দলীল : ৯
পবিত্র কুরআনের প্রায় ৯ জায়গায় কিতাবের পাশাপাশি হিকমতের কথা উল্লেখ করেছেন আল্লাহ তাআলা। ইবরাহীম, ঈসা ও দাঊদ আলাইহিমুস সালাম-সহ প্রায় সকল নবীকে কিতাবের পাশাপাশি হিকমাহ শিক্ষা দেওয়ার কথা বলেছেন। যেমন আল্লাহ তাআলা বলেন, فَقَدْ آتَيْنَا آلَ إِبْرَاهِيمَ الْكِتَابَ وَالْحِكْمَةَ وَآتَيْنَاهُمْ مُلْكًا عَظِيمًا ‘আর আমরা ইবরাহীম ও তাঁর বংশধরকে কিতাব এবং হিকমত দিয়েছি আর তাদেরকে দিয়েছি বিশাল রাজত্ব’ (আন-নিসা, ৪/৫৪)।
ব্যাখ্যা : উক্ত আয়াতে আলে ইবরাহীম দ্বারা ইবরাহীম আলাইহিস সালাম পরবর্তী প্রায় সকল নবী আলাইহিমুস সালাম-কে বুঝানো হয়েছে। যেমন দাঊদ আলাইহিস সালাম-এর ক্ষেত্রে আল্লাহ তাআলা বলেন, وَقَتَلَ دَاوُودُ جَالُوتَ وَآتَاهُ اللَّهُ الْمُلْكَ وَالْحِكْمَةَ وَعَلَّمَهُ مِمَّا يَشَاءُ ‘আর দাঊদ (যালেম বাদশাহ) জালূতকে হত্যা করেন এবং মহান আল্লাহ তাঁকে রাজত্ব ও হিকমত প্রদান করেন আর তিনি যা ইচ্ছা করেন তা তাঁকে শিক্ষা দেন’ (আল-বাক্বারা, ২/২৫১)। অনুরূপ ঈসা আলাইহিস সালাম-এর ক্ষেত্রে আল্লাহ তাআলা বলেন, وَيُعَلِّمُهُ الْكِتَابَ وَالْحِكْمَةَ وَالتَّوْرَاةَ وَالْإِنْجِيلَ ‘আর তিনি তাঁকে শিক্ষা দেন কিতাব, হিকমত, তাওরাত ও ইঞ্জীল’ (আলে ইমরান, ৩/৪৮)। অন্যত্র আল্লাহ তাআলা বলেন, وَإِذْ عَلَّمْتُكَ الْكِتَابَ وَالْحِكْمَةَ وَالتَّوْرَاةَ وَالْإِنْجِيلَ ‘আর যখন আমরা আপনাকে শিখিয়েছি কিতাব, হিকমত, তাওরাত ও ইঞ্জীল’ (আল-মায়েদা, ৫/১১০)।
উক্ত আয়াতগুলোতে স্পষ্টভাবে তাওরাত ও ইঞ্জীলের মতো ধর্মীয়গ্রন্থ ছাড়াও আলাদাভাবে হিকমাহর কথা বলা হয়েছে। যা প্রমাণ করে, হিকমত কিতাব ব্যতীত আলাদা কিছুই। যেমন আল্লাহ তাআলা লুক্বমান আলাইহিস সালাম সম্পর্কে বলেছেন, وَلَقَدْ آتَيْنَا لُقْمَانَ الْحِكْمَةَ ‘আর অবশ্যই আমরা লুক্বমানকে হিকমত প্রদান করেছিলাম’ (লুক্বমান, ৩১/১২)।
আল্লাহ তাআলা লুক্বমান আলাইহিস সালাম-এর ক্ষেত্রে কিতাব দেওয়ার কথা বলেননি, বরং শুধু হিকমাহ দেওয়ার কথা বলেছেন। যা প্রমাণ করে হিকমাহ অবশ্যই কিতাব থেকে ভিন্ন স্বাধীন সত্তা, যা অন্যান্য নবীকে কিতাবের পাশাপাশি দেওয়া হয়েছিল। আর আল্লাহ তাআলা লুক্বমানের হিকমাহ থেকে কিছু কথা কুরআনেও উল্লেখ করেছেন, যা তিনি তাঁর ছেলেকে বলেছিলেন। সুতরাং কিতাব না পেয়েও লুক্বমানের এই উপদেশ বাণীগুলো তথা লুক্বমানের হাদীছ (বাণী) পবিত্র কুরআনে বর্ণনা করার মাধ্যমে এবং সেটাকে হিকমাহ নামকরণের মাধ্যমে কুরআন থেকেই প্রমাণিত হয়ে গেল যে, হিকমাহ মূলত নবীদের হাদীছ।
