উত্তর: পুরুষ-নারীর একে-অপরের জন্য তৈরিকৃত পোশাক পরিধান করা কঠোরভাবে নিষিদ্ধ। যারা তা করে, আল্লাহ তাদের প্রতি অভিসম্পাত করেছেন। ইবনু আব্বাস রাযিয়াল্লাহু আনহুমা হতে বর্ণিত, তিনি বলেন, রাসূলুল্লাহ ছাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়াসাল্লাম ঐসব পুরুষদেরকে লা‘নত করেছেন যারা নারীর বেশ ধারণ করে এবং ঐসব নারীদেরকেও লা‘নত করেছেন যারা পুরুষের বেশ ধারণ করে (ছহীহ বুখারী, হা/৫৮৮৫)। আবূ হুরায়রা রাযিয়াল্লাহু আনহু বলেন, রাসূল ছাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়াসাল্লাম সেই পুরুষের ওপর অভিশাপ করেছেন যে মহিলার পোশাক পরিধান করে এবং সে মহিলার উপর অভিশাপ করেছেন যে পুরুষের পোশাক পরিধান করে (আবূ দাঊদ, হা/৪০৯৮; মিশকাত, হা/৪৪৬৯)। ইবনু আব্বাস রাযিয়াল্লাহু আনহু বলেন, নবী ছাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়াসাল্লাম হিজড়ার বেশ ধারণকারী পুরুষের উপর অভিশাপ করেছেন এবং পুরুষের বেশ ধারণকারী নারীর উপর অভিশাপ করেছেন (ছহীহ বুখারী, হা/৬৮৩৪; মিশকাত, হা/৪৪২৮)। ইবনু উমার রাযিয়াল্লাহু আনহু বলেন, রাসূল ছাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়াসাল্লাম বলেছেন, ‘তিন শ্রেণীর লোক জান্নাতে যাবে না- ১. পিতা-মাতার অবাধ্য সন্তান, ২. বাড়িতে বেহায়াপনার সুযোগ প্রদানকারী, ৩. পুরুষের বেশ ধারণকারী নারী’ (নাসাঈ, হা/২৫৬২; ছহীহ তারগীব, হা/২০৭০)। সুতরাং মহিলাদেরকে এধরনের পোশাক পরিধান করা থেকে অবশ্যই বিরত থাকতে হবে।
প্রশ্নকারী : শামীম রেজা
চাঁপাই নবাবগঞ্জ।