উত্তর : ঋণ দেওয়ার সময় ঋণগ্রহীতার নিকট থেকে কোনো কিছু বন্ধক রাখা বৈধ (আল-বাকারা, ২/২৮৩)। রাসূল ছাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়াসাল্লাম এক ইয়াহূদীর নিকট থেকে কিছু খাবার ক্রয় করেছিলেন এবং তার নিকট বর্ম বন্ধক রেখেছিলেন (ছহীহ বুখারী, হা/২০৬৮; ছহীহ মুসলিম, হা/১৬০৩)। তবে বন্ধকগ্রহীতা সেই বন্ধক রাখা জিনিস থেকে উপকৃত হতে পারবে না। কেননাكُلُّ قَرْضٍ جَرَّ مَنْفَعَةً, فَهُوَ رِبًا ‘যে কর্য লাভ টেনে আনে সেটা সূদ’ (বায়হাক্বী, ৫/৩৫০; বুলূগুল মারাম, হা/৮৬১; নায়লুল আওত্বার, ৫/৩৫১)। তবে যদি তা হেফাযত করতে কোনো খরচ করতে হয়, তাহলে খরচের সমপরিমাণ সেখানে থেকে ভোগ করতে পারবে। কিন্তু আমাদের দেশে জমি বন্ধক রাখার প্রচলিত পদ্ধতি হচ্ছে- ‘টাকা প্রদানকারী ততদিন সেই জমি ভোগ দখল করবে যতদিন জমির মালিক টাকা ফেরত না দিবে।’ এমন পদ্ধতি কুরআন ও সুন্নাহতে পাওয়া যায় না। বরং এটি সূদী লেনদেনের একটি কূট-কৌশল, যা সম্পূর্ণরূপে নিষিদ্ধ। যেহেতু এমন বন্ধক রাখা হারাম, তাই এই বন্ধকনামা লিখে দিয়ে টাকা উপার্জন করাও হারাম। কেননা আল্লাহ তাআলা বলেন, ‘তোমরা নেকী ও তাক্বওয়ার কাজে পরস্পরকে সহযোগিতা করো। পাপ ও সীমালংঘনের কাজে পরস্পরকে সহযোগিতা করো না’ (আল-মায়েদা, ৫/২)।
প্রশ্নকারী : শুভ
বগুড়া