সিলেটের জাফলং, ভোলাগঞ্জ ও বিছনাকান্দিসহ বিভিন্ন এলাকায় অবাধে চলছে সাদাপাথর উত্তোলন। পরিবেশ অধিদপ্তরের তথ্য অনুযায়ী, বছরে অনুমোদিত ১৫ লাখ ঘনফুটের বিপরীতে প্রায় ৫০-৬০ লাখ ঘনফুট পাথর অবৈধভাবে উত্তোলিত হয়। এতে সরকারের প্রতি বছর ২০০-২৫০ কোটি টাকা রাজস্ব ক্ষতি হচ্ছে।
প্রায় ৩৫ হাজার শ্রমিক সরাসরি এবং আরও ৫০ হাজার মানুষ পরোক্ষভাবে এই খাতে যুক্ত হলেও স্বাস্থ্য ও নিরাপত্তা সুরক্ষার কোনো ব্যবস্থা নেই। অবৈধ খননের ফলে নদীর প্রবাহ ব্যাহত হচ্ছে, ভাঙন ও মাটি ধস বাড়ছে। পিয়াইন ও ধলাই নদী এবং পাহাড়ি খালগুলো মারাত্মক ঝুঁকিতে পড়েছে। কৃষকরা অভিযোগ করেছেন, নদীর তলদেশ গভীর হয়ে জমির উর্বরতা নষ্ট হচ্ছে।
পরিবেশবিদদের মতে, সাদাপাথর প্রকৃতির ভারসাম্য রক্ষায় গুরুত্বপূর্ণ ভূমিকা রাখে। অনিয়ন্ত্রিত উত্তোলন দীর্ঘমেয়াদে ভয়াবহ প্রাকৃতিক দুর্যোগ ডেকে আনতে পারে। যদিও নীতিমালায় বৈজ্ঞানিকভাবে উত্তোলনের বিধান আছে, বাস্তবে তা মানা হয় না। প্রশাসনের অভিযানও সাময়িকভাবে কার্যকর হয়।
স্থানীয় পরিবেশকর্মীরা বলছেন, রাজনৈতিক সদিচ্ছা ও আইনের কঠোর প্রয়োগ ছাড়া এই লুটপাট রোধ সম্ভব নয়। প্রাকৃতিক সৌন্দর্য ও ভবিষ্যৎ প্রজন্ম রক্ষায় এখনই কার্যকর ব্যবস্থা নেওয়া জরুরী।