দ্বিতীয়ত, শায়খুল ইসলাম ইমাম ইবনু তায়মিয়্যা রহিমাহুল্লাহ বলেন,الصحيح أنه ينتفع الميت بجميع العبادات البدنية من الصلاة والصوم والقراءة كما ينتفع بالعبادات المالية من الصدقة والعتق ونحوهما باتفاق الائمة ‘সঠিক কথা হলো— মৃত ব্যক্তি যাবতীয় দৈহিক ইবাদতের মাধ্যমে উপকৃত হবে। যেমন— ছালাত, ছিয়াম, কুরআন তেলাওয়াত। অনুরূপভাবে আর্থিক ইবাদতগুলোর মাধ্যমে উপকৃত হবে ইমামদের ঐকমত্যে। যেমন— দান-ছাদাক্বা, দাস মুক্ত করা। এ ছাড়া আরও অন্যান্য সৎ আমল’।[1]
তৃতীয়ত, ইমাম ইবনুল ক্বাইয়িম রহিমাহুল্লাহ বর্ণনা করেন, মৃতরা জীবিতদের কর্মের মাধ্যমে দু’টি কারণে উপকৃত হবে-
১ম কারণ : মৃত ব্যক্তি জীবদ্দশায় জীবিত ব্যক্তির মাধ্যমে আমলগুলো করার কারণ তৈরি করার কারণে (মাধ্যমে)।
২য় কারণ, মৃতদের জন্য মুসলিমদের দু‘আ, ক্ষমা চাওয়া, দান-ছাদাক্বা করা, হজ্জ করা...। আহলে ইলমগণ দৈহিক ইবাদত (মৃতদের কাছে পৌঁছানো) নিয়ে মতানৈক্য করেছেন। যেমন— ছিয়াম, ছালাত, কুরআন তেলাওয়াত, যিকির-আযকার। ইমাম আহমাদ ও জমহূর সালাফগণ ছওয়াব পৌঁছানোর ব্যাপারে মত দিয়েছেন। সাথে ইমাম আবূ হানীফা রহিমাহুল্লাহ-এর কতিপয় সাথী এ মত ব্যক্ত করেছেন। অতঃপর তিনি বলেন,والدليل على انتفاعه بغير ما تسبب فيه القرآن والسنة والإجماع وقواعد الشرع ‘মৃত ব্যক্তি জীবদ্দশায় ইবাদতগুলো সম্পাদন করার কারণ তৈরি করা ছাড়াই ইবাদতগুলোর মাধ্যমে উপকৃত হওয়ার দলীল হলো- কুরআন, সুন্নাহ, ইজমা এবং শরীআতের মূলনীতি’।[2]
অতঃপর তিনি রহিমাহুল্লাহ আরো বলেন, মৃতদের জন্য দু‘আ, দান-ছাদাক্বা, ছিয়াম, এবং হজ্জ এর ছওয়াব পৌঁছানোর ব্যাপারে প্রমাণ রয়েছে। যারা এ বিষয়ে বিরোধিতা করে, তাদের তিনি প্রত্যাখান করেছেন। অতঃপর তিনি বলেন, এ দলীলগুলো জীবিত ব্যক্তির উৎসর্গীত আমল মৃতদের নিকটে পৌঁছানোর ব্যাপারে প্রমাণিত। এটা হচ্ছে রায় (ক্বিয়াসের) ক্ষেত্রে।[3] ছওয়াবের হক্বদার আমল সম্পাদনকারীরা। আমল সম্পাদনকারীরা যখন মুসলিম ভাইকে দান করে দিবে, তখন তাকে বাধা দেওয়া হবে না। তেমনিভাবে তার জীবদ্দশায় ধনসম্পদ দান করতে এবং মৃত্যুর পর তার জন্য মুক্ত করতে বাধা দেওয়া হবে না’।[4]
চতুর্থত, তিনি আর-রওযুল মুরবে‘ নামক গ্রন্থে বলেন,وأي قربة من دعاء واستغفار وصلاة وصوم وحج وقراءة وغير ذلك فعلها مسلم وجعل ثوابها لميت مسلم أو حي نفعه ذلك ‘যে কোনো সৎ আমল: দু‘আ, ক্ষমা চাওয়া, ছালাত, ছিয়াম, হজ্জ, কুরআন তেলাওয়াত বা এ ছাড়া আরও অন্যান্য সৎ আমল মুসলিম ব্যক্তি সম্পাদন করে মৃত বা জীবিত ব্যক্তির জন্য হাদিয়া (উৎসর্গ) করে দিলে, তারা উপকৃত হবে’।[5]+[6] আল্লামা ইবনু উছায়মীন রহিমাহুল্লাহ বলেন,لكن بشرط أن يكون المحجوج عنه (أي الحي) عاجزاً عجزاً لا يرجى زواله ‘জীবিত ব্যক্তি অন্যের উৎসর্গীত হজ্জের মাধ্যমে উপকৃত হবে এক শর্তে। তা হলো— [জীবিত ব্যক্তি] হজ্জ পালনে সম্পূর্ণ অক্ষম হলে। যে অক্ষমতা দূরীভূত হবে বলে আশা করা যায় না’।[7]
