কুরআন ও সুন্নাহকে আঁকড়ে ধরার এক অনন্য বার্তা

করোনায় গরীবের ঈদ

নাম তার আমিরুল ইসলাম। বয়স আনুমানিক ৫০ বছর। খেটে খাওয়া ভূমিহীন একজন মানুষ।*পেশায় একজন ভ্যানচালক। ঝিনাইদহ জেলার শৈলকূপা উপজেলার ত্রিবেনি গ্রামে তার বসবাস। দুই সন্তান, স্ত্রী এবং পিতা-মাতা নিয়ে তার সংসার। অন্যের জমিতে কোনোরকম ঝুপড়ি বেঁধে বসবাস করেন আমিরুল। ঘরের চারপাশ কাঠ, বাঁশ, পাটকাঠি ও পলিথিন দিয়ে ঘেরা। ঘরের ছাউনির কিছু অংশে টিন, কিছু অংশে বাঁশ, কাঠ আবার কিছু অংশে পলিথিন। বৃষ্টি হলে ঘরে বসবাস করা যায় না। বর্ষায় প্রতিদিনই ঘর মেরামতে তার অধিকাংশ সময় কেটে যায়। দুই সন্তানের মধ্যে মেয়েটি বড়। নাম হোসনে আরা। বয়স ১৯ বছর। দীর্ঘ পাঁচ বছর যাবৎ সে ক্যান্সারে আক্রান্ত। অসুস্থ মেয়ের প্রতি গরীব বাবাটির স্নেহ সীমাহীন। মেয়ের চিকিৎসার জন্য পৈতৃকসূত্রে প্রাপ্ত ২ শতক জমি বিক্রি করে দেন বাবা আমিরুল। মেয়েকে নিয়ে যান ইন্ডিয়ায়। ডাক্তারি বক্তব্য মতে, মেয়েটি আস্তে আস্তে সুস্থ হয়ে যাবে। এজন্য প্রতিদিন তাকে ২৫০ টাকার ওষুধ খাওয়াতে হবে। আমিরুল মূলত ভ্যান চালায় ইসলামী বিশ্ববিদ্যালয় ক্যাম্পাসে। করোনাপূর্ব সময়ে বিশ্ববিদ্যালয় ক্যাম্পাসে ভ্যান চালিয়ে প্রতিদিন সে আয় করত ৪০০ থেকে ৫০০ টাকা। এ আয় দিয়ে তার সংসার মোটামুটি চলে যেত। কিন্তু করোনার কারণে দীর্ঘ প্রায় দেড় বছর বিশ্ববিদ্যালয় বন্ধ রয়েছে। ফলে সে কাঙ্ক্ষিত আয় পাচ্ছে না। সে এখন আয় করছে দিনে ১০০ থেকে ২০০ টাকা।

