ভয়াবহ মানবিক সংকট তৈরি হয়েছে ইয়ামানে। ডিসেম্বর মাসে জাতিসংঘের বিশ্ব খাদ্য কর্মসূচি (WFP) জানিয়েছিল তহবিলের অভাবে এই সংস্থা ইয়ামানের ৮০ লাখ দরিদ্র মানুষকে খাদ্য সহায়তা দেওয়ার মাত্রা কমিয়ে দিতে বাধ্য হয়েছে। সংস্থাটি গত মাসে আরও এক দফা খাদ্য সহায়তার মাত্রা কমিয়ে আনার কথা ঘোষণা করে। এ পরিস্থিতির পেছনে অর্থ সাহায্যের অভাব, বিশ্বের অর্থনৈতিক মন্দা, মুদ্রাস্ফীতি ও ইউক্রেন যুদ্ধের প্রভাবকে দায়ী করা হচ্ছে।
ফলে দেশটিতে এক কোটি ৯০ লাখেরও বেশি মানুষ এখন অনাহারে রয়েছে বলে জানানো হয়েছে তাদের এক প্রতিবেদনে। ইয়ামানে ত্রাণ সাহায্যের বাজেট বা তহবিল কমিয়ে দেওয়ার কারণে দেশটির ৫০ লাখ ইয়ামানী তাদের দৈনিক প্রয়োজনের তুলনায় অর্ধেকেরও কম খাদ্য পাবে এখন থেকে এবং ৮০ লাখ ইয়ামানী তাদের দৈনিক চাহিদার এক-তৃতীয়াংশেরও কম খাদ্য পাবে এখন থেকে। জাতিসংঘের শিশু বিষয়ক সংস্থা ইউনিসেফ ইয়ামানে অপুষ্টির মারাত্মক শিকার ৫০ হাজারেরও বেশি শিশুর চিকিৎসা সেবা দেওয়া বন্ধ করে দিতে পারে জুলাই থেকে। একইসঙ্গে জাতিসংঘ ইয়ামানের মা ও শিশু বিষয়ক স্বাস্থ্য-সেবা কর্মসূচি বন্ধ করে দেবে, ২৫ লাখ ইয়ামানী শিশু ও এক লাখ ইয়ামানী মা এ কর্মসূচির আওতায় সেবা পেতেন। মানব ইতিহাসের অন্যতম প্রাচীন বসতি আর আরব বিশ্বের সবচেয়ে গরীব দেশ ইয়ামান। গৃহযুদ্ধে দেশটি পুরোপুরি বিপর্যস্ত হয়ে পড়েছে।