গত ১৫ ফেব্রুয়ারি, বৃহস্পতিবার- ঢাকা রিপোর্টার্স ইউনিটির নসরুল হামিদ মিলনায়তনে জাতীয় ওলামা মাশায়েখ আইম্মা পরিষদ আয়োজিত ‘বিতর্কিত জাতীয় পাঠ্যক্রম: প্রজন্মের প্রকৃত শিক্ষা ভাবনা’ শীর্ষক সেমিনারে দেশের বিভিন্ন ঘরনার উলামায়ে কেরাম বক্তব্য রাখেন। আব্দুল্লাহ বিন আব্দুর রাযযাক সেমিনারে মুসলিম অধঃপতনের ইতিহাস তুলে ধরেন। তিনি উছমানী খেলাফতের পতন ও ফিলিস্তীনে ইসরাঈল সৃষ্টির পেছনে ইয়াহূদীদের লবিং ও মুসলিমদের অদূরদর্শিতাকে দায়ী করেন। নতুন সিলেবাসে হিন্দুত্ববাদ ও পশ্চিমা চিন্তার প্রভাব একদিনে তৈরি হয়নি বলে মন্তব্য করেন। এক্ষেত্রে আলেম-উলামাকে তৎক্ষণাৎ রি-এক্ট না করে এক্ট তথা রাষ্ট্রীয় নীতিনির্ধারক পর্যায়ে লবিং করে এগিয়ে যাওয়ার পরামর্শ দেন। মুসলিম উম্মাহর পিছিয়ে পড়ার ক্ষেত্রে শিক্ষায় পশ্চাদপদতা, চারিত্রিক অবক্ষয়, ন্যায়পরায়ণতা, সততা ও আমানতদারিতার অভাবকে দায়ী করেন। তিনি ছাহাবায়ে কেরামের জীবনকে অনুসরণীয় বলে উল্লেখ করেন এবং সেই সোনালি যুগে মানুষদের ফিরে যেতে উদাত্ত আহ্বান জানান। তিনি সারা দেশে মসজিদভিত্তিক মক্তবকে দ্বীন শিক্ষার বিকল্প ব্যবস্থা গড়ে তোলার আহ্বান জানান। পরিশেষে তিনি শিক্ষার সকল স্তরে কুরআনী শিক্ষা ও রাসূল ছাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়াসাল্লাম-এর সীরাতকে জাতীয় শিক্ষা ও কারিকুলামের অন্তর্ভুক্ত করার জোর দাবি জানান।