উত্তর : সূদ একটি ধ্বংসাত্মক পাপ, যা ইহকালে মানুষের সম্পদ ধ্বংস করে দিবে। আর পরকালে মানুষকে ক্ষতিগ্রস্তদের অন্তর্ভুক্ত করবে। সূদ খেলে মানুষ নিঃস্ব হবেই। আল্লাহ তাআলা বলেন, يَمْحَقُ اللهُ الرِّبَا وَيُرْبِي الصَّدَقَاتِ وَاللهُ لاَ يُحِبُّ كُلَّ كَفَّارٍ أَثِيمٍ ‘আল্লাহ সূদকে সঙ্কুচিত করেন এবং দানকে বর্ধিত করেন। আল্লাহ কোনো অবিশ্বাসী পাপীকে পছন্দ করেন না’ (আল-বাকারা, ২/২৭৬)। ইবনু মাসঊদ রাযিয়াল্লাহু আনহু বলেন, রাসূল ছাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়াসাল্লাম বলেছেন, ‘নিশ্চয়ই সূদ এমন বস্তু যার পরিণাম হচ্ছে সঙ্কুচিত হওয়া যদিও তা বৃদ্ধি মনে হয়’ (মুসনাদে আহমাদ, হা/৩৭৫৪; মিশকাত, হা/২৮২৭)। আব্দুল্লাহ ইবনু হানযালা রাযিয়াল্লাহু আনহু বলেন, রাসূল ছাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়াসাল্লাম বলেছেন, ‘কোনো ব্যক্তি জেনেশুনে এক দিরহাম বা একটি মুদ্রা সূদ গ্রহণ করলে ছত্রিশ বার যেনা করার চেয়ে কঠিন হবে’ (মুসনাদে আহমাদ, হা/২২০০৭; মিশকাত, হা/২৮২৫)। আবূ হুরায়রা রাযিয়াল্লাহু আনহু বলেন, রাসূল ছাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়াসাল্লাম বলেছেন, ‘সূদের পাপের ৭০টি স্তর রয়েছে। তার মধ্যে সবচেয়ে সাধারণ হচ্ছে মাতাকে বিবাহ করা’ (ইবনু মাজাহ, হা/২২৭৪; মিশকাত, হা/২৮২৬, হাদীছ ছহীহ)। জাবের রাযিয়াল্লাহু আনহু বলেন, রাসূল ছাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়াসাল্লাম সূদ গ্রহণকারী, প্রদানকারী ও সূদের দুই সাক্ষীর প্রতি অভিশাপ করেছেন। রাসূল ছাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়াসাল্লাম বলেন, ‘অভিশাপে তারা সবাই সমান’ (ছহীহ মুসলিম, হা/১৫৯৮; মিশকাত, হা/২৮০৭)।
প্রশ্নকারী : ফরহাদ রেজা
নওগাঁ।