আমাদের নবী ছাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়াসাল্লাম-এর ক্ষেত্রেও আল্লাহ তাআলা এই হিকমাহর কথা উল্লেখ করেছেন। যেমন তিনি বলেন, هُوَ الَّذِي بَعَثَ فِي الْأُمِّيِّينَ رَسُولًا مِنْهُمْ يَتْلُو عَلَيْهِمْ آيَاتِهِ وَيُزَكِّيهِمْ وَيُعَلِّمُهُمُ الْكِتَابَ وَالْحِكْمَةَ ‘আর তিনিই নিরক্ষরদের মাঝে তাদের মধ্য থেকে একজন রাসূল পাঠিয়েছেন, যিনি তাদেরকে তাঁর আয়াতসমূহ পাঠ করে শুনান, তাদেরকে পরিশুদ্ধ করেন এবং তাদেরকে শিক্ষা দেন কিতাব ও হিকমাহ’ (আল-জুমুআ, ৬২/২)। অনুরূপ আরও কয়েকটি আয়াতে আল্লাহ তাআলা আমাদের নবী ছাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়াসাল্লাম-এর জন্য কিতাবের পাশাপাশি হিকমতের কথা বলেছেন। আর এই হিকমত যে তিনি অহী হিসেবে নবী ছাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়াসাল্লাম-এর কাছে পাঠাতেন, তাও পবিত্র কুরআনে স্পষ্ট করেছেন।
শুধু তাই নয় আল্লাহ তাআলা খাছ করে নবীপত্নীগণকে আমভাবে সমস্ত নারীদেরকে তাঁর আয়াত পাঠের পাশাপাশি এই হিকমত বা হাদীছ পঠন-পাঠন-চর্চা করার জন্য আদেশ করেছেন। তিনি বলেন, وَاذْكُرْنَ مَا يُتْلَى فِي بُيُوتِكُنَّ مِنْ آيَاتِ اللَّهِ وَالْحِكْمَةِ إِنَّ اللَّهَ كَانَ لَطِيفًا خَبِيرًا ‘আর তোমাদের গৃহে আল্লাহর যেসব আয়াত ও হিকমাহ পাঠ করা হয়, তা তোমরা স্মরণ করো। নিশ্চয় আল্লাহ তাআলা সূক্ষ্মদর্শী ও সবকিছু সম্পর্কে সম্যক অবগত’ (আল-আহযাব, ৩৩/৩৪)।
সুতরাং উপরের আলোচনা থেকে স্পষ্টভাবে প্রতীয়মান হয় যে, আমাদের নবী ছাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়াসাল্লাম-এর নিকট কিতাব ছাড়াও অহী আসত, এতে সন্দেহের বিন্দুমাত্র অবকাশ নেই। আর সেই অহীই হচ্ছে হিকমত বা হাদীছ। পাশাপাশি আরও একটি বিষয় স্পষ্ট হয় যে, আল্লাহ তাআলা অন্যান্য নবীর হাদীছগুলো কুরআনে নিজে উল্লেখ করেছেন। যেমন তিনি লুক্বমানের হাদীছগুলো কুরআনে উল্লেখ করেছেন, যা প্রমাণ করে নবীদের হাদীছ দলীল হিসেবে গ্রহণযোগ্য এবং তা শিক্ষণীয়। সুতরাং অন্য নবীর হাদীছ যদি দলীলযোগ্য হয়, তাহলে আমার নবী ছাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়াসাল্লাম-এর হাদীছ আরও বেশি দলীলযোগ্য এবং আমাদের জন্য আরও বেশি শিক্ষণীয়।
দলীল : ১০
আল্লাহ তাআলা বলেন, قُلْ أَرَأَيْتُمْ مَا تَدْعُونَ مِنْ دُونِ اللَّهِ أَرُونِي مَاذَا خَلَقُوا مِنَ الْأَرْضِ أَمْ لَهُمْ شِرْكٌ فِي السَّمَاوَاتِ ائْتُونِي بِكِتَابٍ مِنْ قَبْلِ هَذَا أَوْ أَثَارَةٍ مِنْ عِلْمٍ إِنْ كُنْتُمْ صَادِقِينَ ‘হে নবী! আপনি বলুন! তোমরা কি ভেবে দেখেছ, তোমরা আল্লাহ ব্যতীত যাদের ডাকো, তোমরা আমাকে দেখাও তারা দুনিয়াতে কি কিছু সৃষ্টি করেছে, নাকি আসমানসমূহ (সৃষ্টিতে) তাদের কোনো অংশীদারিত্ব রয়েছে? (এই ব্যাপারে) তোমরা আমার কাছে নিয়ে আসো পূর্ববর্তী কোনো (আসমানী) কিতাব অথবা অতীতের নবীদের রেখে যাওয়া কোনো জ্ঞান, যদি তোমরা সত্যবাদী হয়ে থাকো’ (আল-আহক্বাফ, ৪৬/৪)।
