কুরআন ও সুন্নাহকে আঁকড়ে ধরার এক অনন্য বার্তা

প্রশ্ন (২২): প্রতিমা পূজাতে আক্রমণ ঠেকাতে একজন মুমিন কি পূজা চলমান অবস্থায় পাহারা দিতে পারে? তাকে এই দায়িত্ব দেওয়া হয়নি, কিন্তু সে দেশের কথা বিবেচনা করে এই কাজে অংশ নিতে চাইছে। যদিও সে অন্তর থেকে এসব কাজকে ঘৃণা করে আর এখানে সরকার কর্তৃক দায়িত্বশীল পুলিশ বা অন্য বাহিনী থাকবে। কিন্তু এখন পুলিশ বা অন্য বাহিনীর উপর যেহেতু আস্থা রাখা যাচ্ছে না, তাই এই কাজে শামিল হওয়া যাবে কি?

উত্তর: সাধারণভাবে অমুসলিমদের মন্দির বা পূজা পাহারা দেওয়া মুসলিমের জন্য হারাম। কেননা তারা স্পষ্ট শিরকের সাথে জড়িত এবং এটা তাদের শিরকের প্রতি সমর্থন ও ভালোবাসার প্রকাশ। আল্লাহ বলেন, ‘তোমরা গুনাহ ও সীমালংঘনের কাজে সহযোগিতা করো না’ (আল-মায়েদা, ৫/২)। ইবনু আব্বাস h হতে বর্ণিত, নবী ছাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়াসাল্লাম যখন কা‘বা ঘরে ছবিগুলো দেখতে পেলেন, তখন যে পর্যন্ত তাঁর নির্দেশে তা মিটিয়ে ফেলা না হলো, সে পর্যন্ত তিনি তাতে প্রবেশ করলেন না (ছহীহ বুখারী, হা/৩৩৫২)। তবে যিম্মীদের ধর্মীয় অধিকার রক্ষার্থে সেখানে রাষ্ট্রীয় বাহিনীদের পাহারার দায়িত্ব দেওয়া হলে তারা তাদের দায়িত্ব পালন করতে পারে। সেক্ষেত্রে সাধারণ জনগণ স্বপ্রণোদিত হয়ে পাহারা দিতে পারবে না। তবে অনাকাঙ্ক্ষিত কোনো কারণে দেশের আইন-শৃঙ্খলা যদি না থাকে বা আইন-শৃঙ্খলার অবনতি হয় আর মুসলিমদের প্রশ্নবিদ্ধ করার জন্য যিম্মী বা তাদের উপাসনালয়ে হামলা করা হয়, তাহলে তাদেরকে অথবা তাদের নিরাপত্তা বা শৃঙ্খলা রক্ষার্থে পাহারা দেওয়া যেতে পারে। যিম্মীদের নিরাপত্তার ব্যাপারে নবী ছাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়াসাল্লাম বলেন, ‘যে ব্যক্তি কোনো যিম্মীকে হত্যা করে, সে জান্নাতের ঘ্রাণ পাবে না। যদিও জান্নাতের ঘ্রাণ চল্লিশ বছরের দূরত্ব হতে পাওয়া যাবে’ (ছহীহ বুখারী, হা/৩১৬৬)।

প্রশ্নকারী : আবূ তাহের

পাবনা।


Magazine