‘তাওবাতান নাছূহা’ মানে, নিষ্কলুষতা ও কল্যাণকামিতা,
স্বীয় জীবনকে সুন্দর করে গড়বে, যেন হয় নিজে অন্যের উপদেশদাতা।
অপরাধ করলে অনুতপ্ত ও লজ্জিত হবে, ভবিষ্যতে ঐ কাজ আর করো না,
পুনঃগুনাহ করা তো দূরের কথা, ঐ কাজের আকাঙ্ক্ষাও করবে না।
এক বেদুঈন ঝটপট করে, তওবা ও ইস্তেগফার পড়ল,
দ্রুত উচ্চারণ করায়, আলী রযিয়াল্লাহু আনহু তাকে বাধা দিলেন।
সত্যিকার তওবা কী জানতে চাইলে, আলী রযিয়াল্লাহু আনহু বললেন,
খাঁটি তওবার সাথে ছয়টি জিনিস, উল্লেখ তিনি করলেন।
অপরাধ করলে লজ্জিত হও, গাফলতির কাজ সম্পাদন করো,
যার হক্ব তুমি নষ্ট করেছ, তার হক্ব তাকে প্রদান করো।
যাকে তুমি কষ্ট দিয়েছ, তার কাছে মাফ চাও,
প্রতিজ্ঞা করো ভবিষ্যতে, এ গুনাহর দেখা আর না পাও।
নফসকে যে গুনায় অভ্যস্ত রেখেছ, তা আল্লাহর আনুগত্যে নিয়োজিত করো,
এছাড়া যখনই বুঝবে গুনাহ হয়েছে, তখনই তওবা করতে পার।
তওবা করলে মাফ পাবে, এমন কোনো নিশ্চয়তা নাই,
বরং সরল মনে করলে তওবা, মাফের প্রত্যাশা থাকা চাই।
সৎ কর্মের প্রতিদান তো, পার্থিব জীবনে পেয়ে যায়,
জান্নাত পাওয়া আল্লাহর কৃপা, অনুগ্রহের উপর নির্ভর রয়।
হাদীছে রাসূলুল্লাহ বলেন, সৎকর্ম কাউকে মুক্তি দিতে পারে না,
আল্লাহর কৃপা ও রহমত ছাড়া জান্নাত কেহ পেতে পারে না।
ছাহাবায়ে কেরাম আরজ করলেন, ইয়া রাসূলাল্লাহ,
আপনি যে গুনাহমুক্ত, আপনাকে ঠেকাবেন কি আল্লাহ?
হ্যাঁ, আমাকেও! বললেন রাসূল, শুনে ছাহাবীগণ দ্বিধাগ্রস্ত হয়,
সাধ্যানুযায়ী আমল করে যাও, আল্লাহর রহমতের আশায়।
হাশরের ময়দান থেকে ঈমানদারগণ, জান্নাতের দিকে যাবে,
তখন তাদের আগে আগে, নূর অগ্রসর হবে।
নিকষকালো অন্ধকারে, দোযখীরা ঠোকর খেতে থাকবে,
তাদের আর্তনাদ ও বিলাপ শুনে, মুমিনরা একটু ভয় পাবে।
তাই তারা দু‘আ করতে থাকবে, হে আমাদের রব,
জান্নাতে না পৌঁছা পর্যন্ত, মোদের নূর রেখো সাথ।
‘নূর’ থেকে বঞ্চিত মুনাফিক্বরা আঁধারে আছাড় খাবে,
তখন মুমিন নূরের পূর্ণতার জন্য, আল্লাহর কাছে দু‘আ করবে।
-মুহাম্মাদ আব্দুল মালেক মাহমূদ
শিক্ষক (অবঃ), মনিপুর স্কুল এন্ড কলেজ, মিরপুর, ঢাকা।