কুরআন ও সুন্নাহকে আঁকড়ে ধরার এক অনন্য বার্তা

আল-কুরআনে মানুষ: মর্যাদা ও স্বরূপ বিশ্লেষণ (শেষ পর্ব)

post title will place here

(১৬) ভীতু বেহায়া: ভয়-ভীতি মানুষের প্রাকৃতিক স্বভাব বটে। কিন্তু এ ভীতির সঙ্গে অনেক সময় নির্লজ্জ ও ভীতু বেহায়া স্বভাবে পরিণত করে। বস্তুত, মিথ্যা আশ্রয় নেওয়ার জন্য এটি মানুষের অন্যতম কূটকৌশল। আল্লাহ তাআলা বলেন, وَلَوْ تَرَى إِذْ وُقِفُوا عَلَى النَّارِ فَقَالُوا يَالَيْتَنَا نُرَدُّ وَلَا نُكَذِّبَ بِآيَاتِ رَبِّنَا وَنَكُونَ مِنْ الْمُؤْمِنِينَ - بَلْ بَدَا لَهُمْ مَا كَانُوا يُخْفُونَ مِنْ قَبْلُ وَلَوْ رُدُّوا لَعَادُوا لِمَا نُهُوا عَنْهُ وَإِنَّهُمْ لَكَاذِبُونَ ‘তুমি যদি দেখতে পেতে যখন তাদেরকে অগ্নির পাশে দাঁড় করানো হবে এবং তারা বলবে, হায়! যদি আমাদেরকে পুনরায় পাঠানো হতো; তবে আমরা আমাদের প্রতিপালকের নিদর্শনকে অস্বীকার করতাম না এবং আমরা মুমিনদের অন্তর্ভুক্ত হতাম। বস্তুত, পূর্বে তারা যা গোপন করত তা তাদের নিকট প্রকাশ পেয়েছে আর তারা প্রত্যাবর্তিত হলেও তাই করবে, যা তাদেরকে নিষেধ করা হয়েছিল। আর নিশ্চয় তারা মিথ্যাবাদী’ (আল-আনআম, ৬/২৭-২৮)

(১৭) স্বেচ্ছাচারী: অহংকারবশত মানুষ অনেক সময় স্বেচ্ছাচারী হয়ে উঠে। তারা নিজেদেরকে কোনো নির্দিষ্ট পথের পথিক কিংবা কোনো দল বা জামাআতের অন্তর্ভুক্তও মনে করে না। এ মর্মে কুরআনে এসেছে,أَوَكُلَّمَا عَاهَدُوا عَهْدًا نَبَذَهُ فَرِيقٌ مِنْهُمْ بَلْ أَكْثَرُهُمْ لَا يُؤْمِنُونَ ‘তবে কি যখনই তারা অঙ্গীকারবদ্ধ হয়েছে, তখনই তাদের কোনো একদল তা ভঙ্গ করেছে? বরং তাদের অধিকাংশই বিশ্বাস করে না’ (আল-বাক্বারা, ২/১০০)

