কুরআন ও সুন্নাহকে আঁকড়ে ধরার এক অনন্য বার্তা

প্রশ্ন (২০) : রমাযানের শেষ দশকের বিজোড় রাত্রিগুলোতে তারাবীহর ছালাত পড়ার পর ছালাতুত তাসবীহ পড়ার কোনো ভিত্তি আছে কি?

উত্তর : প্রত্যেক মুসলিম তার দৈনন্দিন ইবাদতের ক্ষেত্রে সর্বদা পবিত্র কুরআন ও ছহীহ হাদীছের বিশুদ্ধ দলীল দ্বারা ইবাদত করবে- এটাই শারঈ বিধান। কিন্তু ছালাতুত তাসবীহ একটি বিতর্কিত, সন্দেহযুক্ত ও দুর্বল ভিত্তির উপরে প্রতিষ্ঠিত ইবাদত। কেননা এ ছালাত সংক্রান্ত স্পষ্ট কোনো ছহীহ হাদীছ বর্ণিত হয়নি। বরং আব্দুল্লাহ ইবনু আব্বাস রযিয়াল্লাহু আনহুমা থেকে বর্ণিত এ সম্পর্কিত হাদীছকে কেউ ‘মুরসাল’ কেউ ‘মাওকূফ’ কেউ ‘যঈফ’ আবার কেউ ‘মাওযূ‘’ বা জাল বলেছেন এবং তার ভিত্তিতে ইমাম আহমাদ, ইমাম নববী, ইমাম ইবনু তাইমিয়াসহ অনেকেই এই ছালাতকে ইনকার করেছেন (মুগনী, ১/৪৩৮; শারহুল মুহাযযাব, ৩/৫৪৭; মাজমূউ ফাতাওয়া ১১/৫৭৯)। সঊদী আরবের স্থায়ী ফতওয়া কমিটি ‘লাজনা দায়েমাহ’ এ ছালাতকে বিদ‘আত বলেছেন, صَلَاةُ التَّسْبِيْحِ بِدْعَةٌ، وَحَدِيْثُهَا لَيْسَ بِثَابِتٍ، بَلْ هُوَ مُنْكَرٌ। অতএব এরূপ বিতর্কিত, সন্দেহযুক্ত ও দুর্বল ভিত্তির উপরে কোনো ইবাদত বিশেষ করে ছালাত প্রতিষ্ঠা করা ঠিক নয়।

আর রমাযানে ছালাতুত তাসবীহ আদায় করার বিষয়ে কুরআন ও সুন্নাহতে ছহীহ কোনো প্রমাণ নেই। তাই সেই আমল করা যাবে না। রাসূল ছাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়াসাল্লাম বলেছেন, ‘কেউ যদি এমন আমল করে যাতে আমাদের নির্দেশনা নেই তাহলে তা প্রত্যাখ্যাত’ (ছহীহ মুসলিম, হা/ ১৭১৮)।

প্রশ্নকারী : কাউছার আলী

চাঁপাইনবাবগঞ্জ সদর।


Magazine