পঞ্চমত, আল্লামা মুহাম্মাদ ছালেহ আল-উছায়মীন রহিমাহুল্লাহ বলেন, ‘মৃতদের নিকট সকলের ঐকমত্যে চার ধরনের (প্রকার) ইবাদত পৌঁছে। তা হলো— (১) দু‘আ (প্রার্থনা)। (২) যে ওয়াজিব ইবাদতগুলো স্থলাভিষিক্ত হয় (অন্যের বদলে করা যায়)। (৩) দান-ছাদাক্বা। (৪) দাস মুক্ত করা। এ ছাড়া অন্যান্য ইবাদতের ক্ষেত্রে মতানৈক্য রয়েছে।
আলেমদের মধ্যে কেউ কেউ বলেন, মৃত ব্যক্তির জন্য উৎসর্গীত এ চার ধরনের ইবাদত ছাড়া অন্যান্য উৎসর্গীত ইবাদতের মাধ্যমে উপকৃত হতে পারবে না। তবে সঠিক কথা হলো— মৃত ব্যক্তি মুমিন হলে তার জন্য উৎসর্গীত প্রতিটি আমলের মাধ্যমে উপকৃত হতে পারবে...’।[8]
অতঃপর তিনি রহিমাহুল্লাহ আরও বলেন, আল্লাহ তাআলার বাণী,وَأَنْ لَيْسَ لِلْإِنْسَانِ إِلَّا مَا سَعَى‘আর মানুষ তাই পায়, যা সে করে’ (আন-নাজম, ৫৩/৩৯)। উক্ত আয়াতটির উদ্দেশ্য হচ্ছে, -আল্লাহই অধিক জ্ঞাত- মানুষ অন্যের চেষ্টা-প্রচেষ্টার কিছুই হক্বদার হবে না। তেমনিভাবে মানুষ অন্যের পাপের বোঝার কিছুই বহন করবে না। এর উদ্দেশ্য এই নয় যে, মানুষের কাছে অন্যের প্রচেষ্টার ছওয়াব পৌঁছাবে না। বরং একজনের আমলের ছওয়াব অন্যের কাছে পৌঁছাবে এবং তা দ্বারা উপকৃত হতেও পারবে, যখন এমনটি ইচ্ছা করবে’।[9]
অতঃপর তিনি রহিমাহুল্লাহ দু‘আ, মৃতের পক্ষ থেকে দান-ছাদাক্বা, ছিয়াম, হজ্জ ও কুরবানী করার ছওয়াব পৌঁছানোর ব্যাপারে প্রমাণ পেশ করেছেন। অতঃপর যারা সন্তানের আমলের ব্যাপারে বিষয়টিকে নির্দিষ্ট করে, তিনি তাদের কথার জবাব দিয়েছেন। তিনি বর্ণনা করেছেন যে, সন্তান ছাড়া অন্যের পক্ষ থেকে হজ্জ করার বৈধতার প্রমাণ রয়েছে। যেমন- নবী ছাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়াসাল্লাম এক ব্যক্তিকে বলতে শুনলেন, শুবরুমার পক্ষ থেকে আমি উপস্থিত। তখন নবী ছাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়াসাল্লাম বললেন, শুবরুমা কে? সে বলল, আমার ভাই বা আমার নিকটতম ব্যক্তি। তখন তিনি বললেন, তুমি কি নিজের জন্য হজ্জ করেছ? তিনি বললেন, না। তখন তিনি বললেন, حُجَّ عَنْ نَفْسِكَ ثُمَّ حُجَّ عَنْ شُبْرُمَةَ ‘আগে তোমার জন্য হজ্জ করো, তারপর শুবরুমার জন্য হজ্জ করো’।[10]+[11] তিনি বর্ণনা করেন, এ হাদীছের আলোকে মৃত ব্যক্তির পক্ষ হতে নফল বা ফরয হজ্জ করা বৈধ প্রমাণিত হয়। কেননা, নবী ছাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়াসাল্লাম এ ব্যক্তিকে শুবরুমার পক্ষ হতে হজ্জ করা সম্পর্কে বিস্তারিত বিবরণ চাননি; হজ্জ নফল না ফরয? শুবরুমা জীবিত ছিল বা মৃত ছিল? তারা বলে, মৃত ব্যক্তির পক্ষ হতে ফরয হজ্জ করা বৈধ, যা স্পষ্ট ছহীহ দলীল দ্বারা প্রমাণিত?’।[12]
