উত্তর : রাসূল ছাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়াসাল্লাম যেসব বিষয়কে খুব শক্তভাবে দেখেছেন এবং পরিণামে জাহান্নাম ঘোষণা করেছেন, তার অন্যতম হলো ছবি-মূর্তি, পুতুল ও ভাস্কর্য। কেননা এর সাথে শিরক জড়িত এবং এর মাধ্যমেই মানব সমাজে শিরকের অনুপ্রবেশ ঘটেছে। আব্দুল্লাহ ইবনু মাসঊদ রাযিয়াল্লাহু আনহু বলেন, আমি রাসূল ছাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়াসাল্লাম-কে বলতে শুনেছি ‘আল্লাহর নিকট ছবি মূর্তি অঙ্কনকারীর সবচেয়ে কঠিন শাস্তি হবে’ (বুখারী, হা/৫৯৫০)। ইবনু আব্বাস রাযিয়াল্লাহু আনহুমা বলেন, আমি রাসূল ছাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়াসাল্লাম-কে বলতে শুনেছি, ‘যে ব্যক্তি মাত্র একটি ছবি-মূর্তিও তৈরি করবে তাকে শাস্তি দেওয়া হবে এবং তাতে আত্মা দান করতে বাধ্য করা হবে। কিন্তু তার পক্ষে কখনোই তা সম্ভব হবে না’ (ছহীহ বুখারী, হা/৭০৪২)। আয়েশা রাযিয়াল্লাহু আনহা বলেন, রাসূল ছাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়াসাল্লাম ছবিপূর্ণ কোনোকিছু তাঁর বাড়িতে দেখলে তা ছিঁড়ে বা ভেঙ্গে ফেলতেন’ (ছহীহ বুখারী, হা/৫৯৫২)। আবূ ত্বালহা রাযিয়াল্লাহু আনহু বলেন, রাসূল ছাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়াসাল্লাম বলেছেন, ‘যে ঘরে কুকুর ও ছবি থাকে সে ঘরে (রহমত ও বরকতের) ফেরেশতা প্রবেশ করে না’ (ছহীহ বুখারী, হা/৫৯৪৯)। আয়েশা রাযিয়াল্লাহু আনহা বলেন, রাসূল ছাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়াসাল্লাম আমার কাছে আসলেন, এমতাবস্থায় আমি আমার আঙ্গিনার সম্মুখভাগে একটি পাতলা কাপড় দ্বারা পর্দা করেছিলাম, যাতে অনেক ছবি ছিল। অন্য বর্ণনায় রয়েছে, এতে পাখাবিশিষ্ট ঘোড়ার ছবি ছিল। রাসূল ছাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়াসাল্লাম যখন এটা দেখলেন, তখন সেটা ছিঁড়ে ফেললেন এবং তার চেহারা পরিবর্তন হয়ে গেল... (ছহীহ বুখারী, হা/৫১৮১)। উমার রাযিয়াল্লাহু আনহু যখন সিরিয়াতে আসলেন, তার জন্য এক খ্রিষ্টান লোক খাদ্য তৈরি করল। সে উমার রাযিয়াল্লাহু আনহু-কে বলল, আমি পছন্দ করি আপনি আমার বাড়িতে আসবেন এবং আপনি ও আপনার সাথীরা আমাকে সম্মানিত করবেন। এ লোক ছিল সিরিয়ার সম্মানিত ব্যক্তিবর্গের একজন। উমার রাযিয়াল্লাহু আনহু তাকে বললেন, আমরা তোমাদের গীর্জায় ছবি থাকার কারণে প্রবেশ করি না (বায়হাকী, হা/১৪৩৪১; আদাবুয যিফাফ, ১/৯২পৃ.)।
প্রশ্নকারী : এমদাদুল হক
নাটোর।