উত্তর : আয়াতদ্বয়ের মাঝে কোনো বৈপরিত্ব নেই। সূরা নিসার ১৫ নং আয়াতে যেনাকারিণী নারী ও পুরুষকে আমৃত্যু গৃহবন্দী করে রাখার আদেশ প্রদান করা হয়েছে’ যা অস্থায়ী বিধান ছিল। কেননা মহান আল্লাহ উক্ত আয়াতের শেষে বলে রেখেছেন, أَوْ يَجْعَلَ اللهُ لَهُنَّ سَبِيْلًا ‘অথবা আল্লাহ তাদের জন্য অন্য কোনো ব্যবস্থা (বিধান) করে দেন’। পক্ষান্তরে, সূরা নূরের ২নং আয়াতে অবিবাহিত যেনাকারী নারী-পুরুষকে একশত বেত্রাঘাত করার নিদের্শ দেওয়া হয়েছে, যা পরবর্তী বিধান। ইসলামের একটি মূলনীতি হলো পরবর্তী বিধান পূর্ববর্তী বিধানকে রহিত করে দেয়। সুতরাং সূরা নিসার ১৫নং আয়াতে ‘আমৃত্যু গৃহবন্দীর বিধান সূরা নূরের ২নং আয়াত দ্বারা রহিত হয়ে গেছে। উবাদা ইবনু ছামেত রাযিয়াল্লাহু আনহু হতে বর্ণিত, তিনি বলেন, রাসূলুল্লাহ ছাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়াসাল্লাম বলেছেন, ‘তোমরা আমার কাছ থেকে সমাধান গ্রহণ করো, তোমরা আমার কাছ থেকে সমাধান গ্রহণ করো যে, নিশ্চয়ই আল্লাহ তাআলা মহিলাদের জন্য একটি পথ বের করেছেন। যদি কোনো অবিবাহিত পুরুষ কোনো কুমারী মেয়ের সাথে ব্যভিচার করে, তবে একশত বেত্ৰাঘাত করো এবং এক বছরের জন্য নির্বাসন দাও। আর যদি বিবাহিত ব্যক্তি কোনো বিবাহিত মহিলার সঙ্গে ব্যভিচার করে, তবে তাদেরকে প্রথমত একশত বেত্ৰাঘাত করবে, এরপর পাথর নিক্ষেপ করে হত্যা করবে। (ছহীহ মুসলিম, হা/১৬৯০)।
প্রশ্নকারী : আব্দুর রহমান সৈকত
রামনগর, রায়পুরা, নরসিংদী।