তার সংসারে প্রতিদিন চাউল লাগে ২ থেকে ৩ কেজি। যেদিন সে ১০০ টাকা আয় করে, সেদিন সে শুধু দুই কেজি চাউলই কিনতে পারে। অন্য কিছু কিনতে পারে না। আর যেদিন সে ১৫০ টাকা আয় করে, সেদিন সে চাউল কেনার পাশাপাশি কিছু আলু, ঝাল, পেঁয়াজ ও তেল ক্রয় করে। আর যেদিন সে ২০০ টাকা আয় করে সেদিন সে মেয়ের জন্য ৫০ টাকার ওষুধ ক্রয় করে। অর্থাৎ চাউল কিনলে ওষুধ কিনতে পারে না। আর ওষুধ কিনলে তার চাউল কেনা হয় না। ওদিকে সমিতি থেকে লোন নেওয়া আছে ৪৫,০০০ টাকা। যেখানে প্রতি সপ্তাহে কিস্তি দিতে হয় ১১০০ টাকা। কিন্তু করোনা মহামারিতে তার কোনো আয় নেই। ফলে সে প্রায় ৮ মাস কিস্তি দিতে পারে না। এমতাবস্থায় আমিরুলের কাছে কুরবানীর ঈদ বেদনার কারণ ছাড়া আর কিছুই না। আমিরুলের মতো অনেকেই এই ক্যাম্পাসে ভ্যান চালায়। তাদের অবস্থাটা ঠিক আমিরুলের মতোই। তাদের অনেকেই এখন ভ্যানটা বিক্রি করে অন্য পেশা বেছে নিয়েছে। কেউ নির্মাণশ্রমিক হিসেবে কাজে যোগ দিয়েছে। কেউ রাস্তার পাশে চটপটি বিক্রি পেশায় যোগ দিয়েছে। কেউ কৃষিতে মনোযোগ দিয়েছে। কিন্তু সেখানেও তাদের একই অবস্থা। বৈশ্বিক করোনা মহামারি সকলের রুজি-রুটিতে হানা দিয়েছে। তাই মহামারি পরিস্থিতি স্বাভাবিক হওয়ার জন্য তারা আল্লাহর কাছে প্রার্থনা করছে। তারা অপেক্ষায় আছে ক্যাম্পাস সচল হওয়ার। কিন্তু অপেক্ষা যেন তাদের আর শেষ হচ্ছে না। তাদের সকলের কাছে কুরবানীর ঈদ কষ্টের কারণ হয়ে দেখা দিয়েছে। আয় নেই, উপার্জন নেই, চাল নেই, চুলো নেই। সন্তানদের আবদারের শেষ নেই। কোনো আবদার ও বায়না পূরণ করা তাদের পক্ষে সম্ভব হয়নি। তাই তাদের ঈদও হয়নি।

ঠিক আমিরুলের মতো একজন গরীব মানুষ কাশেম চাচা। চার মেয়ে, এক ছেলে ও স্ত্রী নিয়ে তার সংসার। পারিবারিক ঐতিহ্যগতভাবে পেশায় তিনি একজন তাঁতি। সারা দিনে চেষ্টা করে চারটি গামছা বুনতে পারেন তিনি। চারটি গামছা বিক্রি করলে লাভ হয় ২০ টাকা। এটা দিয়ে আর সংসার চলে না। তাই ঐ পেশায় এখন আর তার মনোযোগ নেই। বিবিধ কারণে এ শিল্প এখন প্রায় বিলুপ্তির পথে। ষাটোর্ধ্ব কাশেম চাচার গায়ের শক্তি অনেকাংশে লোপ পেয়েছে। তাই কেউ তাকে কাজে নিতে চায় না। তাই তিনি এখন ইবি ক্যাম্পাসে কামলা খাটেন। মাটি কাটা, ঘাস কাটা, সবজি ক্ষেত পরিষ্কার করা ইত্যাদি তার নৈমিত্তিক কাজ। সাবান দিয়ে হাত ধোয়া ও মাস্ক পরিধান করা তার কাছে বিলাসিতার নামান্তর। মাস্ক পরিধান এবং সাবান দিয়ে হাত ধোয়ার কথা বললে কাশেম চাচা হাসি দিয়ে বলেন, আমাদের করোনা হবে না। করোনা বড়লোকদের রোগ। সারা দিনেও যেখানে আমার একবার ভাত জোটেনা সেখানে করোনার ভয় করে কী হবে? সারা দিন কাজ করে কাশেম চাচা ৩০০ থেকে ৪০০ টাকা আয় করেন। প্রতিদিন তিনি কাজ পান না। আর পেলেও অসুস্থ জীর্ণকায় শরীরে তিনি এখন কাজ করতে প্রায় অক্ষম। এ ব্যাপারে জিজ্ঞেস করলে কাশেম চাচা দীর্ঘশ্বাস ছেড়ে বলেন, ‘কী করব স্যার! চারডা ম্যায়ে ঘরে। ২ কেজি চালতো কিনতে হবে!’ এ প্রতিবেদকের সাথে কথা বলতে গিয়ে কাশেম চাচা কান্নায় ভেঙে পড়েন। দিনে তিনি একবারও পেট ভরে ভাত খেতে পান না। তিনি প্রতিদিন সকালে দোকান থেকে একটি রুটি খান। অতঃপর ছোটেন কাজের সন্ধানে। কাজ পেলে করেন। না পেলে সন্ধ্যা পর্যন্ত ছোটেন।

