কুরআন ও সুন্নাহকে আঁকড়ে ধরার এক অনন্য বার্তা

প্রশ্ন (৩৪) : ইসলামে সহশিক্ষার হুকুম কী? এটি যদি হারাম হয়, তাহলে কেন হারাম তা দলীলসহ জানতে চাই।

উত্তর : ইসলামে সহশিক্ষা হারাম। কেননা এটি ফিতনা বা নৈতিক অবক্ষয়ের বড় একটি মাধ্যম। এটি ফিতনা, অবাধ যৌনতা ও অশ্লীলতার দিকে ধাবিত করে। কুরআন ও হাদীছের অনেক স্থানে নারী ও পুরুষের একাকার হয়ে থাকাকে নিষেধ করা হয়েছে। আল্লাহ তাআলা বলেন, ‘নিশ্চয় যারা মুমিনদের মধ্যে অশ্লীলতার প্রসার কামনা করে, তাদের জন্য রয়েছে দুনিয়া ও আখেরাতে যন্ত্রণাদায়ক শাস্তি। আর আল্লাহ জানেন, তোমরা জান না’ (আন-নূর, ২৪/১৯)। আল্লাহ তাআলা নবী ছাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়াসাল্লাম-এর স্ত্রীদেরকে উদ্দেশ্য করে বলেন, ‘আর তোমরা নিজ ঘরে অবস্থান করবে এবং প্রাচীন জাহেলী যুগের প্রদর্শনীর মতো নিজেদেরকে প্রদর্শন করে বেড়াবে না’ (আল-আহযাব, ৩৩/৩৩)। আল্লাহ তাআলা ছাহাবীগণকে লক্ষ্য করে বলেন, ‘তোমরা নবীর স্ত্রীদের কাছ থেকে কিছু চাইলে পর্দার আড়াল থেকে চাইবে। এ বিধান তোমাদের ও তাদের হৃদয়ের জন্য বেশি পবিত্ৰ’ (আল-আহযাব, ৩৩/৫৩)। নবী ছাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়াসাল্লাম বলেছেন, ‘পুরুষের জন্য স্ত্রীজাতি অপেক্ষা অধিক ক্ষতিকর কোনো ফিতনা আমি রেখে গেলাম না’ (ছহীহ বুখারী, হা/৫০৯৬, ছহীহ মুসলিম, হা/২৬)। এছাড়া এই বিষয়ে অনেক দলীল রয়েছে, যেগুলো প্রমাণ করে যে, সহশিক্ষা হারাম। সুতরাং এটি থেকে অবশ্যই দূরে থাকতে হবে (ফাতওয়া আল লাজনাহ আদ দায়েমাহ, ১৭/৫৩)।

প্রশ্নকারী : আব্দুল মুমিন

মহিমাগঞ্জ, গাইবান্ধা।


Magazine