কুরআন ও সুন্নাহকে আঁকড়ে ধরার এক অনন্য বার্তা

প্রশ্ন (২) : দ্বীনের ভিতরে ‘মধ্যমপন্থা’ বলতে কী বুঝায়?

উত্তর : ‘মধ্যমপন্থা’ বলতে ‘হক্বের কিছু ছাড় দিয়ে বাতিলের কিছু মেনে নিয়ে সমন্বয় করে চলা’ সমাজে প্রচলিত এই অর্থ নিছক ধোঁকা ও সুকৌশলে মানুষের ঈমানকে ধ্বংস করার চক্রান্ত। “মধ্যমপন্থা” কুরআন ও হাদীছে যা বুঝানো হয়েছে তা নিম্নরূপ: মহান আল্লাহ কুরআনে উম্মতে মুহাম্মাদীকে মধ্যম জাতি বলে অভিহিত করেছেন। তিনি বলেন, অনুরূপ আমি তোমাদের মধ্যমপন্থী জাতি করেছি যাতে তোমরা সাক্ষী হও মানুষের বিরুদ্ধে এবং রাসূল ছাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়াসাল্লাম সাক্ষী হোন তোমাদের পক্ষে (আল-বাক্বারা, ২/১৪৩)। মধ্যমপন্থার বেশ কিছু অর্থ রয়েছে যা এখানে উল্লেখ করা হল। ১. ইনছাফ-মধ্যমপন্থার যে সকল অর্থের সাথে এই জাতি বিশেষিত তার একটি হলো ইনছাফ যা একজন সাক্ষীর মধ্যে তার সাক্ষ্য গ্রহণযোগ্য হওয়ার জন্য থাকা জরুরী। আর যার ভিতরে ইনছাফ থাকবে না তার সাক্ষ্য গ্রহণযোগ্য হবে না। সুতরাং ন্যায়পরায়নতা সাক্ষদাতা ও অন্বেষনের জন্য সর্বদা সচেষ্ট থাকতে হবে। এ ব্যাপারে রাসূল ছাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়াসাল্লাম বলেছেন, হে মানুষ সকল! তোমরা আল্লাহকে ভয় কর এবং সঠিক পন্থায় রিযিক্ব অন্বেষণ করো। কেননা কোনো আত্মা তার রিযিক্ব পরিপূর্ণ না হওয়া পর্যন্ত মৃত্যুবরণ করে না যদিও তা ধীর বা স্বল্প গতিতে আসে। অতএব তোমরা আল্লাহকে ভয় করে সঠিক পন্থায় রিযিক্ব অন্বেষণ করো। যা হালাল তা তোমরা গ্রহণ কর এবং যা হারাম তা বর্জন কর (ইবনু মাজাহ, হা/২২৪৪)।

প্রশ্নকারী : শাহিনুর রহমান

নওগাঁ।


Magazine