(১৮) গোঁয়ার ও স্থবির প্রকৃতির: সমাজে এমন এক শ্রেণির মানুষ রয়েছে যারা অত্যন্ত গোঁয়ার এবং স্থবির প্রকৃতির। তারা নিজেরা যা বুঝে অন্যেরা তার ধারেকাছেও পৌঁছাতে সক্ষম নয় বলে ধারণা পোষণ করে। ইসলামের প্রাথমিক যুগে এ ধরনের গোঁয়ারতুমির জন্যই এক শ্রেণির মানুষ ইসলামের সুশীতল ছায়া থেকে বঞ্চিত ছিল। মনে হয় যেন তাদের পাগুলো পাথর দিয়ে তৈরি। তারা এ অবস্থা থেকে পরিত্রাণের কোনো চেষ্টা করেনি। মহান আল্লাহ তাদের স্বরূপ সম্পর্কে বলেন,وَإِذَا قِيلَ لَهُمْ اتَّبِعُوا مَا أَنزَلَ اللهُ قَالُوا بَلْ نَتَّبِعُ مَا أَلْفَيْنَا عَلَيْهِ آبَاءَنَا أَوَلَوْ كَانَ آبَاؤُهُمْ لَا يَعْقِلُونَ شَيْئًا وَلَا يَهْتَدُونَ ‘আর যখন তাদেরকে বলা হয়, আল্লাহ যা অবতীর্ণ করেছেন তা তোমরা অনুসরণ করো; তারা বলে, না, বরং আমরা আমাদের পিতৃপুরুষদেরকে যাতে পেয়েছি, আমরা তার অনুসরণ করব। তাদের পিতৃপুরুষগণ যদিও কিছু না বুঝে এবং তারা সৎপথে পরিচালিত না হয়, তথাপিও’ (আল-বাক্বারা, ২/১৭০)

(১৯) পার্থিব জীবনের মোহে মোহগ্রস্ত: এমন কিছু লোক আছে যারা পার্থিব জীবনকেই বেশি গুরুত্ব দেয়। যেখানেই থাকুক না কেন পার্থিব চাহিদাটাই তাদের কাছে বড়। তারা একে এত বেশি গুরুত্ব দেয় যে, প্রয়োজনে লাঞ্ছনার জীবন যাপন করতে রাজি তথাপিও দুনিয়ার সহায়-সম্পদ ও লোভ-লালসায় মত্ত থাকা থেকে বিরত থাকতে পারে না। আল্লাহ তাআলা বলেন,وَلَتَجِدَنَّهُمْ أَحْرَصَ النَّاسِ عَلَى حَيَاةٍ وَمِنْ الَّذِينَ أَشْرَكُوا يَوَدُّ أَحَدُهُمْ لَوْ يُعَمَّرُ أَلْفَ سَنَةٍ وَمَا هُوَ بِمُزَحْزِحِهِ مِنْ الْعَذَابِ أَنْ يُعَمَّرَ وَاللهُ بَصِيرٌ بِمَا يَعْمَلُونَ ‘তুমি নিশ্চয় তাদেরকে জীবনের প্রতি মানুষদের মাঝে সর্বাধিক লোভী পাবে, এমনকি মুশরেকদের অপেক্ষাও অধিক লোভী। তাদের কেউ কেউ আকাঙ্ক্ষা করে, যদি তাকে সহস্র বছর আয়ু দেওয়া হতো; তাকে অনুরূপ আয়ু দেওয়া হলেও এটি তাকে শাস্তি হতে দূরে রাখতে পারবে না। তারা যা করে আল্লাহ তার দ্রষ্টা’ (আল-বাক্বারা, ২/৯৬)। অন্যত্র আল্লাহ তাআলা বলেন,إِنَّ هَؤُلَاءِ يُحِبُّونَ الْعَاجِلَةَ وَيَذَرُونَ وَرَاءَهُمْ يَوْمًا ثَقِيلًا ‘নিশ্চয় তারা ভালোবাসে পার্থিব জীবনকে এবং তারা পেছনে কঠিন দিবসকে রাখে’ (আদ-দাহর, ৭৬/২৭)