ষষ্ঠত, শায়খ ইবনু বায রহিমাহুল্লাহ বলেন, মৃত ব্যক্তির কাছে ছাদাক্বা, দু‘আ, ইস্তেগফার (ক্ষমা প্রার্থনা), হজ্জ, উমরা এবং ঋণ পরিশোধের ছওয়াব পৌঁছাবে।[13] তিনি প্রাধান্য দিয়েছেন যে, মৃত ব্যক্তির নিকটে যে ইবাদতগুলোর ছওয়াব পৌঁছানোর ব্যাপারে দলীল বর্ণিত হয়েছে, সেসব ব্যাপারেই বিষয়টি সীমাবদ্ধ থাকবে। কেননা, ইবাদত হচ্ছে তাওক্বীফী, যা প্রমাণ ছাড়া করা জায়েয নেই’।[14] তিনি বর্ণনা করেছেন যে, দান-ছাদাক্বা করার মাধ্যমে জীবিত-মৃত উভয়ে উপকৃত হবে। অনুরূপভাবে, দু‘আ, হজ্জ, উমরার মাধ্যমেও উপকৃত হবে। তবে হজ্জ, উমরা পালনে জীবিত ব্যক্তি অক্ষম হলে তার পক্ষ হতে তা আদায় করা হবে।
শায়খ ইবনু বায রহিমাহুল্লাহ-কে বলতে শুনেছি, এ হাদীছগুলো প্রমাণ করে, মৃত ব্যক্তি সৎ আমলগুলোর মাধ্যমে উপকৃত হতে পারবে। দান-ছাদাক্বা, হজ্জ, ছিয়াম এবং দু‘আ এ ছাড়া আরো অন্যান্য ইবাদত। এগুলোর প্রত্যেকটির মাধ্যমে মুসলিমরা উপকৃত হতে পারবে। তবে অমুসলিমদের জন্য দু‘আ করা যাবে না এবং তাদের পক্ষ হতে দান করাও যাবে না। তবে বিশুদ্ধতার নিকটতম বক্তব্য হচ্ছে -আল্লাহই অধিক অবগত-, মৃত ব্যক্তির পক্ষ থেকে কুরআন তেলাওয়াত ও ছালাত আদায় করা শরীআতসম্মত নয়। কেননা, ইবাদত হচ্ছে তাওক্বীফী। আল্লাহ তাআলা যে ইবাদতগুলো মৃত ব্যক্তির পক্ষ থেকে করা শরীআতসম্মত করেছেন, শুধুমাত্র সে ইবাদতগুলোই তাদের কাছে পৌঁছাবে। যেমন— দু‘আ, হজ্জ, উমরা, ছালাত এবং ছিয়াম ইত্যাদি’।[15]
ইবনু বায রহিমাহুল্লাহ যে মতটি ব্যক্ত করেছেন, সে মতটি হলো অধিকতর অগ্রাধিকরযোগ্য। কারণ ইবাদত হচ্ছে তাওক্বীফী। মৃতদের নিকটে নিম্নবর্ণিত সৎ আমলগুলোর ছওয়াব পৌঁছানোর ব্যাপারে দলীল এসেছে— (১) দু‘আ ও ইস্তেগফার। (২) ফরয ও নফল হজ্জ। (৩) ফরয ও নফল উমরা। (৪) ফরয ও নফল দান-ছাদাক্বা। কুরবানী দান-ছাদাক্বার অন্তর্ভুক্ত। (৫) ফরয ছিয়াম। আর নফল ছিয়ামের ব্যাপারেও দলীল এসেছে।[16] (৬) ফরয ও নফল দাস মুক্ত করা। (৭) মৃতদের কৃত ওয়াজিবগুলো। যেমন— মানত করা, কাফফারা আদায় করা, ঋণ পরিশোধ করা। এছাড়া আরও অন্যান্য ইবাদত, যেগুলোর ব্যাপারে দলীল এসেছে। আল্লাহই অধিক অবগত’।[17]
وصلى الله و سلم وبارك على نبينا محمد، وعلى أله وأصحابه أجمعين.