কোনোদিন কাজ পান। আর কোনোদিন পান না। দুপুরে তিনি কোনোদিনও ভাত খান না। যদি কেউ দয়া করে দুটো দেয় তাহলে ভাগ্যে খাওয়া জোটে। আর না দিলে, না। সপ্তাহের অধিকাংশ দিনই তাকে উপোস থাকা লাগে। অর্ধাহারে-অনাহারে শরীর তার আর চলে না। তারপরও তার সংসার চালাতে হয়। বছরে একদিনও গরুর গোশত তিনি কিনতে পারেন না। কুটুম এলে মাঝেসাজে পোল্ট্রি মুরগির গোশত রান্না হয়। ভাতই যেখানে জোটে না সেখানে তার কাছে গরুর গোশত তো সোনার হরিণ! কুরবানীর ঈদে নিজে ও ছোট ছেলে বাড়ি বাড়ি ঘুরে এক-দুই কেজি গোশত পেয়েছিলেন। এটা দিয়েই উদযাপিত হয়েছে তার কুরবানীর ঈদ। পুরা বছরে এ এক দিনই পরিবারের সবার গরুর গোশত খাওয়া। জীবনের প্রায় ৬০টি বছরই কাশেম চাচা এভাবে ঈদ উদযাপন করেছেন। আবার আগামী কুরবানীর ঈদও কাশেম চাচার হয়তো এভাবেই আসবে ও যাবে। সংসারে কাপড়চোপড় খুব একটা ক্রয় করা হয় না। ঈদুল ফিত্বরে তিনি লুঙ্গি এবং যাকাতের শাড়ি পান। এ দিয়েই এক বছর চলে যায়। পরবর্তী ঈদুল ফিত্বরের জন্য কাশেম চাচা অপেক্ষায় থাকেন। কাশেম চাচার কাছে ঈদের দিন আর অন্য দিনের মধ্যে তেমন কোনো পার্থক্য নেই।

আমিরুল এবং কাশেম চাচার মতো গরীব মানুষ বাংলাদেশে কম নেই। বাংলার আনাচে-কানাচে, শহরে-বন্দরে এরকম লোকের অভাব নেই। এসব গরীব লোকের খবর এদেশের বিত্তবানরা রাখে না। বাংলাদেশে প্রতি বছর গড়ে প্রায় ১ কোটি ১৫ লাখ পশু কুরবানী হয়ে থাকে। এ কুরবানীকৃত পশুর গোশতের সিংহভাগই এসব দরিদ্র জনশক্তির পাওয়ার কথা ছিল। কিন্তু সেটা তারা পায় না। সিংহভাগ গোশত এখন ফ্রিজআপ করে রাখা হয়। বড়লোকেরা সারা বছর সেটা ভক্ষণ করে থাকেন। ফলে গরীবেরা আশানুরূপ গোশত পাওয়া থেকে বঞ্চিত হয়। এ সমস্ত গরীব মানুষদের ঈদের দিনটা আনন্দের পরিবর্তে বরং দুঃখটাই বেশি অনুভূত হয়। এ দিনে নিজেরা ভালো খেতে পান না। বাচ্চাদের খাওয়াতে পারেন না। বাচ্চাদের দাবি এবং আবদার কোনোটাই পূরণ করা হয় না। সুতরাং এদের কাছে ঈদটা আনন্দের বিপরীতে অনেকটা কষ্টের কারণ হয়ে আগমন ঘটে। বাংলাদেশ সবেমাত্র এলডিসি (স্বল্পোন্নত দেশের তালিকা) অতিক্রম করেছে। কিন্তু দেশে গরীব মানুষের সংখ্যা মোটেই কম নয়। বাংলাদেশ পরিসংখ্যান ব্যুরোর ‘রিপোর্ট অন এগ্রিকালচার এন্ড রুরাল স্ট্যাটিসটিকস’-এর এক তথ্যমতে, দিন আনে দিন খায়— বাংলাদেশে এমন মানুষের সংখ্যা প্রায় ৪ কোটি। যাদের নুন আনতে পান্তা ফুরায়। আবার পান্তা আনতে গেলে নুন ফুরায়। করোনায় তাদের সকলের ঈদ কাশেম চাচা আর আমিরুলের মতোই কেটেছে। অবশ্য এটা তাদের জীবনে নতুন নয়। ঈদ আসে ঈদ যায়। বছর আসে বছর যায়। প্রতিবছর নতুন করে বাজেট পাশ হয়। বড়লোকদের ভাগ্যের চাকার গতি আরো বৃদ্ধি পায়। শিল্পপতিদের ব্যবসার চাকা আরো বেশি গতিশীল হয়। ব্যবসায়ীদের ব্যবসা আরো বিস্তৃত হয়। করোনাকালে তাদের অনলাইন ব্যবসা আরো বেশি বেগবান হয়। বাজেটে মূলত এসব বড়লোকদেরই প্রাধান্য দেওয়া হয়। তারা ফুলে-ফেঁপে টইটম্বুর হয়। কিন্তু কাশেম চাচা আর আমিরুলদের ভাগ্যের কোনো পরিবর্তন হয় না। তারা যেমন আছে তেমনি থেকে যায়। তারা নিঃস্ব থেকে আরো নিঃস্ব হয়।

