নারীরা ছোট মেয়েদের দিকে তাকাতে পারবে কিনা?
আমরা লেখাটির শুরুর দিকে দেখে এসেছি, যা কিছু ফেতনা সৃষ্টি করতে পারে বা কামভাবের উদ্রেক ঘটাতে পারে অথবা হারাম বিষয়ে নিমজ্জিত করতে পারে, তার সবকিছুর দিকে দৃষ্টি দিতে মহান আল্লাহ আমাদেরকে নিষেধ করেছেন। এই নিষেধাজ্ঞা পুরুষ-নারী নির্বিশেষে সকলের জন্যই প্রযোজ্য। আল্লাহ তা‘আলা বলেন,
قُلْ لِلْمُؤْمِنِينَ يَغُضُّوا مِنْ أَبْصَارِهِمْ وَيَحْفَظُوا فُرُوجَهُمْ ذَلِكَ أَزْكَى لَهُمْ إِنَّ اللَّهَ خَبِيرٌ بِمَا يَصْنَعُونَ. وَقُلْ لِلْمُؤْمِنَاتِ يَغْضُضْنَ مِنْ أَبْصَارِهِنَّ وَيَحْفَظْنَ فُرُوجَهُنَّ
‘মুমিন পুরুষদেরকে বলুন, তারা তাদের দৃষ্টিকে সংযত রাখবে এবং তাদের লজ্জাস্থানের হিফাযত করবে। এটাই তাদের জন্য অধিক পবিত্র। নিশ্চয় তারা যা করে, সে সম্পর্কে আল্লাহ সম্যক অবহিত। আর মুমিন নারীদেরকে বলুন, তারা তাদের দৃষ্টিকে সংযত রাখবে এবং তাদের লজ্জাস্থানের হিফাযত করবে’ (আন-নূর, ২৪/৩০-৩১)।
ইমাম ত্ববারী রাহিমাহুল্লাহ দ্বিতীয় আয়াতটির তাফসীরে বলেন,
(يَغْضُضْنَ مِنْ أَبْصَارِهِنَّ) عَمَّا يَكْرَهُ اللهُ النَّظَرَ إِلَيْهِ مِمَّا نَهَاكُمْ عَنِ النَّظَرِ إِلَيْهِ.
‘নারীরা যেন তাদের দৃষ্টি অবনত রাখে সেসব দিক থেকে, যেসব দিকে তাকানো আল্লাহ অপছন্দ করেন, যেসব দিকে তাকাতে তোমাদেরকেও তিনি নিষেধ করেছেন’।[1]
শায়খুল ইসলাম ইমাম ইবনু তাইমিয়াহ রাহিমাহুল্লাহ বলেন,
لَوْ كَانَ فِي الْمَرْأَةِ فِتْنَةٌ لِلنِّسَاءِ وَفِي الرَّجُلِ فِتْنَةٌ لِلرِّجَالِ لَكَانَ الْأَمْرُ بِالْغَضِّ لِلنَّاظِرِ مِنْ بَصَرِهِ مُتَوَجِّهًا كَمَا يَتَوَجَّهُ إلَيْهِ الْأَمْرُ بِحِفْظِ فَرْجِهِ.
‘যদি কোনো নারীর মধ্যে অন্য নারীদের জন্য ফেতনা থাকে এবং কোনো পুরুষের মধ্যে অন্য পুরুষদের জন্য ফেতনা থাকে, তাহলে দৃষ্টি নত রাখার নির্দেশ সেই ব্যক্তির ক্ষেত্রে প্রযোজ্য হবে, যে তাকায়; যেমনিভাবে তার গোপনাঙ্গ রক্ষা করার নির্দেশ তার ক্ষেত্রে প্রযোজ্য হয়’।[2]
অতএব, নারী ছোট হোক বা বড় হোক— সেটা বড় বিষয় নয়; বরং বড় বিষয় হচ্ছে, ফেতনা ও কামভাব থাকা বা না থাকার বিষয়টি। কাতারভিত্তিক ফতওয়ার ওয়েবসাইট ইসলামওয়েব-এ এসেছে,
يُشْتَرَطُ لِجِوَازِ نَظَرِهَا إِلَى عَدَا العَوْرَةِ انْتِفَاءُ الشَّهْوَةِ وَأَمْنُ الفِتْنَةِ، وَهَذَا شَرْطٌ عَامٌّ فِي كُلِّ نَظَرٍ مَهْمَا كَانَتْ صِفَةُ النَّاظِرِ أَوِ المُنْظُورِ إِلَيْهِ.
