদের অনুসরণ করো না’ (আল-আহযাব, ৩৩/৪৮)। এই আয়াত ছাড়াও আরো অসংখ্য আয়াতে আল্লাহ কাফের-মুশরিক বিধর্মীদের অনুসরণ-অনুকরণ করতে নিষেধ করেছেন। শুধু তাই নয়, হাদীছে রাসূলুল্লাহ ছাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়াসাল্লাম স্পষ্ট করে বলে দিয়েছেন, ‘যে ব্যক্তি কোনো জাতির অনুকরণ, অনুসরণ ও সামঞ্জস্য বিধান করবে, সে তাদেরই অন্তর্ভুক্ত বলে গণ্য হবে’।[1]

সুতরাং কোনো ঈমানদার যদি বিধর্মীদের অনুসরণ-অনুকরণ করে, তাহলে সে ঐ বিধর্মী জাতিরই অন্তর্ভুক্ত হবে। এছাড়াও আমাদের দেশে বিভিন্ন দলকে সাপোর্ট করতে গিয়ে এমন অবস্থার সৃষ্টি হয়েছে যে, ভাইয়ে ভাইয়ে মারামারি রক্তারক্তি পর্যায়ে পৌঁছে যায়। দলকে সমর্থন করতে গিয়ে তাদের এই ভালোবাসা তাদেরকে জাহান্নামে নিয়ে যাচ্ছে। তারা তা টেরই পাচ্ছে না।

রাসূলুল্লাহ ছাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়াসাল্লাম বলেছেন, ‘যার সাথে যার বন্ধুত্ব তার সাথে তার হাশর’।[2] অর্থাৎ যে ব্যক্তি যাকে ভালোবাসবে, তার সাথেই তার কিয়ামত হবে। যদি কেউ ভালো মানুষের সাথে সম্পর্ক করে এবং তাকে ভালোবাসে, তাহলে ঐ ব্যক্তিও সেই ভালো মানুষের সাথেই থাকবে। 

এখন আমরা যারা এসব বেদ্বীন কাফের-মুশরিকদের সমর্থন ও অনুকরণ-অনুসরণ করছি, আমাদের অবস্থা কী হবে? একবারও কি চিন্তা করেছি? রাসূল ছাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়াসাল্লাম–এর জীবনী থেকে আমরা জানতে পারি, তিনি প্রতিনিয়তই বেদ্বীন কাফের-মুশরিকদের থেকে দূরে থাকার এবং তাদের সাথে সাদৃ‌শ্য হয় এমন কাজ না করার তাগিদ দিয়েছেন।

শুধু তাই নয়, তিনি অহি মারফত আগে থেকেই জানতেন আমাদের অবস্থা এমনই হবে যে, আমরা কাফের-মুশরিকদের অনুসরন-অনুকরণসহ তাদের সাথে হৃদ্যতা পোষণে পিছপা হব না। নবী করীম ছাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়াসাল্লাম বলেন, ‘তোমরা অবশ্যই তোমাদের পূর্ববর্তীদের (অর্থাৎ ইয়াহূদী-খ্রিষ্টানদের) রীতিনীতি পুরোপুরি অনুসরণ করবে, প্রতি বিঘতে বিঘতে এবং প্রতি গজে গজে। এমনকি তারা যদি ষাণ্ডার গর্তেও প্রবেশ করে থাকে, তবে তোমরাও তাতে প্রবেশ করবে’।[3] 

সুতরাং আমরা যারা বিশ্বকাপ নিয়ে এত উল্লসিত এবং আনন্দিত, তাদের একবার হলেও চিন্তা করা উচিত আমরা আসলেই কী করছি? আমরা যা করছি তাতে কি আমাদের ঈমান আর অবশিষ্ট রয়েছে? 

