কুরআন ও সুন্নাহকে আঁকড়ে ধরার এক অনন্য বার্তা

প্রশ্ন (৪১) : আমার বাবা বিভিন্ন ধরনের বক পাখি শিকার করেএবং আমরা সবাই সেই পাখির গোশত খাই। আমি জানি যে, পাখি খাওয়া হালাল। কিন্তু কেউ কেউবলে যে, এখন পাখিদের বাচ্চা আছে সেই পাখির বাচ্চা নাকি অভিশাপ করবে তাই পাখি শিকার করা এবং খাওয়া হারাম হবে। দয়া করে পরিষ্কার করে বুঝিয়ে বলবেন।

উত্তর : পাখির বাচ্চারা অভিশাপ করবে মর্মে বর্ণিত বক্তব্যটি সঠিক নয়। বরং যে পাখিগুলোর গোশত খাওয়া হালাল সেগুলো শিকার করাতে শরীআতে কোনো বাধা নেই। ইমাম বুখারী যবেহ ও শিকার করা নিয়ে একটি অধ্যায়ই রচনা করেছেন আর তাতে তিনি অনেকগুলো হাদীছ বর্ণনা করেছেন। যেমন, আবূ ছা‘লাবা আল-খুশানী রযিয়াল্লাহু আনহু হতে বর্ণিত, তিনি বলেন, আমি জিজ্ঞেস করলাম, হে আল্লাহর নবী ছাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়াসাল্লাম! আমরা আহলে কিতাব সম্প্রদায়ের এলাকায় বসবাস করি। আমরা কি তাদের থালায় খেতে পারি? তাছাড়া আমরা শিকারের অঞ্চলে থাকি। তীর-ধনুকের সাহায্যে শিকার করি এবং প্রশিক্ষণপ্রাপ্ত ও প্রশিক্ষণবিহীন কুকুর দিয়ে শিকার করে থাকি। এমতাবস্থায় আমার জন্য কোনটি বৈধ হবে? উত্তরে তিনি বললেন, ‘তুমি যে সকল আহলে কিতাবের কথা উল্লেখ করলে তাতে বিধান হলো যদি অন্য পাত্র পাও তাদের পাত্রে খাবে না। আর যদি না পাও, তাহলে তাদের পাত্রগুলো ধুয়ে নিয়ে তাতে আহার করো। আর যে প্রাণীকে তুমি তোমার তীর-ধনুকের সাহায্যে শিকার করেছ এবং বিসমিল্লাহ পড়েছ সেটি খাও। আর যে প্রাণীকে তুমি তোমার প্রশিক্ষণপ্রাপ্ত কুকুরের দ্বারা শিকার করেছ এবং বিসমিল্লাহ পড়েছ সেটি খাও। আর যে প্রাণীকে তুমি তোমার প্রশিক্ষণবিহীন কুকুর দ্বারা শিকার করেছ, সেটি যদি যবেহ করতে পার তবে তা খেতে পার’ (ছহীহ বুখারী, হা/৫৪৭৮)। এছাড়াও আরো হাদীছ প্রমাণ করে যে, পাখি শিকার জায়েয, যদিও তার বাচ্চা থাকে।

প্রশ্নকারী : আহসান হাবীব বেলাল

মোহনপুর, রাজশাহী।


Magazine