‘কোনো নারীর ‘আওরাত’ বা শরী‘আতনির্দেশিত অঙ্গের বিশেষ সীমারেখার বাইরে তার দেহের অন্য অঙ্গের দিকে দৃষ্টি দেওয়া বৈধ হওয়ার জন্য শর্ত হচ্ছে, কোনো কামভাব থাকা যাবে না এবং ফেতনামুক্ত থাকার ব্যাপারে নিরাপদ হতে হবে। সব ধরনের দৃষ্টি নিবদ্ধের জন্য এটি একটি সাধারণ শর্ত— যে দেখছে, সে যেমনই হোক-না কেন বা যাকে দেখা হচ্ছে, সে যেমনই হোক-না কেন’।[3]
ফলে উপর্যুক্ত শর্তে পরস্পর পরস্পরের দিকে তাকাতে পারে— যদিও ব্যাপারটিতে মতভেদ রয়েছে।
সম্মানিত পাঠক! পরস্পর দৃষ্টি দেওয়ার বিষয়টি যদি এমন কঠিন হয়, তবে এর চেয়ে ঘনিষ্ট বিষয়গুলোর অবস্থা কী হতে পারে?
সেজন্যই তো রাসূল ছাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়াসাল্লাম বলেছেন,لَا يَنْظُرُ الرَّجُلُ إِلَى عَوْرَةِ الرَّجُلِ، وَلَا الْمَرْأَةُ إِلَى عَوْرَةِ الْمَرْأَةِ، وَلَا يُفْضِي الرَّجُلُ إِلَى الرَّجُلِ فِي ثَوْبٍ وَاحِدٍ، وَلَا تُفْضِي الْمَرْأَةُ إِلَى الْمَرْأَةِ فِي الثَّوْبِ الْوَاحِدِ ‘কোনো পুরুষ যেন অপর পুরুষের এবং কোনো নারী যেন অপর নারীর ‘আওরাত’ না দেখে। আর কোনো পুরুষ যেন অপর পুরুষের সাথে এক কাপড়ের নিচে না থাকে। অনুরূপ কোনো নারীও যেন অপর নারীর সাথে এক কাপড়ের নিচে না থাকে’।[4] তিনি আরো বলেন,لاَ تُبَاشِرُ المَرْأَةُ المَرْأَةَ، فَتَنْعَتَهَا لِزَوْجِهَا كَأَنَّهُ يَنْظُرُ إِلَيْهَا ‘কোনো নারী অন্য নারীর সাথে শরীর মিলিয়ে শুবে না। কেননা সে তার স্বামীর নিকট অপর নারীর শরীরের বর্ণনা দিবে এবং মনে হবে সে যেন তাকে চাক্ষুস দেখছে’।[5]
নারীরা পুরুষদের দিকে তাকাতে পারবে কিনা?