বিশ্বব্যাপী করোনা মহামারির দেড় বছর অতিবাহিত হলো। করোনা আরো কত রূপে কত দেশে আঘাত হানবে তা বলা মুশকিল। ইতোমধ্যে উন্নত দেশগুলোকে মহামারিসৃষ্ট উদ্ভূত পরিস্থিতি সামাল দিতে হিমশিম খেতে দেখা গেছে। বাংলাদেশ উন্নয়নশীল দেশের কাতারে নাম লিখালেও এখনো এটি একটি গরীব দেশ। দেশের মোট জনসংখ্যার এক-চতুর্থাংশ রয়ে গেছে অভাবী মানুষের কাতারে। এ বিপুল জনশক্তির দিকে রাষ্ট্রের বিশেষ নযর দেওয়া উচিত। তাদের বাঁচাতে সরকারের বিশেষ পদক্ষেপ নেওয়া দরকার। এসব অভাবী মানুষগুলোর চাহিদা খুবই কম। তারা সরকারের কাছে অট্টালিকা চায় না। তারা বিত্ত-বৈভবের মালিক হতে চায় না। তারা শুধু তিন বার তিন মুঠো ভাত চায়। পরনের জন্য এক টুকরা মোটা কাপড় চায়। এ সামান্য দাবি পূরণ করা দেশের জন্য কঠিন কিছু নয়। তাদের পাশে দাঁড়াতে তাই আশু পদক্ষেপ প্রয়োজন। তা না হলে দেশে একটি মানবিক বিপর্যয় দেখা দিতে পারে। দেখা দিতে পারে নৈরাজ্য ও বিশৃঙ্খলা। উদ্ভূত পরিস্থিতি তখন মোকাবেলা কঠিন হয়ে যাবে বলে সংশ্লিষ্ট মহল মনে করেন। এ বিপুল জনশক্তিকে বাঁচাতে তাই নিম্নোক্ত কর্মসূচি হাতে নেওয়া যেতে পারে— প্রত্যেকটি উপজেলায় পুনর্বাসন কমিটি নামে একটি কমিটি করা যেতে পারে। উক্ত কমিটিতে উপজেলা চেয়ারম্যান ও সরকারি-বেসরকারি পর্যায়ে চাকরিরত সিনিয়র ব্যক্তিগণ অন্তর্ভুক্ত হতে পারেন। গঠিত এ কমিটি গরীবদের বাঁচাতে করণীয় নির্ধারণ করবেন।