(২০) কৃপণ: যারা প্রয়োজনের মুহূর্তে খরচ করে না, তারা কৃপণ। যদি কেউ খরচ করার পর ক্ষতিগ্রস্ত হয়, তখন সে বিজয়ের হাসি হেসে বলে, যাক আমি খরচ না করে ভালোই করেছি। আমার টাকাগুলো রয়ে গেল। আর যদি জিহাদে কোনো কল্যাণ লাভ হয়, তখন আক্ষেপ করে বলে, হায়! যদি আমিও খরচ করতাম, তবে লাভ হতো। আল্লাহ তাআলা বলেন,وَإِنَّ مِنْكُمْ لَمَنْ لَيُبَطِّئَنَّ فَإِنْ أَصَابَتْكُمْ مُصِيبَةٌ قَالَ قَدْ أَنْعَمَ اللهُ عَلَيَّ إِذْ لَمْ أَكُنْ مَعَهُمْ شَهِيدًا، وَلَئِنْ أَصَابَكُمْ فَضْلٌ مِنَ اللهِ لَيَقُولَنَّ كَأَنْ لَمْ تَكُنْ بَيْنَكُمْ وَبَيْنَهُ مَوَدَّةٌ يَا لَيْتَنِي كُنتُ مَعَهُمْ فَأَفُوزَ فَوْزًا عَظِيمًا ‘তোমাদের মধ্যে এমন কতক লোক আছে, যারা গড়িমসি করবেই। তোমাদের কোনো মুছীবত হলে সে বলবে, তাদের সঙ্গে না থাকায় আল্লাহ আমার প্রতি অনুগ্রহ করেছেন। আর তোমাদের প্রতি আল্লাহর অনুগ্রহ আসলে, যেন তোমাদের ও তার মধ্যে কোনো সম্পর্ক নাই এমনভাবে বলবেই, হায়! যদি তাদের সাথে থাকতাম, তবে আমিও বিরাট সাফল্য লাভ করতাম’ (আন-নিসা, ৪/৭২-৭৩)

(২১) ভিতর ও বাইরের বৈপরীত্য: কিছু লোক আছে যাদের বাইরের ও ভিতরের কোনো মিল নেই। মনে হয় সে একজন নয়, দুজন মানুষ। এ মর্মে মহান আল্লাহ বলেন,وَمِنْ النَّاسِ مَنْ يُعْجِبُكَ قَوْلُهُ فِي الْحَيَاةِ الدُّنْيَا وَيُشْهِدُ اللهَ عَلَى مَا فِي قَلْبِهِ وَهُوَ أَلَدُّ الْخِصَامِ ، وَإِذَا تَوَلَّى سَعَى فِي الْأَرْضِ لِيُفْسِدَ فِيهَا وَيُهْلِكَ الْحَرْثَ وَالنَّسْلَ وَاللهُ لَا يُحِبُّ الْفَسَادَ ‘আর মানুষের মধ্যে এমন ব্যক্তি আছে, পার্থিব জীবন সম্পর্কে যার কথাবার্তা তোমাকে চমৎকৃত করে তুলবে এবং তার অন্তরে যা আছে সে সম্বন্ধে সে আল্লাহকে সাক্ষী রাখে। প্রকৃতপক্ষে সে ভীষণ কলহপ্রিয়। যখন সে প্রস্থান করে, তখন সে পৃথিবীতে অশান্তি সৃষ্টি করে এবং শস্যক্ষেত্র ও জীবজন্তু নিপাতের চেষ্টা করে। আর আল্লাহ অশান্তি পছন্দ করেন না’ (আল-বাক্বারা, ২/২০৪-২০৫)

(২২) স্বল্প বুদ্ধিসম্পন্ন: কিছু লোক এমন স্বল্প বুদ্ধির হয়ে থাকে, তাদের সামনে কী বলা হলো না হলো, সে সম্পর্কে সম্পূর্ণ উদাসীন। কুরআনের ভাষায়,وَمِنْهُمْ مَنْ يَسْتَمِعُ إِلَيْكَ حَتَّى إِذَا خَرَجُوا مِنْ عِنْدِكَ قَالُوا لِلَّذِينَ أُوتُوا الْعِلْمَ مَاذَا قَالَ آنِفًا ‘তাদের মধ্যে কতক লোক আপনার কথার দিকে কান পাতে ঠিকই; কিন্তু বাইরে বের হওয়া মাত্রই যারা শিক্ষিত তাদেরকে বলে, এই মাত্র তিনি কী বললেন?’ (মুহাম্মাদ, ৪৭/১৬)