ইসলাম পুরুষের মতো নারীদেরকেও যাবতীয় হারাম জিনিস থেকে দৃষ্টি অবনত রাখতে বলেছে। মহান আল্লাহ বলেন, وَقُلْ لِلْمُؤْمِنَاتِ يَغْضُضْنَ مِنْ أَبْصَارِهِنَّ وَيَحْفَظْنَ فُرُوجَهُنَّ ‘আর মুমিন নারীদেরকে বলুন, তারা তাদের দৃষ্টিকে সংযত রাখবে এবং তাদের লজ্জাস্থানের হিফাযত করবে’ (আন-নূর, ২৪/৩১)।
সেকারণে একদল ফক্বীহ পুরুষদের দিকে নারীদের তাকানো হারাম হওয়ার মত ব্যক্ত করেছেন। হাফেয ইবনু কাছীর রাহিমাহুল্লাহ উক্ত আয়াতের তাফসীরে বলেন,{وَقُلْ لِلْمُؤْمِنَاتِ يَغْضُضْنَ مِنْ أَبْصَارِهِنَّ} أَيْ: عَمَّا حَرَّم اللَّهُ عَلَيْهِنَّ مِنَ النَّظَرِ إِلَى غَيْرِ أَزْوَاجِهِنَّ. وَلِهَذَا ذَهَبَ [كَثِيرٌ مِنَ الْعُلَمَاءِ] إِلَى أَنَّهُ: لَا يَجُوزُ لِلْمَرْأَةِ أَنْ تَنْظُرَ إِلَى الْأَجَانِبِ بِشَهْوَةٍ وَلَا بِغَيْرِ شَهْوَةٍ أَصْلًا. ‘আর আপনি মুমিন নারীদেরকে বলে দিন, তারা যেন তাদের দৃষ্টিকে অবনত রাখে। অর্থাৎ তাদের স্বামী ছাড়া অন্য কারো দিকে তাকাবে না, যেদিকে তাকানো আল্লাহ হারাম করে দিয়েছেন। আর একারণে অনেক আলেম মন্তব্য করেছেন যে, কোনো নারীর জন্য বেগানা পুরুষদের দিকে তাকানো জায়েয নেই— কামভাব থাক বা না থাক’।[6]
তবে কামভাব ও ফেতনামুক্ত থাকলে নারীরা পুরুষদের দিকে তাকাতে পারে কিনা, তা নিয়েও মতভেদ আছে। কেউ কেউ বলেছেন, কামভাব ও ফেতনামুক্ত থাকলেও তাকাতে পারবে না। ইবনুল আরাবী রাহিমাহুল্লাহ বলেন, وَكَمَا لَا يَحِلُّ لِلرَّجُلِ أَنْ يَنْظُرَ إلَى الْمَرْأَةِ فَكَذَلِكَ لَا يَحِلُّ لِلْمَرْأَةِ أَنْ تَنْظُرَ إلَى الرَّجُلِ، فَإِنَّ عَلَاقَتَهُ بِهَا كَعَلَاقَتِهَا بِهِ، وَقَصْدُهُ مِنْهَا كَقَصْدِهَا مِنْهُ. ‘একজন পুরুষের জন্য যেমন একজন নারীর দিকে তাকানো বৈধ নয়, তেমনি একজন নারীর জন্যও একজন পুরুষের দিকে তাকানো বৈধ নয়। কারণ নারীর সাথে পুরুষের সম্পর্ক যেমন, পুরুষের সাথে নারীর সম্পর্কও তেমন। নারীর কাছ থেকে পুরুষের চাওয়াপাওয়া যা, পুরুষের কাছ থেকে নারীর চাওয়াপাওয়াও তা’।[7]
আবার কেউ কেউ বলেছেন, কামভাব ও ফেতনামুক্ত থাকলে তাকাতে পারবে, তবে এদুটির ঝুঁকি থাকলে তাকাতে পারবে না; বরং তখন তাকানো হারাম হবে।
উভয় মতের পক্ষেই শক্তিশালী দলীল আছে। তবে দ্বিতীয় মতটিই বেশি অগ্রাধিকারযোগ্য বলে মনে হয়। শায়খ মুহাম্মাদ ইবনে ছলেহ আল-উছাইমীন বলেন, নারীদের পুরুষদের দিক তাকানোর দুটি অবস্থা হতে পারে:
(১) কামভাব ও মনের স্বাদ গ্রহণসহ তাকানো: ফেতনা-ফাসাদ থাকার কারণে এ প্রকার তাকানো হারাম।
(২) স্বাভাবিক দৃষ্টি, যার সাথে না আছে কোনো কামভাব, না আছে স্বাদ গ্রহণের অভিপ্রায়: উলামায়ে কেরামের বিশুদ্ধ বক্তব্য অনুযায়ী এ প্রকার তাকানো জায়েয। আয়েশা রাযিয়াল্লাহু আনহা বলেন, رَأَيْتُ النَّبِيَّ صَلَّى اللهُ عَلَيْهِ وَسَلَّمَ يَسْتُرُنِي وَأَنَا أَنْظُرُ إِلَى الحَبَشَةِ وَهُمْ يَلْعَبُونَ فِي المَسْجِدِ ‘হাবশীরা মসজিদে খেলাধুলা করা অবস্থায় আমি যখন তাদের দেখছিলাম, তখন খেয়াল করলাম, নবী ছাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়াসাল্লাম আমাকে আড়াল করে রেখেছেন’।[8]
অতএব, কামভাব ও ফেতনামুক্ত থাকলে নারী পুরুষের দিকে তাকাতে পারে, কিন্তু পুরুষ নারীর দিকে তাকাতে পারে না। আর কামভাব ও ফেতনা থাকলে নারীর তাকানোও হারাম— টেলিভিশনে হোক বা অন্য কোনো মাধ্যমে হোক।[9]
উক্ত হাদীছটির ব্যাখ্যায় হাফেয ইবনু হাজার আল-আসক্বালানী রাহিমাহুল্লাহ বলেন, وَيَدُلُّ عَلَى جَوَازِ نَظَرِ الْمَرْأَةِ إِلَى الرَّجُلِ ‘হাদীছটি নারীর জন্য পুরুষের দিকে তাকানো জায়েয হওয়ার প্রতি নির্দেশ করে’।[10]
বুঝা গেল, এখানে কামভাব ও ফেতনার বিষয়টি গুরুত্বপূর্ণ। কারণ নারীরাও পুরুষের সৌন্দর্যে বা তার সুন্দর পোশাকে বা তার ব্যবহৃত সুগন্ধির কারণে তার প্রতি আকৃষ্ট হতে পারে।
কামভাব ও ফেতনার বিষয়টির পাশাপাশি দৃষ্টি কোথায় দিচ্ছে, সেটিও এখানে লক্ষণীয় ও গুরুত্বপূর্ণ। সেজন্য, পুরুষের যেসব অঙ্গ সাধারণত প্রকাশ পায়, নারীরা কামভাব ও ফেতনামুক্ত হলে সেগুলোর দিকে প্রয়োজনে তাকাতে পারে। যেমন- মাথা, চেহারা, হাত, পা ইত্যাদি। কিন্তু পুরুষের আওরাতের দিকে কামভাব ও ফেতনামুক্ত থাক বা না থাক, তাকাতে পারে না। রাসূলুল্লাহ ছাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়াসাল্লাম বলেন,لَا يَنْظُرُ الرَّجُلُ إِلَى عَوْرَةِ الرَّجُلِ، وَلَا الْمَرْأَةُ إِلَى عَوْرَةِ الْمَرْأَةِ، وَلَا يُفْضِي الرَّجُلُ إِلَى الرَّجُلِ فِي ثَوْبٍ وَاحِدٍ، وَلَا تُفْضِي الْمَرْأَةُ إِلَى الْمَرْأَةِ فِي الثَّوْبِ الْوَاحِدِ ‘কোনো পুরুষ যেন অপর পুরুষের এবং কোনো নারী যেন অপর নারীর ‘আওরাত’ না দেখে। আর কোনো পুরুষ যেন অপর পুরুষের সাথে এক কাপড়ের নিচে না থাকে। অনুরূপ কোনো নারীও যেন অপর নারীর সাথে এক কাপড়ের নিচে না থাকে’।[11]
