উত্তর : অনলাইনের কাজে যদি কোনো প্রতারণা না থাকে এবং কোনো প্রকার হারাম না থাকে তাহলে তা মানুষের সহযোগিতা হিসাবে জায়েয। কেননা ভালো কাজে সহযোগিতা করা যায়। মহান আল্লাহ বলেন, وَتَعَاوَنُوْا عَلَى الْبِرِّ وَالتَّقْوَى وَلَا تَعَاوَنُوْا عَلَى الْإِثْمِ وَالْعُدْوَانِ ‘তোমরা সৎকর্ম ও তাক্বওয়ার কাজে পরস্পরকে সাহায্য করো; পাপ ও সীমালঙ্ঘনের কাজে সাহায্য করো না’ (আল-মায়েদাহ, ৫/২)। উবাদা ইবনু সামিত রযিয়াল্লাহু আনহু থেকে বর্ণিত। রাসূল ছাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়াসাল্লাম বলেন, ‘ক্ষতি করো না এবং ক্ষতিগ্রস্ত হয়ো না’ (ইবনু মাজাহ, হা/২৩৪০; মুসনাদে আহমাদ, হা/২২২৭২, সিলসিলা ছহীহা, হা/২৫০, ইরওয়াউল গালীল, হা/৮৯৬(। নো‘মান ইবনে বাশীর রযিয়াল্লাহু আনহু হতে বর্ণিত, ‘অবশ্যই হালাল স্পষ্ট এবং হারামও স্পষ্ট। আর এ দুটির মাঝখানে রয়েছে কিছু সন্দেহপূর্ণ বস্তু, যা অনেক লোকেই জানে না। অতএব, যে ব্যক্তি এই সন্দেহপূর্ণ বিষয়সমূহ হতে দূরে থাকবে, সে তার দ্বীন ও মর্যাদা রক্ষা করবে এবং যে সন্দেহপূর্ণ বিষয়ে পতিত হবে সে হারামে পতিত হবে’ (ছহীহ বুখারী, হা/৪১৭৮; ছহীহ মুসলিম, হা/১৫৯৯)। অন্য হাদীছে রাসূলুল্লাহ ছাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়াসাল্লাম বলেন, ‘আল্লাহ পবিত্র। তিনি পবিত্র সম্পদ ব্যতীত কবুল করেন না’ (ছহীহ মুসলিম, হা/১০১৫; তিরমিযী, হা/২৯৮৯; মিশকাত, হা/২৭৬০)।
প্রশ্নকারী : জাহিদ হাসান
বোয়ালিয়া, রাজশাহী।
