উত্তর: পাশা-পাশি অবস্থিত সুবিধা ভোগী নিজের পৈত্রিক সম্পত্তি বিক্রয়ের সময় আত্মীয়দের অবহিত করার পর তারা যদি বাজার মূল্য দিতে চাই তাহলে তাদেরকেই দিতে হবে। শরীআতের পরিভাষায় এটাকে হক্বে শুফআ বা শুফআর হক্ব বলা হয়। এ হক্ব ঐ সকল জিনিসের ক্ষেত্রে প্রযোজ্য যা ভাগ করা যায় না এবং মাঝে কোনো সীমারেখা থাকে না। যাবের রযিয়াল্লাহু আনহু থেকে বর্ণিত, তিনি বলেন, যে সকল সম্পদ ভাগ করা যায় না সে সকল সম্পদে শুফআর বিধান কার্যকর করেছেন। তবে, যদি মাঝে কোন সীমারেখা প্রতিষ্ঠিত হয়ে যায় অথবা রাস্তা ভিন্ন হয় তাহলে, তাতে শুফআর হক্ব নেই (ছহীহ বুখারী, হা/২০৯৯)। আর যদি তারা বাজার মূল্যের কম দিতে চাই এবং এর জন্য সে বেশি মূল্যে অন্যত্র বিক্রয় করে দেয় এতে দোষের কিছু নেই। সুতরাং সে ব্যক্তি সঠিক কাজ করেছে। এর জন্য ক্রেতা ও বিক্রেতা কাউকে দায়ী করা যাবে না। তাই এখানে হক্ব নষ্ট হওয়ার কোনো প্রশ্নই উঠে না। আর এ ক্ষেত্রে সে জুলুমও করেনি। রাসূল ছাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়াসাল্লাম বলেন, তোমরা জুলুম করা হতে বেঁচে থাকো’ (ছহীহ মুসলিম, হা/৬৭৪১)। সুতরাং এমন বিক্রি গোপনে না করে প্রকাশ্যে করাই ভালো ছিল।
প্রশ্নকারী : মেসবাহুল হক
কুয়েত।