কুরআন ও সুন্নাহকে আঁকড়ে ধরার এক অনন্য বার্তা

মসজিদ ধ্বংসের পরিকল্পনাকারী মার্কিন সেনার ইসলাম গ্রহণ

মার্কিন নৌবাহিনীর সদস্য ছিলেন রিচার্ড ম্যাককিনি। ইরাক ও আফগানিস্তানে নিযুক্ত থাকাকালীন তার মনে ইসলাম বিদ্বেষ গেঁথে গিয়েছিল। সামরিক বাহিনীতে কাজ করার সময় ম্যাককিনির কাছে মুসলিম হত্যা ছিল অতি সহজ বিষয় এবং তিনি প্রতিটি হত্যা করার পর তার হিসাব রাখতে বিন্দুর মতো ট্যাটু নিজের বুকে আঁকতেন। মেরিন বাহিনী থেকে অবসরের পর আমেরিকার ইন্ডিয়ানা অঙ্গরাজ্যের মুন্সি শহরে ফেরেন রিচার্ড। তার মনে মুসলিমদের প্রতি ঘৃণা এতই অধিক ছিল যে, তিনি সকল মুসলিমের মৃত্যু কামনা করতেন। ম্যাককিনি তার এলাকার মসজিদটি উড়িয়ে দেওয়ার জন্য নিজে বোমা তৈরির পরিকল্পনা করেন। এতে অন্তত ২০০ মুসলিম নিহত হবে, তার মৃত্যুদণ্ড হতে পারে জেনেও তিনি কোনো পরোয়া করেননি। ২০০৯ সালে মুন্সির ইসলামিক সেন্টারটি বোমা মেরে ধ্বংস করার পরিকল্পনা করেন তিনি। তবে ধ্বংসের আগে ইসলাম সম্পর্কে তার সব ধারণা ঠিক কি-না তা যাচাই করতে শেষবারের মতো মসজিদে প্রবেশ করেন ম্যাককিনি। কিন্তু মসজিদে ঢুকতেই তার চিন্তা বদলে যায়। মসজিদে বন্দুক নিয়ে ঢুকলেও কেউ তাকে মারার জন্য ছুটে আসে না। বরং তার হাত থেকে বন্দুকটি নিয়ে নেন এক মুছল্লী। এমনটা কখনই আশা করেননি ম্যাককিনি। তিনি ভেবেছিলেন এটাই হয়তো তার শেষদিন হবে। কিন্তু মসজিদের সেই ঘটনা তার জীবন আমূল বদলে দেয়। এরপর ধীরে ধীরে মসজিদে যাওয়া শুরু করেন ম্যাককিনি। শুরু করেন কুরআন পাঠ। মনের সব প্রশ্নের উত্তর তিনি পেয়ে যান মসজিদে। তিনি বলেন, কেউ আমার সঙ্গে দুর্ব্যবহার বা ঘৃণাপূর্ণ আচরণ করেনি, মুসলিম হওয়ার আগেই সবাই আমাকে ভাইয়ের মতো গ্রহণ করেছে। মসজিদে প্রথম প্রবেশের আট মাস পর ম্যাককিনি ইসলাম গ্রহণ করেন এবং পরবর্তীতে দুই বছরের জন্য সেই মসজিদের প্রেসিডেন্ট পদেও দায়িত্ব পালন করেন (আল-হামদুলিল্লাহ)

Magazine