ইমাম নববী রাহিমাহুল্লাহ বলেন,فَفِيهِ تَحْرِيمٌ نَظَرُ الرَّجُلِ إِلَى عَوْرَةِ الرَّجُلِ وَالْمَرْأَةُ إِلَى عَوْرَةِ الْمَرْأَةِ وَهَذَا لَا خِلَافَ فِيهِ وَكَذَلِكَ نَظَرُ الرَّجُلِ إِلَى عَوْرَةِ الْمَرْأَةِ وَالْمَرْأَةُ إِلَى عَوْرَةِ الرَّجُلِ حَرَامٌ بِالْإِجْمَاعِ وَنَبَّهَ صَلَّى اللَّهُ عَلَيْهِ وَسَلَّمَ بِنَظَرِ الرَّجُلِ إِلَى عَوْرَةِ الرَّجُلِ عَلَى نَظَرِهِ إِلَى عَوْرَةِ الْمَرْأَةِ وَذَلِكَ بِالتَّحْرِيمِ أَوْلَى ‘এ হাদীছে একজন পুরুষের অন্য পুরুষের গোপনাঙ্গের দিকে এবং একজন মহিলার অন্য মহিলার গোপনাঙ্গের দিকে তাকানো হারাম হওয়ার প্রমাণ আছে। আর এ ব্যাপারে কোনো দ্বিমত নেই। একইভাবে, কোনো পুরুষের জন্য কোনো মহিলার গোপনাঙ্গের দিকে এবং কোনো মহিলার জন্য কোনো পুরুষের গোপনাঙ্গের দিকে তাকানো ইজমার ভিত্তিতে হারাম। নবী ছাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়াসাল্লাম একজন পুরুষকে অন্য পুরুষের গোপনাঙ্গের দিকে তাকানোর ব্যাপারে সতর্ক করার মাধ্যমে একজন পুরুষের জন্য একজন মহিলার গোপনাঙ্গের দিকে তাকানোর ব্যাপারে সাবধান করেছেন। বরং এটা আরো অগ্রাধিকার ভিত্তিতে হারাম’।[12] উল্লেখ্য, পুরুষের আওরাত হচ্ছে, নাভি থেকে হাঁটু পর্যন্ত।[13]
সারকথা হচ্ছে, কামভাব ও ফেতনার ঝুঁকি থাকলে পুরুষদের দিকে নারীদের তাকানো যাবে না। অনুরূপভাবে আওরাতের দিকেও তাকানো যাবে না। আর এ ব্যাপারে কোনো দ্বিমত নেই।
(ইনশা-আল্লাহ চলবে)
বিএ (অনার্স), উচ্চতর ডিপ্লোমা, এমএ এবং এমফিল, মদীনা ইসলামী বিশ্ববিদ্যালয়, সঊদী আরব; অধ্যক্ষ, আল-জামি‘আহ আস-সালাফিয়্যাহ, রূপগঞ্জ, নারায়ণগঞ্জ।
[1]. তাফসীর ত্ববারী, ১৯/১৫৫।
[2]. মাজমূ‘উ ফাতাওয়া ইবনে তাইমিয়াহ, ১৫/৩৭৪।
[3]. ফতওয়াটির লিংক:
https://www.islamweb.net/ar/fatwa/19345/
[4]. ছহীহ মুসলিম, হা/৩৩৮।
[5]. ছহীহ বুখারী, হা/৫২৪০।
[6]. ছহীহ বুখারী, হা/৫২৪০।
[7]. ইবনুল আরাবী, আহকামুল কুরআন, ৩/৩৮০।
[8]. তাফসীর ইবনে কাছীর, ৬/৪৪।
[9]. ফাতাওয়াল মারআতিল মুসলিমাহ, ২/৯৭৩।
[10]. ফাতহুল বারী, ১/৫৫০।
[11]. ছহীহ মুসলিম, হা/৩৩৮।
[12]. আল-মিনহাজ শারহু ছহীহি মুসলিম ইবনিল হাজ্জাজ, ৪/৩০।
[13]. মুহাম্মাদ ইবনে ইবরাহীম আত-তুওয়াইজিরী, মাওসূ‘আতুল ফিক্বহিল ইসলামী, ২/৪২৭।