(২৩) মুমূর্ষু অবস্থায় তওবাকারী: তওবা (توبة) অর্থ হলো অনুশোচনা, অনুতাপ, প্রত্যাবর্তন, ক্ষমা।[1] মানুষ সাধারণত অপরাধপ্রবণ। কোনো না কোনোভাবে সে অপরাধের সাথে জড়িয়ে পড়ে। মহান আল্লাহ তা থেকে পরিত্রাণের জন্য তওবার ব্যবস্থা রেখেছেন আর এটি অপরাধ সংঘটিত হওয়ার পরপরই তাৎক্ষণিকভাবে করতে হয়। অথচ কতিপয় লোক ইচ্ছামাফিক গোটা জিন্দেগী অন্যায় পথে যাপন করে মৃত্যুর পূর্ব মুহূর্তে তওবা করে। কিন্তু তাদের এ তওবা গ্রহণযোগ্য নয়। আল্লাহ তাআলা বলেন,إِنَّمَا التَّوْبَةُ عَلَى اللهِ لِلَّذِينَ يَعْمَلُونَ السُّوءَ بِجَهَالَةٍ ثُمَّ يَتُوبُونَ مِنْ قَرِيبٍ فَأُوْلَئِكَ يَتُوبُ اللهُ عَلَيْهِمْ وَكَانَ اللهُ عَلِيمًا حَكِيمًا، وَلَيْسَتْ التَّوْبَةُ لِلَّذِينَ يَعْمَلُونَ السَّيِّئَاتِ حَتَّى إِذَا حَضَرَ أَحَدَهُمْ الْمَوْتُ قَالَ إِنِّي تُبْتُ الْآنَ وَلَا الَّذِينَ يَمُوتُونَ وَهُمْ كُفَّارٌ أُوْلَئِكَ أَعْتَدْنَا لَهُمْ عَذَابًا أَلِيمًا ‘আল্লাহ অবশ্যই সেসব লোকদের তওবা কবুল করবেন, যারা অজ্ঞতাবশত মন্দ কাজ করে এবং সত্বর তওবা করে। এরাই তারা, যাদের তওবা আল্লাহ কবুল করেন। আল্লাহ সর্বজ্ঞ, প্রজ্ঞাময়। তওবা তাদের জন্য নয়, যারা আজীবন মন্দ কাজ করে। অবশেষে তাদের কারো কাছে মৃত্যু উপস্থিত হলে সে বলে, আমি এখন তওবা করছি এবং তাদের জন্যও নয় যাদের মৃত্যু হয় কাফের অবস্থায়। এদের জন্যই আমরা মর্মন্তুদ শাস্তির ব্যবস্থা করেছি’ (আন-নিসা, ৪/১৭-১৮)

(২৪) তাড়াহুড়াপ্রিয়: মানুষ সৃষ্টিগতভাবেই ত্বরাপ্রবণ। কোনো কর্মের ত্বরিত ফল ভোগে বিশ্বাসী। ফলে সর্বদা তাড়াহুড়া করে কোনো কিছু অর্জনকেই বেশি প্রাধান্য দিয়ে থাকে। তবে এটি সমুচিত নয়। কুরআনে এ চরিত্রের বর্ণনায় এসেছে, خُلِقَ الْإِنسَانُ مِنْ عَجَلٍ سَأُرِيكُمْ آيَاتِي فَلَا تَسْتَعْجِلُونِي ‘মানুষ সৃষ্টিগতভাবে ত্বরাপ্রবণ, শীঘ্রই আমি তোমাদেরকে আমার নিদর্শনাবলি দেখাব; সুতরাং তোমরা আমার কাছে তাড়াহুড়া করো না’ (আল-আম্বিয়া, ২১/৩৭)। অন্যত্র মহান আল্লাহ বলেন,وَكَانَ الْإِنسَانُ عَجُولًا ‘মানুষ তো অতি মাত্রায় ত্বরাপ্রিয়’ (বনী ইসরাঈল, ১৭/১১)

