উত্তর : এমতাবস্থায় ঋতুর প্রারম্ভের সময়গুলো লক্ষণীয়। প্রথমদিকে যে ক’দিনে ঋতুস্রাব বন্ধ হতো, এখন সে কয়েকদিনই ঋতু হিসাবে গণ্য হবে। এই দিনগুলো পার হওয়ার পর পূর্বের ন্যায় ছালাত পড়তে হবে। কেননা ফাতেমা বিনতে আবূ হুবায়শ রক্তজনিত রোগের অভিযোগ করলে রাসূলুল্লাহ ছাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়াসাল্লাম ২৩-২৪ দিন পবিত্রতা হিসাবে গণ্য করতে বলে বাকি ৬/৭ দিন ঋতু হিসাবে গণ্য করতে বললেন এবং এ কথাও বললেন, ৬/৭ দিন পর গোসল করে ছালাত আদায় করবে। আয়েশা রযিয়াল্লাহু আনহা হতে বর্ণিত, তিনি বলেন, ফাতেমা বিনতে আবূ হুবায়শ রযিয়াল্লাহু আনহা নবী ছাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়াসাল্লাম-এর নিকট এসে বললেন, ‘হে আল্লাহর রাসূল! আমি একজন রক্তপ্রদর রোগগ্রস্তা (ইস্তিহাযা) মহিলা। আমি কখনো পবিত্র হতে পারি না। এমতাবস্থায় আমি কি ছালাত পরিত্যাগ করব?’ আল্লাহর রাসূল ছাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়াসাল্লাম বললেন, ‘না, এ তো শিরা হতে নির্গত রক্ত; হায়েয নয়। তাই যখন তোমার হায়েয আসবে তখন ছালাত ছেড়ে দিয়ো। আর যখন তা বন্ধ হবে তখন রক্ত ধুয়ে ফেলবে, তারপর ছালাত আদায় করবে’ (ছহীহ বুখারী, হা/২২৮; ছহীহ মুসলিম, হা/৩৩৩)।
প্রশ্নকারী : রুবিনা বিনতে রফীকুল
ডিমলা, নীলফামারী।