দলীলের যৌক্তিকতা : উক্ত আয়াতে স্বয়ং আল্লাহ তাআলা দলীল হিসেবে গ্রহণযোগ্য হতে পারে- এমন দু’টি বিষয়ের কথা বলেছেন। প্রথমত, অতীতের আসমানী কিতাব। দ্বিতীয়ত, অতীতের নবীদের থেকে পরম্পরাগত জ্ঞান। সুতরাং এটি স্পষ্টভাবে প্রতীয়মান হয় যে, কিতাবের বাহিরেও এমন জ্ঞান আছে, যা দলীলযোগ্য হতে পারে। আর অবশ্যই সেই জ্ঞান অতীতের নবীদের প্রদান করা হয়েছিল কিতাবের বাইরে, যা একবাক্যে আমরা অতীতের নবীদের হাদীছ বলতে পারি। তথা দু’টি বিষয় মহান আল্লাহর নিকট দলীল হিসেবে গ্রহণযোগ্য তাঁর অবতীর্ণ করা কিতাব এবং তাঁর নবী ছাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়াসাল্লাম-এর বাণী বা হাদীছ। সুতরাং অতীতের নবীদের মতো আমাদের নবী ছাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়াসাল্লাম-এর হাদীছও দলীল হিসেবে গ্রহণযোগ্য এতে সন্দেহের বিন্দুমাত্র অবকাশ নেই।
দলীল : ১১
আল্লাহ তাআলা বলেন, لَا تُحَرِّكْ بِهِ لِسَانَكَ لِتَعْجَلَ بِهِ - إِنَّ عَلَيْنَا جَمْعَهُ وَقُرْآنَهُ - فَإِذَا قَرَأْنَاهُ فَاتَّبِعْ قُرْآنَهُ - ثُمَّ إِنَّ عَلَيْنَا بَيَانَهُ ‘আপনি আপনার জিহ্বাকে নাড়াবেন না অহী দ্রুত মুখস্থ করার জন্য। নিশ্চয় আমাদের দায়িত্ব হলো তা (আপনার অন্তরে) সংগৃহীত করা এবং এটাকে পাঠ করানো। অতএব, যখন আমরা (আপনাকে) তা পাঠ করে শুনাই, তখন আপনি সে পাঠের অনুসরণ করবেন। তারপর নিশ্চয়ই আমাদের দায়িত্ব হলো (আপনার কাছে) তার ব্যাখ্যা করা’ (আল-ক্বিয়ামাহ, ৭৫/১৬-১৯)।
দলীলের যৌক্তিকতা : এই আয়াতে স্পষ্টভাবে পবিত্র কুরআন ব্যাখ্যার দায়িত্ব স্বয়ং মহান আল্লাহ গ্রহণ করেছেন, যা তিনি তাঁর নবী ছাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়াসাল্লামকে শিখিয়ে দিবেন। এই আয়াত থেকে দু’টি বিষয় প্রমাণিত হয়। প্রথমত, কুরআনের ব্যাখ্যার প্রয়োজন রয়েছে। যে কেউ নিজের মতো বুঝতে চাইলে হবে না। দ্বিতীয়ত, স্বয়ং মহান আল্লাহ সেই ব্যাখ্যা তাঁর নবী ছাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়াসাল্লামকে শিখিয়ে দিয়েছেন। আর সেটিই মূলত হিকমত বা হাদীছ। অর্থাৎ প্রত্যেক নবী ছাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়াসাল্লামকে তাদের প্রতি অবতীর্ণ কিতাব বুঝার সুবিধার্থে ও জনগণকে ব্যাখ্যা করে দেওয়ার নিমিত্তে তাদেরকে মহান আল্লাহ হিকমত শিক্ষা দিতেন, যা মূলত সেই কিতাবের জন্য ব্যাখ্যাস্বরূপ। সুতরাং প্রতিটি নবী ছাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়াসাল্লামকে যে কিতাব দেওয়া হয়েছে সেটি মূলত তিনিই ব্যাখ্যা করার বেশি হক্বদার এবং তিনিই সবচেয়ে ভালো ব্যাখ্যা করতে পারবেন। নবীদের ব্যাখ্যা ছাড়া তাদের কিতাব বুঝতে গেলে মানুষ বিভ্রান্ত হয়ে যাবে এবং কিতাবের অর্থকে বিকৃত করে ফেলবে।
দলীল : ১২