পরিশেষে বলা যায় যে, মানুষ এমন এক প্রাণী যাকে মহান আল্লাহ নিজের পছন্দ মোতাবেক সৃষ্টি করেছেন, বানিয়েছেন দুনিয়ায় তাঁর খলীফা বা প্রতিনিধি। তাঁর প্রকৃতির মধ্যে রয়েছে আল্লাহকে চেনার, তাঁর স্বরূপ উপলব্ধির যোগ্যতা। মানুষ জন্মগতভাবেই স্বাধীন, তার মধ্যে রয়েছে বিশ্বস্ততা এবং নিজের প্রতি ও সারা বিশ্বের প্রতি দায়িত্বানুভূতি। প্রকৃতি, আকাশ ও পৃথিবীর উপর আধিপত্য বিস্তারের যোগ্যতা দান করে মানুষকে করা হয়েছে ধন্য ও মহিমান্বিত। মানুষের মধ্যে রয়েছে ভালো ও মন্দের প্রতি ঝোঁক বা প্রবণতা। মহত্ত্ব ও মর্যাদা তার সহজাত গুণাবলি। মানুষের যোগ্যতা ও সামর্থ্য সীমাহীন জ্ঞান অর্জন ও অর্জিত জ্ঞানের প্রয়োগ উভয় ক্ষেত্রেই। মহান আল্লাহর অসংখ্য নেয়ামতপ্রাপ্ত এমন মানবের আল্লাহ এবং আল্লাহ কেন্দ্রিক চিন্তাধারা ছাড়া অন্য কোনো কিছুর লালন সমুচিত নয়। পবিত্র কুরআনে তাদের সৃষ্টির রহস্য, লক্ষ্য-উদ্দেশ্য, কর্মপন্থা ও প্রদত্ত নেয়ামতরাজির বর্ণনাসহ স্বনামে (ইনসান) একটি সূরার অবতারণা হয়েছে, যার নির্দেশনার অনুসরণ ও অনুকরণে মানুষ পেতে পারে ইহকালীন কল্যাণ ও পরকালীন মুক্তি। এ মর্মে মহান আল্লাহ ঘোষণা দিয়েছেন, إِنَّ هَذِهِ تَذْكِرَةٌ فَمَنْ شَاءَ اتَّخَذَ إِلَى رَبِّهِ سَبِيلًا ‘এটা এক উপদেশ; অতএব, যার ইচ্ছা সে তার প্রতিপালকের দিকে পথ অবলম্বন করুক’ (আদ-দাহর, ৭৬/২৯)

আলোচ্য প্রবন্ধে মানুষের স্বরূপ উদঘাটনে যে-সব আয়াতের উল্লেখ করা হয়েছে মূলত তার অধিকাংশই একটি বিশেষ অবস্থার প্রেক্ষিতে অবতীর্ণ হয়েছিল। কিন্তু এর মাধ্যমে মানুষের জীবন্ত ও বাস্তব এমন কিছু চিত্র অঙ্কিত হয়েছে যা বিষয়বস্তুর দিক থেকে অলৌকিক ও চিরন্তন। কেননা এ চিত্রগুলো স্থান ও কালের আবর্তনে শতাব্দীর পর শতাব্দী চক্রাকারে আবর্তিত হচ্ছে এবং তা সর্বদাই জীবন্ত, প্রাণবন্ত ও মূর্ত।

* সহকারী অধ্যাপক (বিসিএস, সাধারণ শিক্ষা), সরকারি মাদ্রাসা-ই-আলিয়া, ঢাকা।


[1]. ড. মুহাম্মদ ফজলুর রহমান, আরবী-বাংলা ব্যবহারিক অভিধান, (রিয়াদ প্রকাশনী: ঢাকা, চতুর্থ সংস্করণ-২০০২ খ্রি.), পৃ. ২৩৪।

Magazine