বাংলাদেশে বর্তমানে ২১ লক্ষ সরকারি কর্মকর্তা-কর্মচারী চাকরিরত আছেন (বাংলাদেশ সার্ভিস রুলস, ১৮ জুলাই,২০২১)। তাদের প্রত্যেকের কাছ থেকে যদি (স্কেল ভেদে) প্রতিমাসে ১০০ টাকা থেকে ৫০০ টাকা গরীবদের জন্য কেটে নেওয়া হয় তাহলে প্রতি মাসে ১০০ কোটি টাকা ত্রাণ তহবিলে জমা হওয়া সম্ভব। আর এ টাকাটা যদি দেশের ৬৫২টি উপজেলায় ভাগ করে দেওয়া হয় তাহলে প্রতিটি উপজেলা পাবে প্রায় ১৫ লক্ষ ৩৩ হাজার ৭৪২ টাকা। আর এ টাকাটা উক্ত কমিটি সংশ্লিষ্ট উপজেলার খেটে খাওয়া মানুষদের মাঝে বিতরণ করবেন। একজন সরকারি কর্মচারী যিনি ১০ হাজার টাকা বেতন পান তার বেতন থেকে ১০০ টাকা কেটে নেওয়া খুবই সহজ ব্যাপার। আবার যিনি ১ লক্ষ টাকা বেতন পান তার কাছ থেকে ৫০০, ১০০০ কিংবা ২০০০ টাকা কেটে নেওয়া কোনো কঠিন ব্যাপার নয়। ২০২০ সালের ২৯শে মার্চ তারিখে টাঙ্গাইল জেলার সরকারি কর্মকর্তা-কর্মচারীগণ স্বেচ্ছায় তাদের এক দিনের বেতন উপজেলা ত্রাণ তহবিলে প্রদান করেছিলেন। সেখানে মোট টাকা জমা হয়েছিল ৬০ লক্ষ (দৈনিক ইনকিলাব, ২৯ মার্চ, ২০২০)। সুতরাং করোনা চলমান থাকা অবস্থায় প্রতিমাসে একজন সরকারি কর্মকর্তা-কর্মচারীর কাছ থেকে ১০০ থেকে ৫০০ টাকা কেটে নেওয়া কোনো কঠিন ব্যাপার নয়। আর এতে কেউ অনীহা প্রকাশ করবে বলে মনে হয় না। সুতরাং বিষয়টি সরকার আমলে নিতে পারেন। দেশে বেসরকারি কর্মজীবীদের সংখ্যাও কম নয়। প্রায় সমসংখ্যক কর্মজীবী মানুষ বেসরকারি বিভিন্ন বহুজাতিক কোম্পানিতে চাকরিরত আছেন। সরকারি মোটিভেশনের মাধ্যমে আইন জারি করে তাদের কাছ থেকেও এক দিনের টাকা কর্তন করা যেতে পারে। এটা সম্পূর্ণ মানবিক হওয়ার কারণে সকলে রাজি হবে বলে সংশ্লিষ্ট মহল মনে করেন। বিষয়টি ভাবার জন্য কর্তৃপক্ষের সদয় দৃষ্টি কামনা করছি। অন্যথা বিশাল অভাবী এ জনগোষ্ঠীর কারণে দেশব্যাপী দুর্ভিক্ষের মতো মহাবিপর্যয় দেখা দিতে পারে। ফলে দেশে নৈরাজ্য, রাহাজানি ও খুনখারাবি ইত্যাদি সৃষ্টি হতে পারে। সম্ভাব্য যেকোনো বিপদ থেকে দেশ এবং জাতিকে রক্ষার জন্য দেশনায়ক বুদ্ধিজীবীদের কাছ থেকে এর চেয়েও সুন্দর ও গ্রহণযোগ্য পরামর্শ ও উদ্যোগ কামনা করছি।

* অধ্যাপক, ইসলামী বিশ্ববিদ্যালয়, কুষ্টিয়া।

Magazine