অনেক মুনকিরে হাদীছ রাসূল ছাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়াসাল্লাম-এর সিদ্ধান্তের গ্রহণযোগ্যতার সময়সীমা বেঁধে দেয়। তারা মনে করে আল্লাহর রাসূল ছাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়াসাল্লাম-এর সিদ্ধান্ত শুধু তাঁর যুগের ছাহাবীদের জন্য ফরয; পরবর্তীদের জন্য নয়। তাদের এই ধরনের উদ্ভট ও ভিত্তিহীন দাবির প্রতিবাদ পবিত্র কুরআনেই আছে। মহান আল্লাহ বলেন, هُوَ الَّذِي بَعَثَ فِي الْأُمِّيِّينَ رَسُولًا مِنْهُمْ يَتْلُو عَلَيْهِمْ آيَاتِهِ وَيُزَكِّيهِمْ وَيُعَلِّمُهُمُ الْكِتَابَ وَالْحِكْمَةَ وَإِنْ كَانُوا مِنْ قَبْلُ لَفِي ضَلَالٍ مُبِينٍ - وَآخَرِينَ مِنْهُمْ لَمَّا يَلْحَقُوا بِهِمْ وَهُوَ الْعَزِيزُ الْحَكِيمُ ‘আর তিনিই নিরক্ষরদের মাঝে তাদের মধ্য থেকে একজন রাসূল পাঠিয়েছেন, যিনি তাদেরকে তাঁর আয়াতসমূহ পাঠ করে শুনান, তাদেরকে পরিশুদ্ধ করেন এবং তাদেরকে শিক্ষা দেন কিতাব ও হিকমাহ, যদিও তারা ইতোপূর্বে স্পষ্ট গোমরাহীর মাঝে ছিল। আর (তিনি মুহাম্মাদ ছাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়াসাল্লাম-কে পাঠিয়েছেন) তাদের মাঝে অন্য লোকদের জন্যও, যারা এখনো তাদের সাথে যুক্ত হয়নি। আর তিনি পরাক্রমশালী, প্রজ্ঞাময়’ (আল-জুমুআ, ৬২/২-৩)।
ব্যাখ্যা : এই আয়াতে আল্লাহ তাআলা স্পষ্ট করেছেন যে, আমাদের নবী ছাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়াসাল্লাম যে কিতাব ও হিকমত শিক্ষা দিবেন, তা শুধু তৎকালীন নিরক্ষর কুরাইশ জাতির জন্য নয়, বরং পরবর্তীতে যারা আসবে তারাও এগুলো শিখবে। তারাও এগুলোর সাথে সংযুক্ত হবে। উক্ত আয়াত থেকে দু’টি বিষয় প্রমাণিত হয়, প্রথমত, রাসূল ছাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়াসাল্লাম ২৩ বছর যাবৎ কুরআনের যে ব্যাখ্যা তাঁর হিকমাহ থেকে ছাহাবীগণকে শিখিয়েছেন তা আমাদেরও প্রয়োজন রয়েছে। দ্বিতীয়ত, তা আমাদের পর্যন্ত সঠিকভাবে পৌঁছবে মর্মে উক্ত আয়াতে স্পষ্ট ভবিষ্যদ্বাণী রয়েছে। আর আমরা সকলেই জানি, শেষ নবী ছাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়াসাল্লাম-এর নবুঅতের কোনো সময়সীমা নেই। বরং তিনি ক্বিয়ামত পর্যন্ত সকল মানুষ, ভাষা, জাতি ও গোত্রের জন্য নবী। যেমন আল্লাহ তাআলা বলেন, وَمَا أَرْسَلْنَاكَ إِلَّا رَحْمَةً لِلْعَالَمِينَ ‘আর আমরা আপনাকে জগৎসমূহের জন্য কেবল রহমত হিসেবেই প্রেরণ করেছি’ (আল-আম্বিয়া, ২১/১০৭)। তিনি আরও বলেন, وَمَا أَرْسَلْنَاكَ إِلَّا كَافَّةً لِلنَّاسِ بَشِيرًا وَنَذِيرًا ‘আর আমরা তো আপনাকে সকল মানুষের জন্য কেবল সুসংবাদ প্রদানকারী ও সতর্ককারী হিসেবেই প্রেরণ করেছি’ (সাবা, ৩৪/২৮)। রাসূলুল্লাহ ছাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়াসাল্লাম-এর নবুঅতের এই সার্বজনীনতা প্রমাণ করে, তাঁর কিতাবের পাশাপাশি তাঁর হিকমাহ বা ব্যাখ্যা তথা হাদীছেরও চিরন্তনতা, স্থায়িত্ব ও সার্বজনীনতা অবশ্যম্ভাবী ও অপরিহার্য।
(চলবে)
আব্দুল্লাহ বিন আব্দুর রাযযাক
ফাযেল, দারুল উলূম দেওবান্দ, ভারত; বি. এ (অনার্স), মদীনা ইসলামী বিশ্ববিদ্যালয়, সঊদী আরব;
এমএসসি, ইসলামিক ব্যাংকিং অ্যান্ড ফাইন্যান্স, ইউনিভার্সিটি অফ ডান্ডি, যুক্তরাজ্য।