অতএব, আমাদের এখনই উচিত বিধর্মী কাফের-মুশরিকদের সাথে বন্ধুত্ব ছিন্ন করা। কেননা এই বন্ধুত্বই আমাদের তাদের সাথে জাহান্নামে নিয়ে যাবে। এত দলীল-প্রমাণাদি পাওয়ার পরও যদি কোনো মুসলিম ভাই তাদের সমর্থন অনুসরণ-অনুকরণ করেন, তাহলে তাদের জন্য রয়েছে পবিত্র কুরআনের এক‌টি আয়াত। আল্লাহ বলেন, ‘আর কারো নিকট সৎপথ প্রকাশ হওয়ার পর সে যদি রাসূলের বিরুদ্ধাচরণ করে এবং মুমিনদের পথ ছাড়া অন্য পথ অনুসরণ করে, তবে যেদিকে সে ফিরে যায়, সে দিকেই তাকে আমরা ফিরিয়ে দেব এবং তাকে জাহান্নামে দগ্ধ করাব, আর তা কতই না মন্দ আবাস!’ (আন-নিসা, ৪/১১৫)

অর্থাৎ যারাই উপরিউক্ত দলিলাদি পাওয়ার পরও আল্লাহ, রাসূল ছাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়াসাল্লাম এবং মুমিনদের পথ অনুসরণ না করে বিধর্মীদের দিকে ফিরে গিয়ে তাদের সাথে হৃদ্যতা করবে, আল্লাহ তাদেরকে সেদিকেই ব্যস্ত রাখবেন এবং কাফের-মুশরিকদের সাথে জাহান্নামে প্রেরণ করবেন।

ভাবতে অবাক লাগে, গত কয়েকদিন আগে এই বাংলাদেশেই লক্ষ লক্ষ আশেকে রাসূল দাবিদারেরা রাসূল ছাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়াসাল্লাম-এর জন্মবার্ষিকী পালন করেছে তাও বিধর্মীদের অনুসরণে! এই সেই আমরা যারা রাসূল ছাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়াসাল্লাম-এর প্রতি কৃত্রিম ভালোবাসা দেখাতে গিয়ে রাস্তায় রাস্তায় লক্ষ লক্ষ আশেক নেমে মিছিল করছি! অথচ রাসূল ছাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়াসাল্লাম-এর জীবনাদর্শের কোনো ছিটেফোঁটাও আমাদের মাঝে নেই। 

যে রাসূল ছাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়াসাল্লাম বিধর্মীদের সাথে বন্ধুত্ব-অনুসরণ-অনুকরণ ইত্যাদি করতে নিষেধ করে দিয়েছেন। সেই রাসূল ছাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়াসাল্লাম-এর আশেক দাবিদারেরা আজ বিধর্মীদের জয়-পরাজয়ে আনন্দ, উল্লাস, হাসি, কান্না, বেদনা, শত্রুতা এবং হিংস্রতা করতেও দ্বিধা করছি না। এই হচ্ছে আমাদের ঈমানের অবস্থা! 

আসুন! আমরা পবিত্র কুরআন ও ছহীহ হাদীছের আলোকে জীবনযাপন করি এবং বিধর্মীদের অনুসরণ, অনুকরণ, সমর্থন ও বন্ধুত্ব না করি। যাতে আমরা আল্লাহ আযাব থেকে মুক্তি পেতে পারি। আল্লাহ আমাদের হেদায়াত দান করুন- আমীন!

সাখাওয়াতুল আলম চৌধুরী

পতেঙ্গা, চট্টগ্রাম।


[1]. মুসনাদে আহমাদ, ২/৫০; আবূ দাঊদ, হা/৪০৩১।

[2]. ছহীহ বুখারী, হা/৬১৬৮; ছহীহ মুসলিম, হা/২৬৪০।

[3]. ইবনু মাজাহ, হা/৩৯৯৫; মুসনাদে আহমাদ, হা/৯৮১৯।

সাওয়াল জওয়াব

প্রশ্ন (৩৮) : ওশরকিভাবে দিব বা আদায় করব?

প্রশ্ন (৩৯) : কেউ যদি শয়তানের প্ররোচনায় পড়ে মায়ের গায়ে হাত উঠায়, এর পর অনুতপ্ত হয়ে মায়ের কাছে পা ধরে ক্ষমা চাই এবং মাতাকে ক্ষমা করে দেয়, তাহলে সেই সন্তান পরকালে কি জাহান্নামে যাবে?

প্রশ্ন (৪০) : কেউ যদি কসম করে বলে যে, আমি জীবনে একটা হরফও পড়বো না। তাহলে কি সে জীবনে কখনো একটি হরফও পড়তে পারবে না? এক্ষেত্রে করনীয় কী?

