কুরআন ও সুন্নাহকে আঁকড়ে ধরার এক অনন্য বার্তা

ভারতীয় ৫২৭ খাদ্যপণ্যে ক্যানসার-সৃষ্টিকারী রাসায়নিক পেয়েছে ইইউ

post title will place here

ক্যানসার-সৃষ্টিকারী রাসায়নিক ইথিলিন অক্সাইডের উপস্থিতি মেলায় ভারতীয় দুই কোম্পানির পণ্য হংকং এবং সিঙ্গাপুর নিষিদ্ধ করার ঘটনার রেশ কাটতে না কাটতেই এবার ইউরোপীয় ইউনিয়নে (ইইউ) রপ্তানি করা ভারতের ৫২৭ পণ্যে ইথিলিন অক্সাইড রাসায়নিকের অস্তিত্ব পাওয়া গেছে। গত ২৫ এপ্রিল, বুধবার ভারতীয় সংবাদমাধ্যম ডেকান হেরাল্ড, ইন্ডিয়ান এক্সপ্রেসসহ দেশটির প্রথম সারির প্রায় সব গণমাধ্যমে এই তথ্য জানানো হয়েছে। ইউরোপে রপ্তানি করা ভারতীয় এসব পণ্যের ৮৭টি চালান ইউরোপীয় ইউনিয়নের সীমান্তে আটকে দেওয়া হয়েছে। এছাড়া বাকিপণ্য বাজার থেকে সরিয়ে নেওয়া হয়। প্রতিবেদনে বলা হয়েছে, এক ধরনের রংহীন গ্যাস ইথিলিন অক্সাইড; যা ভারতীয় পণ্যগুলোতে কীটনাশক ও জীবাণুমুক্ত করার রাসায়নিক হিসেবে ব্যবহার করা হয়েছিল। সাধারণত এই রাসায়নিক চিকিৎসা সরঞ্জাম জীবাণুমুক্ত করার কাজে ব্যবহার করা হয়। তবে খাদ্যদ্রব্যে ব্যবহার করা এই রাসায়নিক শরীরে প্রবেশ করলে তা অন্যান্য ক্যানসারের পাশাপাশি লিম্ফোমা এবং লিউকেমিয়ার ঝুঁকি তৈরি করে। ইউরোপীয় ইউনিয়নের সদস্য দেশগুলোতে খাদ্য নিরাপত্তা নিয়ে কাজ করা সংস্থা র‍্যাপিড অ্যালার্ট সিস্টেম ফর ফুড অ্যান্ড ফিডের (আরএএসএফএফ) তথ্য অনুযায়ী, ৫২৫টি খাদ্যদ্রব্য ও দুটি ফিড পণ্যে রাসায়নিকটি পাওয়া গেছে। এর মধ্যে ৩৩২টি পণ্যের উৎস দেশ ভারত বলে উল্লেখ করা হয়েছে। আর বাকি খাদ্যপণ্য অন্যান্য দেশ থেকে গেলেও সেগুলোতে ভারতের ট্যাগ ব্যবহার করা হয়েছে। ইউরোপে খাদ্যপণ্য পরীক্ষাকারী রামাইয়াহ অ্যাডভান্সড টেস্টিং ল্যাবের সিওও জুবিন জর্জ জোসেফ বলেছেন, সরাসরি ইথিলিন অক্সাইডের সংস্পর্শে আসা ছাড়াও খাদ্যপণ্যে মেলা আরও দুটি রাসায়নিক ভোক্তাদের জন্য অত্যন্ত সংবেদনশীল। তিনি বলেন, এগুলোর মধ্যে সবচেয়ে বিপজ্জনক ইথিলিন গ্লাইকল। কিছুদিন আগে আফ্রিকায় কাশির সিরাপের মধ্যে এই রাসায়নিক পাওয়া যায়। আফ্রিকায় এই সিরাপ খেয়ে অনেক শিশুর প্রাণহানি ঘটেছে। এর আগে, গত ২৩ এপ্রিল ব্রিটিশ বার্তা সংস্থা রয়টার্সের এক প্রতিবেদনে বলা হয়, ভারতীয় কোম্পানি এমডিএইচ ও এভারেস্ট স্পাইসেসের গুঁড়া মসলা বিক্রিতে নিষেধাজ্ঞা আরোপ করেছে হংকং এবং সিঙ্গাপুর। হংকংয়ে ভারতীয় দুই কোম্পানির গুঁড়া মসলায় ক্যানসার-সৃষ্টিকারী রাসায়নিক ইথিলিন অক্সাইডের উপস্থিতি পাওয়ার পর ওই সিদ্ধান্ত নেওয়া হয়। এতে বলা হয়, চলতি মাসে হংকং মাছ রান্নায় ব্যবহৃত ভারতীয় কোম্পানি এমডিএইচের তিন ধরনের গুঁড়া মসলা ও এভারেস্টের একটি গুঁড়া মসলার বিক্রি স্থগিত করেছে। সিঙ্গাপুরও দেশটির বাজার থেকে এভারেস্টের গুঁড়া মসলা প্রত্যাহার করার নির্দেশ দিয়েছে। একই সঙ্গে রান্নার কাজে এসব মসলা ব্যবহার না করার পরামর্শ দিয়েছে। এই ঘটনার পর ভারতীয় খাদ্য কর্তৃপক্ষ এমডিএইচ এবং এভারেস্টের গুঁড়া মসলার মান পরীক্ষার নির্দেশ দিয়েছে।


Magazine