কুরআন ও সুন্নাহকে আঁকড়ে ধরার এক অনন্য বার্তা

প্রশ্ন (৩২) : স্ত্রীর উর্পাজিত অর্থদিয়ে স্বামীর সংসার চালানো কি বৈধ হবে?

উত্তর : সংসার চালানোর দায়িত্ব হলো স্বামীর। স্বামীর ওপর ফরয হলো, তার পরিবার-পরিজনের ব্যয়ভার বহন করা। আল্লাহ তাআলা বলেন, ‘পুরুষরা নারীদের তত্ত্বাবধায়ক, এ কারণে যে, আল্লাহ তাদের একের উপর অন্যকে শ্রেষ্ঠত্ব দিয়েছেন এবং যেহেতু তারা নিজেদের সম্পদ থেকে ব্যয় করে’ (আন-নিসা, ৪/৩৪)। রাসূল ছাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়াসাল্লাম বলেছেন, ‘তোমরা স্ত্রীলোকদের ব্যাপারে আল্লাহকে ভয় করো। তোমরা তাদেরকে আল্লাহর আমানত হিসেবে গ্রহণ করেছ এবং আল্লাহর কালেমার মাধ্যমে তাদের লজ্জাস্থান নিজেদের জন্য হালাল করেছ। তাদের উপরে তোমাদের অধিকার এই যে, তারা যেন তোমাদের শয্যায় এমন কোনো লোককে আশ্রয়

না দেয় যাকে তোমরা অপছন্দ কর। যদি তারা এরূপ করে, তবে হালকাভাবে প্রহার করো। আর তোমাদের উপর তাদের ন্যায়সঙ্গত ভরণপোষণের ও পোশাক-পরিচ্ছদের হক্ব রয়েছে’ (ছহীহ মুসলিম, হা/১২১৮)। হাকীম ইবনু মুআবিয়াহ আল-কুশাইরী রহিমাহুল্লাহ তার পিতা থেকে বর্ণনা করেন যে, তার পিতা বলেন, একদা আমি বলি, হে আল্লাহর রাসূল ছাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়াসাল্লাম! আমাদের কারো উপর তার স্ত্রীর কী হক্ব রয়েছে? তিনি ছাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়াসাল্লাম বললেন, ‘তুমি যখন আহার করবে তাকেও আহার করাবে। তুমি পোশাক পরিধান করলে তাকেও পোশাক দিবে। তার মুখমণ্ডলে মারবে না, তাকে গালমন্দ করবে না’ (আবূ দাঊদ, হা/২১৪২)। এই বর্ণনাগুলো প্রমাণ করে যে, সংসারের ব্যয়ভার বহন করার দায়িত্ব হলো স্বামীর। তবে স্ত্রী তার উপার্জিত সম্পদ থেকে যদি স্বেচ্ছায় দেয়, তাহলে তাতে কোনো বাধা নেই। কিন্তু সংসার চালানোতে জোর করে তাদের থেকে অর্থ নেওয়া যাবে না। আল্লাহ বলেন, ‘আর তোমরা নারীদেরকে তাদের মোহর খুশিমনে প্রদান করো। অতঃপর খুশি মনে তারা মোহরের কিছু অংশ ছেড়ে দিলে তোমরা তা স্বাচ্ছন্দ্যে ভোগ করো’ (আন-নিসা, ৪/৪)। আল্লাহ তাআলা আরো বলেন, ‘হে মুমিনগণ! তোমরা একে অপরের সম্পত্তি অন্যায়ভাবে গ্রাস করো না; কিন্তু তোমরা পরস্পর রাযী হলে ব্যবসা করা বৈধ’ (আন-নিসা, ৪/২৯)। আর স্বামী অসহায় হলে স্ত্রীর সম্পদ খরচ করতে পারে (ছহীহ বুখারী, হা/১৪৬২)।

প্রশ্নকারী : আব্দুস সুবহান

রামচন্দ্রপুরহাট, চাঁপাই নবাবগঞ্জ।


Magazine