প্রশ্ন (৪১) : কোন পুরুষ বা মহিলা মাহরাম ছাড়া অন্য কোন মহিলা বা পুরুষে সাথে হোয়াটসআপ, মেসেঞ্জার, ইমো ইত্যাদিতে ভিডিও বা অডিও নয় শুধু মেসেজের মাধ্যমে কথা বলতে পারবে কি?

প্রশ্ন (৪২) : বর্তমানে অনেককে দেখা যাচ্ছে যে, তারা তাদের নিজের পরীক্ষার প্র‍্যাকটিক্যাল খাতা অন্যজনের মাধ্যমে সম্পন্ন করিয়ে নিয়ে তাদেরকে পারিশ্রমিক হিসেবে টাকা দিচ্ছে। এমন কর্ম কী উভয়ের জন্য বৈধ?

প্রশ্ন (৪৩) : আহলেহাদীছ মানহাজের দাওয়াত দেওয়া হলে এক শ্রেণির লোক মেকিদরদ দেখিয়ে বলে, যে এলাকায় এক মাযহাবের ওপর আমল আছে সে এলাকার লোকেরা সেই মাযহাব অনুযায়ী আমল করবে; সেখানে নতুন কিছুর দাওয়াত দেওয়া মানে বিচ্ছিন্নতা ও ফেৎনা সৃষ্টি করা। তাদের একথা কতটুকু শরীআতসম্মত এবং এক্ষেত্রে আমার করনীয় কী?

প্রশ্ন (৪৪) : আমার প্রশ্ন হল- অনলাইনে সার্ভে করে ইনকাম করলে তা হালাল হবে কি? অর্থাৎআমি বাংলাদেশের নাগরিক আমার লোকেশন বাংলাদেশ, কিন্তু ঐ কাজটা করতে গেলে আমার লোকেশন, নাম-পরিচয় এবং আমার দেশ সবকিছু (hide) লুকিয়ে কাজ করতে হয়।ধরুন; আমাকে অস্ট্রেলিয়া থেকে কিছু প্রশ্ন করল আমি অস্ট্রেলিয়ারলোকেশন এবং এড্রেস নিয়ে ঐ প্রশ্নের উত্তর দিচ্ছি, এর বিনিময়ে তারা আমাকে ডলার দিচ্ছে, এমন উপার্জনহালাল হবে নাকি হারাম হবে?

প্রশ্ন (৪৫) : আমার মামার মেয়ে শিশুকালে আমার মায়ের দুধপান করেছে।কিন্তুআমার মায়ের পরিষ্কার মনে পড়ছে না সে কতবার দুধপান করেছে।তবে আমার মা বলছেন, সম্ভবত দুই থেকে তিনবার পান করেছে। এমতাবস্থায় মামার মেয়েকে আমি বিবাহ করতে পারবো কি?উত্তরদানেবাধিতকরবেন।

প্রশ্ন (৪৬) : আমি একজন ভাইয়ের রিকমেন্ডেশনে ড. শহিদ আব্দুল্লাহ আজ্জাম এর দুই খন্ডের ‘তাফসীরে সূরা তওবা’ নামক বইটি কিনে ছিলাম।প্রশ্ন হচ্ছে- উনি কি হক্বের পথে ছিলেন? উনার এই বইটি কি পড়া যাবে?

প্রশ্ন (৪৭) : কুরআন ও হাদীছের ব্যাখ্যানুসারে তওবা কাকে বলে?

প্রশ্ন (৪৮) : পর্যায়ক্রমিক সন্তান না নেয়ার সিদ্ধান্তেসহবাসের সময় কি কনডম বা এই জাতীয় কোনো নিরোধ ব্যবহারকরা যাবে? ইসলামে আযল পদ্ধতি কি জায়েয?

প্রশ্ন (৪৯) : যদি ভুল করে কেউ আমার মোবাইলে রিচার্জ করে দেয়, আর কোনো ভাবেই জানা না যায় যে কে রিচার্জ করে দিয়েছে, তাহলে এমন অবস্থায়আমার করণীয় কি?

প্রশ্ন (৫০) : ব্যাংকের এলসি (LETTER OF CREDIT) কেনা-বেচা জায়েয কি?