মূল : ড. সাঈদ ইবনু আলী ইবনু ওয়াহাফ আল-ক্বাহত্বানী রহিমাহুল্লাহ
অনুবাদ : হাফীযুর রহমান বিন দিলজার হোসাইন
নারায়ণপুর, নবাবগঞ্জ, দিনাজপুর।
[1]. আল-আখবারুল ইলমিয়্যাহ মিনাল ইখতিয়ারিল ফিক্বহিয়্যাহ, পৃ. ১৩৭।
[2]. ইবনুল ক্বাইয়িম, আর-রূহ, ২/৪৫০; ইবনুল ক্বাইয়িম ‘কালাম’; অনুরূপ ‘তাহযীবুস সুনান, ৩/২৭৯-২৮২-এ বর্ণনা করেছেন।
[3]. এখানে ‘রায়’ বা ‘ক্বিয়াস’-এর কোনো অবকাশ নেই। আলী রযিয়াল্লাহু আনহু হতে বর্ণিত, তিনি বলেন,لَوْ كَانَ الدِّينُ بِالرَّأْىِ لَكَانَ أَسْفَلُ الْخُفِّ أَوْلَى بِالْمَسْحِ مِنْ أَعْلاَهُ وَقَدْ رَأَيْتُ رَسُولَ اللَّهِ صَلَّى اللهُ عَلَيْهِ وَسَلَّمَ يَمْسَحُ عَلَى ظَاهِرِ خُفَّيْهِ ‘দ্বীন যদি বিবেক-বুদ্ধি অনুসারেই হতো, তাহলে মোজার উপরিভাগ অপেক্ষা নিম্নভাগ মাসাহ করাই উত্তম হতো। অথচ আমি রাসূলুল্লাহ ছাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়াসাল্লাম-কে দেখেছি, তিনি তাঁর মোজাদ্বয়ের উপর দিকেই মাসাহ করতেন’ (আবূ দাঊদ, হা/১৬২; মিশকাত, হা/৫২৫, সনদ ছহীহ)। -অনুবাদক
[4]. ইবনুল ক্বাইয়িম, আর-রূহ, ২/৪৫০।
[5]. আর-রওযুল মুরবে‘, আব্দুর রহমান আল-ক্বাসিম এর হাশিয়াসহ, ২/১৩৮।
[6]. ইবনু ক্বাসিম, আর-রওযুল মুরবে‘ গ্রন্থের টীকাতে ইবনুল ক্বাইয়িম-এর কথা বর্ণনা করেছেন যে, সেগুলো প্রত্যেকটিতেই ছওয়াব পৌঁছায় (হাশিয়া ইবনুল ক্বাসিমসহ, ২/১৩৯)।
[7]. আশ-শারহুল মুমতে‘, ৫/৪৬৬।
[8]. ইবনু উছায়মীন, মাজমূ‘ রাসায়েল, ১৭/২৫৫।
[9]. ইবনু উছায়মীন, মাজমূ‘ রাসায়েল, ১৭/২৫৫-২৫৬।
[10]. আবূ দাঊদ, হা/১৮১১; ইবনু মাজাহ, হা/২৯০৩, আলোচনা অতিবাহিত হয়েছে।
[11]. ইবনু উছায়মীন, মাজমূ‘ রাসায়েল, ১৭/২৫৬-২৬৬।
[12]. ইবনু উছায়মীন, মাজমূ‘ রাসায়েল, ১৭/২৭৪-২৭৫, এ সম্পর্কে উপকারী আলোচনাসমূহ (১৭/২২২-২৮০)।
[13]. ইবনু বায, মাজমূ‘ ফাতাওয়া, ১৩/২৪৯-২৫০, ২৬০।
