কুরআন ও সুন্নাহকে আঁকড়ে ধরার এক অনন্য বার্তা

প্রশ্ন (৫) : এক এলাকার মসজিদে আযান ও ছালাত হয় না। সেএলাকার মুসলিমদের বিধান কী?

উত্তরকোন এলাকাতে একজন ‍মুসলিম থাকলেও যথাসময়ে আযান দেয়া জরুরী। আর জামাআতের সাথে পাঁচ ওয়াক্ত ছালাত আদায় করা হলো নাবী ছাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়াসাল্লাম-এর আদের্শ। আর এজন্য অবশ্রই আযান দিতে হবে। সুতরাং আযান দেয়াতে অবহেলা করার সেই এলাকার সকলের কর্তব্য হবে আল্লাহর নিকট ক্ষমা প্রাথনা করা এবং দ্রুত জামাআতসহ ছালাত চালু করা। রাসূল ছাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়াসাল্লাম বলেছেন, সুতরাং যখন নামাযের সময় হবে, তখন তোমাদের মধ্যে কেউ একজন আযান দেবে এবং তোমাদের মধ্যে যে বড় সে ইমামতি করবে (ছহীহ বুখারী, হা/৬২৮, ছহীহ মুসলিম, হা/৬৭৪)। রাসূলুল্লাহ ছাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়াসাল্লাম বলেছেন, তোমার রব সেই মেষপালক রাখালের উপর খুশী হন, যে একা পর্বত চূড়ায় দাঁড়িয়ে ছালাতের জন্য আযান দেয় ও ছালাত আদায় করে। আল্লাহ তাআলা সে সময় তার ফেরেশতাগণকে বলেন, তোমরা আমার এই বান্দার দিকে তাকাও। সে আমাকে ভয় করে আযান দেয় ও ছালাত আদায় করে। তোমরা সাক্ষী থাকো আমি আমার বান্দাকে মাফ করে দিলাম এবং জান্নাতে প্রবেশ করিয়ে দিলাম (আবূ দাউদ, হা/১২০৩, নাসাঈ, হা/৬৬৬)। নবী করীম ছাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়াসাল্লাম যখন কোন জনপদের অধিবাসীদের সাথে লড়াই করতে আসতেন, তখণ তিনি ছালাতের সময় পর্যন্ত অপেক্ষা করতেন, তারপর যদি আযান শুনতে পেতেন তাহলে লড়াই করা থেকে বিরত থাকতেন, আর নইলে তাদের সাথে লড়াই করতেন (ছহীহ বুখারী, হা/২৯৪৩, ছহীহ মুসলিম, হা/৩৮২)। রাসূল বলেছেন, কোন জনপদে বা বনজঙ্গলে তিনজন লোক একত্রে বসবাস করা সত্ত্বেও তারা জামা’আতে ছালাত আদায়ের ব্যবস্থা না করলে তাদের উপর শয়তান আধিপত্য বিস্তার করে। অতএব তোমরা জামা’আতকে আকঁড়ে ধরো। কারণ নেকড়ে (বাঘ) দলচ্যুত বকরীটিকেই খেয়ে থাকে (আবূ দাউদ, হা/৫৪৭)।

সুতরাং এ এলাকার লোকদের কর্তব্য হবে ঐ গ্রামে ইসলামের দাওয়াতের কার্যক্রম চালু করা, প্রত্যেক পরিবারে যেন ছোটদের ইসলামী শিক্ষার ব্যবস্থা করাসহ বড়দের জন্য নিয়মিত ধর্মীয় জ্ঞান প্রদানের ব্যবস্থা চালু করা হয়।


প্রশ্নকারী : মুহাম্মাদ শাওন মৃধা

উত্তরখান, উত্তরা, ঢাকা-১২৩০।


Magazine