প্রশ্ন (৫১) : হোমিও ওষুধ খাওয়া যাবে কি? আমি একটা ওষুধ কিনেছি (NUX VOME 200) ওষুধটিতে Alcohol এর পরিমাণ ৯০ ভাগ। দয়া করে জানাবেন।

প্রশ্ন (২২) : কেউ যদি স্ত্রীকে তালাক দেয় যে, তুমি যখন বাচ্চা প্রসব করবে তখন তুমি তালাক। এই নারীর তালাক কখন কার্যকর হবে আর তার ইদ্দত কী হবে?

প্রশ্ন (২৩) : মাইয়্যেতকে গোসল দেওয়ার পর গোসল দানকারীর জন্য গোসল করা কিজরুরী?

প্রশ্ন (২৪) : যখন মানুষের রূহ কবজ করা হয় আমরা দুনিয়ার মানুষ বুঝতে পারি যে, তার মৃত্যু হয়েছে। কিন্তু একজন মৃত মানুষ কিভাবে বুঝবে যে, সে মৃত্যুবরণ করেছে?

প্রশ্ন (২৫) : ইয়াতীমদের কোনো প্রতিষ্ঠানে ইয়াতীমদের জন্য যে অর্থ দান করা হয় সে অর্থ থেকে যে খাবার প্রস্তুত করা হয় বা ক্রয় করা হয় সে খাবার থেকে প্রতিষ্ঠানের শিক্ষকরা কি খেতে পারবেন?

প্রশ্ন (২৬) : যদি কেউ মৃত ব্যক্তির নামে দান করে তাহলে কি শুধু মৃত ব্যক্তিই উপকৃত হবে, না-কি যে দান করছে সেও উপকৃত হবে? আর সম্পর্কে কেউ না এমন মৃত ব্যক্তিরজন্য দান করলে কি মৃত ব্যক্তির কোনো উপকারে আসবে?

প্রশ্ন (১৪) : আমি প্রবাসে কাজ করি। কাজের চাপে আছর ছালাত সময় মত পড়তে পারি না মাগরিবের সময় পড়ি। এটা কি শরীয়তসম্মত হবে?

প্রশ্ন (১৫) : পিতা-মাতার কথা মতো স্ত্রীকে তালাক দেওয়া যাবে কি?

প্রশ্ন (১৬) : আপন ভাগ্নীর মেয়েকে বিবাহ করা যাবে কি? দলিলসহ জানতে চাই।

প্রশ্ন (১৭) : বিবাহ সম্পাদনের সঠিক পদ্ধতি কী?

প্রশ্ন (১৮) : নিজ চাচার মৃত্যুর পর ভাতিজা চাচিকে বিবাহ করতে পারবে কি?

প্রশ্ন (১৯) : একজন ছেলে এক মেয়েকে আল্লাহর নামে কসম করে বলেছিল তাকেই বিবাহ করবে। পরবর্তীতে মেয়েটি দ্বীনদার নয় জানতে পেরে ছেলেটি তাকে বিবাহ করতে অসম্মতি প্রকাশ করে। এই কসমের কারণে কি ছেলেটির উপর মেয়েটিকে বিবাহ করা আবশ্যক?

প্রশ্ন (২০) : গত ১০/০৯/২০২২ ইং তারিখে আমার স্ত্রীর সাথে আমার ঝগড়া হয়। আমি তাকে বিভিন্নভাবে শান্ত করার চেষ্টা করি কিন্তু কিছুতেই সে শান্ত হয় না। এক পর্যায়ে আমি তাকে এক তালাক প্রদান করি। কিছুক্ষণ পর সে রাগান্বিত হয়ে আমাকে বাকি দুই তালাক দেওয়ার জন্য জোর করে। ফলে আমি তাকে তিনবার “তালাক তালাক তালাক” বলি। পরবর্তীতে আমরা আমাদের ভুল বুঝতে পারি এবং বিষয়টি জানার চেষ্টা করি। তাতে জানতে পারি যে, এভাবে তালাক দিলে এক তালাক হয়। তাই আমরা পরের দিন থেকে সংসার করতে থাকি। প্রশ্ন হলো- আমাদের মাঝে কয় তালাক হয়েছে এবং আমাদের সংসার জীবন শরীয়তের দৃষ্টিতে কতটুকু বৈধ?

প্রশ্ন (২১) : মাসিক অবস্থায় তালাক দিলে তালাক হবে কি?

