কুরআন ও সুন্নাহকে আঁকড়ে ধরার এক অনন্য বার্তা

প্রশ্ন (৪৩): আমি এক ডাক্তারের ফার্মেসীতে কাজ করি। অনেক মানুষ ঔষধ নিতে আসে, তাদের মধ্যে মেয়ে রোগীও আছে। আমি মেয়েদের দিকে রোগী ব্যতীত অন্য কোনো নজরে তাকাই না। কিন্তু রাসূল ছাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়াসাল্লাম মেয়েদের দিকে তাকাতে নিষেধ করেছেন। এখন মেয়েদের দিকে এভাবে তাকালে কি আমার গুনাহ হবে?

উত্তর : কোনো পুরুষের জন্য কোনো বেগানা বা নন-মাহরাম মেয়ের দিকে নজর দেওয়া যাবে না। আল্লাহ তাআলা বলেন, আপনি মুমিনদেরকে বলুন, তারা যেন তাদের দৃষ্টিকে সংযত করে এবং তাদের লজ্জাস্থানের হেফাযত করে; এটাই তাদের জন্য অধিক পবিত্র। তারা যা করে নিশ্চয় আল্লাহ সে বিষয়ে সম্যক অবহিত (আন-নূর, ২৪/৩০)। আবূ হুরায়রা রাযিয়াল্লাহু আনহু হতে বর্ণিত। তিনি বলেন, নবী ছাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়াসাল্লাম বলেছেন, নিশ্চয়ই আল্লাহ তাআলা আদম সন্তানের জন্য যিনার একটা অংশ নির্ধারিত রেখেছেন। সে তাতে অবশ্যই জড়িত হবে। চোখের যিনা হলো দেখা, জিহবার যিনা হলো কথা বলা, কু-প্রবৃত্তি কামনা ও খাহেশ সৃষ্টি করা এবং যৌনাঙ্গ তা সত্য অথবা মিথ্যা প্রমাণ করে (ছহীহ বুখারী, হা/৬২৪৩)। একবার হজ্জের সময় রাসূল ছাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়াসাল্লাম-কে খাসআম গোত্রের এক যুবতী জিজ্ঞাসা করল যে, আমার বাবা খুবই বয়স্ক ব্যক্তি। আল্লাহ তাআলার নির্ধারিত হজ্জ তার উপর ফরয হয়েছে। তার পক্ষ হতে আমি হজ্জ আদায় করলে সেটা কি তার জন্য যথেষ্ট হবে? তিনি ছাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়াসাল্লাম বললেন, তোমার বাবার পক্ষ হতে হজ্জ আদায় করো। আলী রাযিয়াল্লাহু আনহু বলেন, তিনি ছাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়াসাল্লাম এমন সময় ফাযল রাযিয়াল্লাহু আনহু এর ঘাড় অন্যদিকে ঘুরিয়ে দিলেন। আব্বাস রাযিয়াল্লাহু আনহু বললেন, হে আল্লাহর রাসূল! আপনার চাচাতো ভাইয়ের ঘাড় কেন ঘুরিয়ে দিলেন? তিনি ছাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়াসাল্লাম বললেন, আমি লক্ষ্য করলাম যে, এরা দুইজন যুবক-যুবতী। সুতরাং তাদেরকে আমি শয়তান হতে নিরাপদ মনে করিনি (তিরমিযী, হা/৮৮৫)। সুতরাং মহিলাদের দিকে দৃষ্টি না দেওয়ার জন্য সর্বাত্মক চেষ্টা করতে হবে। মহিলাদের চিকিৎসা মহিলাদের মাধ্যমেই করানো উচিৎ। তারপর জরুরি প্রয়োজন দেখা দিলে তাতে কোনো বাধা নেই। কেননা, আল্লাহ তাআলা বলেন, আল্লাহ কারো ওপর তার সাধ্যাতীত বোঝা অর্পণ করেন না (আল-বাকারা, ২/২৮৬)।

প্রশ্নকারী : কাউসার ইসলাম

জামালপুর।


Magazine