[14]. মাজমূ‘ ফাতাওয়া, ১৩/২৫৮, তিনি স্পষ্ট করেছেন যে, সর্বোত্তম বিষয় হলো তাওয়াফ হাদিয়া না দেওয়া (১৩/২৫৮)। আর কুরআন তেলাওয়াতের ছওয়াবও হাদিয়া না দেওয়া (১৩/২৫৯, ২৬৬) এবং ফরয ও নফল ছালাতও হাদিয়া না দেওয়া (১৩/২৫৯, ২৬০, ২৬১), তবে কারো পক্ষ থেকে হজ্জ বা উমরা করা কালে তওয়াফের দু’রাক‘আত ছালাত হাদিয়া দেওয়া যায়। কেননা দু’রাক‘আত ছালাতও তওয়াফের অন্তর্ভুক্ত (১৩/২৬০)।
[15]. আমি মুনতাক্বাল আখবার গ্রন্থের দারসে (হা/১৯২১, ১৯২৫)-তে শায়খ (ইবনু বায)-কে বলতে শুনেছি।
[16]. আব্দুল্লাহ ইবনু আমর ইবনুল আছ রযিয়াল্লাহু আনহু হতে বর্ণিত, নবী ছাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়াসাল্লাম আমর ইবনুল আছ ইবনু ওয়ায়েল রযিয়াল্লাহু আনহু-কে বললেন, ‘সে যদি তাওহীদের উপর মারা যেত, তাহলে তোমরা তার পক্ষ থেকে ছাদাক্বা করলে তা তার উপকারে আসত’ (আহমাদ শাকের, শরহু আহমাদ, হা/৬৭০৪, আহমাদ শাকের বলেন, হাদীছটির সনদ ছহীহ। আবূ দাঊদ এর সনদে, হা/২৮৮৩); বায়হাক্বী ৬/২৭৯; ইমাম আহমাদ বলেন, সনদ হাসান; আলবানী, আহকামুল জানায়েয, পৃ. ২১৮।
[17]. ইবনু তায়মিয়্যা, মাজমূ‘ ফাতাওয়া, ২৪/৬, ৩/৩২৫; ইবনুল ক্বাইয়িম, আর-রূহ, ২/৪৩৫, ৫০০; ইবনুল ক্বাইয়িম, তাহযীবুস সুনান, ৩/৭৯,২৮২; ইবনু কুদামাহ, আল-মুগনী, ৩/৫২১,৫২২; শারহুল কাবীরসহ আল-মিফতাহু ওয়া ইনছাফ, ৬/২৫৭, ২৬৫; আল-কাফী, ২/৮২; শাওকানী, নায়লুল আওত্বার, ২/৭৮২,৭৮৬; ইবনু তায়মিয়্যা, আল-ইখতিয়ারাতুল ফিক্বহিয়্যা, পৃ. ১৩৭; আব্দুর রহমান আল-ক্বাসিম, আর-রওযুল মুরবে‘ হাশিয়াসহ, ২/১৩৮, ১৪০; তিনি ইমাম ইবনু তায়মিয়্যা এবং ইবনুল ক্বাইয়িম রহিমাহুমাল্লাহ থেকে অর্থপূর্ণ আলোচনা বর্ণনা করেছেন; ইবনু বায, মাজমূ‘ ফাতাওয়া, ১৩/২৪৯, ২৮৪; ইবনু উছায়মীন, মাজমূ‘ রাসায়েল, ১৭/২৩৯,২৭৬; ফাতাওয়া আল-লাজনাহ আদ-দায়েমাহ লিল বুহূছিল ইলমিয়্যা, ৯/১৫, ৬৯; ইবনু উছায়মীন, আশ-শারহুল মুমতে‘, ৫/৪৬৯-৪৭০; আলবানী, আহকামুল জানায়েয, পৃ. ২১২, ২২৬।