দ্বীনের উপর অবিচল থাকার গুরুত্ব ও তাৎপর্য

বিশ্বকাপ ফুটবল এবং আমাদের ঈমান-আক্বীদা

প্রশ্ন (১) : আমরা কিভাবে আল্লাহর পরিচয় লাভ করতে পারি?

প্রশ্ন (২) : ‘নবীগণ তাঁদের কবরের মধ্যে জীবিত, তাঁরা ছালাত আদায় করেন’। এই হাদীছের সঠিক ব্যাখ্যা জানতে চাই।

প্রশ্ন (৩) : যারা বলে যে, ছাহাবীগণের মধ্যেও বিদআত ছিল; তাদের কথা কি ঠিক?

প্রশ্ন (৪) : আক্বীদাগত বিদআতী কি কাফের-মুশরিকদের মত চিরস্থায়ী জাহান্নামী?

প্রশ্ন (৫) : কিছু কিছু পীরপন্থী লোকেরা ছালাত-ছিয়াম অস্বীকার করে।কুরআন ৯০ পারা মানে।তাদের সাথে দেখা হলে আমি সালাম দেয় না। এটা কি ঠিক করছি?

প্রশ্ন (৬) : কালো জাদু কি সত্য, একজন মুসলিম হিসেবে এগুলো সম্পর্কে আমাদের আক্বীদা কেমন হওয়া উচিত, বিস্তারিত জানতে চাই?

প্রশ্ন (৭) : হে আল্লাহ তোমার পবিত্রতার কসম, তোমার ইজ্জতের কসম, তোমার সম্মানের কসম, তোমার গুণাবলীর কসম, কাবা গৃহের রবের কসম, হে আল্লাহ তোমার পবিত্র কুরআনকে সামনে রেখে, তোমার কুরআনকে সাক্ষী রেখে, আমার সৃষ্টিকর্তার নামে শপথ করে বলছি, এখন থেকে আমি তুমি যা অপছন্দ করো তা আমি করবো না। প্রশ্ন হলো- নিজেকে পাপ থেকে দূরে রাখতে, শয়তানের ধোঁকা থেকে বাঁচতে, নফসের ধোঁকা, যৌবনের ধোঁকা থেকে বাঁচতে। এই ভাবে কসম করা বা আল্লাহকে কথা দেয়া যাবে কি?

প্রশ্ন (৮) : আবহাওয়া অফিসের প্রচারিত আগাম সংবাদ বিশ্বাস করা যাবে কি?

প্রশ্ন (৯) : নবী ছাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়াসাল্লাম-এর কবরের মাটি নাকি আল্লাহর আরশ থেকেও শ্রেষ্ঠ। একথা কি সত্য?

প্রশ্ন (২৭) : গনরোভ ফল খাওয়া কি হালাল?

প্রশ্ন (২৮) : আমারস্বামী পর্তুগাল প্রবাসী। সে একটি রেস্তোরায় কাজ করে। সেখানে অন্য খাবারের পাশাপাশি শুকরের গোশত বিক্রি করা হয়। এমতাবস্থায় তার এই উপার্জন কি হালাল হবে? উল্লেখ্যযে, সেখানেসেঅন্যকোনোকাজপাচ্ছেনাএবংতারউপরঅনেকঋণরয়েছে।সেখানেকাজনাকরলেঅনাহারেথাকতেহবে।

প্রশ্ন (২৯) : সরকারী অডিট এবং কাস্টমস অফিসে চাকুরী করা যাবে কি? এখানে বৈধ বিষয়ের কাজ করতে হয়। কিন্তু অনেক সময় এসব অফিসে সূদের হিসাব করতে হয়। যেহেতু হালাল-হারাম মিশ্রিত তাই সার্বিক বিচারে এই সমস্ত বিভাগে চাকুরি করা কি জায়েয আছে?

প্রশ্ন (৩০) : চাকুরির মেয়াদকাল ৩ বছরের বেশি হলে কর্মকর্তাদের জমাকৃত টাকার ১০০% সাথে প্রতিষ্ঠানের প্রদেয় ১০০% অর্থ প্রদান করে, এক্ষেত্রে আমার প্রশ্ন হলো- প্রতিষ্ঠানের প্রদেয় অর্থ গ্রহণ করা কি শরীআতসম্মত হবে?

Magazine