দেশে প্রতিদিন গড়ে ৭৫৯ জন মানুষ মারা যায় হৃদরোগে। দেশে কম বয়সী হৃদরোগীর সংখ্যা বাড়ছে। উন্নত বিশ্বের তুলনায় এই হার ১৭ গুণ বেশি। বাড়ছে অল্প বয়সে মৃত্যুও। অল্প বয়সে ধূমপান, মদ্যপান, কোলেস্টেরল ও চর্বিসমৃদ্ধ খাবার খাওয়া, অসচেতনতা ও খাদ্যে অতিরিক্ত লবণের ব্যবহার, অনিয়ন্ত্রিত জীবনযাপন, ডায়াবেটিস হওয়া এর অন্যতম কারণ। বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিব মেডিকেল বিশ্ববিদ্যালয়ের (বিএসএমএমইউ) এক গবেষণার ফলাফলে এ তথ্য জানা যায়। ন্যাশনাল হার্ট ফাউন্ডেশনের আরেক গবেষণার ফলাফলে উল্লেখ করা হয়, অত্যধিক লবণযুক্ত প্যাকেটজাত খাবারে হৃদরোগী বাড়ছে। বিশ্বের অন্যান্য দেশের মতো বাংলাদেশেও সবচেয়ে বেশি মৃত্যু ঘটে হৃদরোগে। ফলে হৃদরোগ শুধু বড়দের নয়, শিশু-কিশোরদের মধ্যেও দেখা যাচ্ছে। বিশ্ব স্বাস্থ্য সংস্থার (WHO) মতে, প্রতিবছর বিশ্বে ১৯ লাখ মানুষ তামাক ব্যবহারজনিত হৃদরোগে মৃত্যুবরণ করে। এই রোগে বাংলাদেশে প্রতিবছর মারা যায় দুই লাখ ৭৭ হাজার মানুষ, যার ২৪ শতাংশের জন্য দায়ী তামাক। গ্লোবাল বারডেন অব ডিজিজ স্টাডি (GBD) ২০১৯-এর তথ্য অনুযায়ী, দেশে মৃত্যু ও পঙ্গুত্বের প্রধান চারটি কারণের একটি তামাক। দেশে তামাক ব্যবহারজনিত অসুখে বছরে এক লাখ ৬১ হাজার মানুষ মারা যায়। বর্তমানে প্রাপ্তবয়স্ক জনগোষ্ঠীর ৩৫.৩ শতাংশ (তিন কোটি ৭৮ লাখ) তামাক ব্যবহার করছে, যা হৃদরোগ পরিস্থিতিকে আরো উদ্বেগজনক করে তুলছে। সাধারণত ৬০ বছর বয়স থেকে প্রথম হার্ট অ্যাটাক হয়; কিন্তু আমাদের দেশে ৩৫ বছরের কম বয়সী অসংখ্য ব্যক্তির হার্ট অ্যাটাক হচ্ছে। ফলে অপরিণত বয়সে মৃত্যুও বাড়ছে।