উত্তর: বিদআতী আলেম থেকে ইলম নেওয়ার ক্ষেত্রে যাচাই-বাছাই করে ইলম গ্রহণ করতে হবে। নচেৎ নিজেও তার বিদআতী মনোভাবের সাথে মিশে যাওয়ার আশঙ্কা থেকে যায়। মুহাম্মাদ ইবনু সিরীন রহিমাহুল্লাহ বলেন, নিশ্চয় এই জ্ঞান হচ্ছে দ্বীন। সুতরাং তোমরা লক্ষ করো তোমরা কার নিকট থেকে তোমাদের দ্বীন গ্রহণ করছো (ছহীহ মুসলিম, ১/১১ পৃ.)। মহান আল্লাহ বলেন, ‘হে ঈমানদারগণ! তোমাদের নিকট যখন কোনো ফাসেক কোনো সংবাদ নিয়ে আসবে, তখন তোমরা তা যাচাই-বাছাই করে দেখো। যাতে তোমরা অজ্ঞতাবশত কোনো জাতির ক্ষতি করে না ফেলো। (যদি করে ফেলো) তাহলে তোমাদের কৃত কর্মের জন্য তোমাদের অনুতপ্ত হতে হবে’ (আল-হুজুরাত, ৪৯/৬)। আবূ হুরায়রা রযিয়াল্লাহু আনহু থেকে বর্ণিত, তিনি বলেন, ‘রাসূলুল্লাহ ছাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়াসাল্লাম বলেছেন, ‘যে ব্যক্তি আমাদের উপর ইচ্ছাকৃতভাবে মিথ্যারোপ করল, সে যেন তার স্থান জাহান্নাম বানিয়ে নিল’ (ছহীহ বুখারী, হা/১২৯১; ছহীহ মুসলিম, হা/৩)। বিদআতীআলেমদেরপরিচয়: যার মধ্যে বিদআত পরিলক্ষিত হবে সেই বিদআতী। নিম্নে কিছু বিদআতের নমুনা তুলে ধরা হলো যার মাধ্যমে আমরা বিদআতী বা বিদআতী আলেম চিহ্নিত করব। মিলাদ মাহফিল করা, জোরে নিয়্যত বলা, মৃত ব্যক্তির শোকে মাতম করা, চল্লিশা করা, বরকত হাছিলের উদ্দেশ্যে কবরের পাশে ছালাত আদায় করা, মৃত ব্যক্তির ওছিলায় দুআ করা ইত্যাদি।
প্রশ্নকারী : নূরুল হুদা
প্রবাসী, মালেশিয়া।
                            
                        