উত্তর: ফেতনার আশঙ্কা না থাকলে পুরুষ-নারীর একে অপরকে সালাম দেওয়া বা সালামের জবাব দেওয়াতে কোনো সমস্যা নেই। আল্লাহ তাআলা বলেন, ‘আর যখন তোমাদেরকে অভিবাদন করা হয় (সালাম দেওয়া হয়), তখন তোমরাও তা অপেক্ষা উত্তম অভিবাদন করো অথবা তারই অনুরূপ করো’ (আন-নিসা, ৪/৮৬)। আবূ হাশেম থেকে বর্ণিত, সাহল ইবনে সা‘দ রাযিয়াল্লাহু আনহু বলেছেন, জুমআর দিন আমরা খুশি হতাম। (আবূ হাশেম বলেন) আমি জিজ্ঞেস করলাম, কেন? তিনি বললেন, আমাদের এখানে এক বৃদ্ধা ছিল। সেই বৃদ্ধা এক প্রকার সবজির শিকড় তুলে পাতিলে রাখত এবং যবের কয়েকটি দানা তাতে ঢেলে দিয়ে খাবার তৈরি করত। আমরা জুমআর ছালাত শেষ করে ঐ বৃদ্ধার নিকট যেতাম এবং তাকে সালাম করতাম (ছহীহ বুখারী, হা/৬২৪৮)। উম্মে হানী বিনতে আবূ তালিব রাযিয়াল্লাহু আনহা থেকে বর্ণিত, তিনি বলেন, আমি মক্কা বিজয়ের বছর রাসূলুল্লাহ ছাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়াসাল্লাম-এর কাছে গিয়ে তাঁকে গোসলরত অবস্থায় দেখলাম, ফাতিমা রাযিয়াল্লাহু আনহা তাঁকে পর্দা করে রেখেছিলেন। তিনি বলেন, আমি তাকে সালাম দিলাম (ছহীহ বুখারী, হা/৩৫৭)। জারীর রাযিয়াল্লাহু আনহু বলেন, নবী ছাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়াসাল্লাম কিছু মহিলার পাশ দিয়ে যাচ্ছিলেন তখন তিনি তাদের সালাম দেন (মুসনাদে আহমাদ, হা/১৯২১৪)।
প্রশ্নকারী : সিয়াম শিকদার