কুরআন ও সুন্নাহকে আঁকড়ে ধরার এক অনন্য বার্তা

প্রশ্ন (২৫) : আমরা তিন ভাই। আমার বাবা-মায়ের কোনো কন্যা সন্তান না থাকায় ছোট অবস্থায় একটি মেয়েকে দতক নেয়। মেয়েটির প্রকৃত বাবা-মায়ের পরিচয় মেয়েটির নিকট গোপন করা হয়েছে। এখন প্রশ্ন হলো- মেয়ে দত্তক নেওয়া ইসলামি শরীয়াতে কতুটুকু জায়েয? আর এইভাবে তার প্রকৃত বাবা-মায়ের পরিচয় গোপন করা জায়েয হবে কি? না হলে এক্ষণে করণীয় কী?

উত্তর : শরীয়তে (তাবান্না) অন্যের সন্তানকে সন্তান হিসাবে গ্রহণ করে লালন-পালন করা বৈধ রয়েছে। যেমন: যায়েদ ইবনু হারেছাকে রাসূলুল্লাহ ছাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়াসাল্লাম ছেলে বানিয়ে ছিলেন। তবে, তার নিকট তার প্রকৃত বাবা-মায়ের পরিচয় গোপন করা যাবে না। বরং বিষয়টি তাকে অবগত করতে হবে। কোনো সন্তানকে দত্তক নিলেও সে তার নিজ পিতাকে বাদ দিয়ে পালনকারী ব্যক্তিকে পিতা বলে ডাকতে পারবে না। উল্লেখিত পদ্ধতিতে সন্তান দত্তক নেওয়ার মাধ্যমে দুইটি অপরাধ সংঘটিত হয়েছে। এক. মেয়ের নিকট তার পিতা-মাতার পরিচয় গোপন করা। দুই. ইচ্ছাকৃতভাবে তার পরিচয় গোপন করার মাধ্যমে তার অধিকার কেড়ে নেওয়া। সা’দ রযিয়াল্লাহু আনহু থেকে বর্ণিত, তিনি বলেন, আমি রাসূল ছাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়াসাল্লাম–কে বলতে শুনেছি, مَنِ ادَّعَى إِلَى غَيْرِ أَبِيهِ وَهْوَ يَعْلَمُ فَالْجَنَّةُ عَلَيْهِ حَرَامٌ ‘যে ব্যক্তি জেনে-শুনে নিজ পিতাকে বাদ দিয়ে অন্যকে পিতা হিসাবে সম্বোধন করল, তার উপর জান্নাত হারাম’ (ছহীহ বুখারী, হা/৬৭৬৬; ছহীহ মুসলিম, হা/৬৩)। এখন করণীয় হলো তার নিকট তার আসল বাবা-মায়ের পরিচয় স্পষ্ট করা। তবে দত্তক নেওয়া মেয়েকে দুগ্ধ পান না করিয়ে থাকলে, পালক পিতা, তার সন্তানসহ সকল গায়রে মাহরাম থেকে তাকে পর্দা করতে হবে।

প্রশ্নকারী : মুশফিক

গাইবান্ধা।


Magazine