উত্তর: যদি প্রতিষ্ঠানের নির্ধারিত সময় অনেক অবসর সময় থাকে, তাহলে উচিত হবে প্রতিষ্ঠানের থেকে অনুমতি নিয়ে অন্য কাজ করা। যদি তারা অনুমতি দেয়, তাহলে বাড়তি উপার্জন করা যাবে। কিন্তু প্রতিষ্ঠানের জন্য নির্ধারিত সময়ে প্রতিষ্ঠানের অনুমতি ব্যতীত এমন পদ্ধতিতে আয় করা বৈধ নয়। কেননা এটি ধোঁকার অন্তর্ভুক্ত। আল্লাহ তাআলা বলেন, ‘হে ঈমানদারগণ! জেনে-বুঝে আল্লাহ ও তাঁর রাসূলের খেয়ানত করো না এবং তোমাদের পরস্পরের আমানতেরও খেয়ানত করো না’ (আল-আনফাল, ৮/২৭)। আব্দুল্লাহ ইবনু উমার রাযিয়াল্লাহু আনহুমা হতে বর্ণিত, রাসূলুল্লাহ ছাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়াসাল্লাম বলেছেন, ‘জেনে রেখো! তোমাদের প্রত্যেকেই দায়িত্বশীল; আর তোমরা প্রত্যেকেই নিজ অধীনস্থদের সম্পর্কে জিজ্ঞাসিত হবে। অতএব ইমাম, যিনি জনগণের দায়িত্বশীল, তিনি তার অধীনস্থদের সম্পর্কে জিজ্ঞাসিত হবেন। পুরুষ গৃহকর্তা তার পরিবারের দায়িত্বশীল, সে তার অধীনস্থদের সম্পর্কে জিজ্ঞাসিত হবে। নারী তার স্বামীর পরিবার, সন্তান-সন্ততির উপর দায়িত্বশীল, সে এসব সম্পর্কে জিজ্ঞাসিত হবে। কোনো ব্যক্তির দাস স্বীয় মালিকের সম্পদের দায়িত্বশীল, সে এ সম্পর্কে জিজ্ঞাসিত হবে। অতএব জেনে রাখ, প্রত্যেকেই দায়িত্বশীল এবং তোমাদের প্রত্যেকেই নিজ নিজ দায়িত্বাধীন বিষয় সম্পর্কে জিজ্ঞাসিত হবে’ (ছহীহ বুখারী, হা/৭১৩৮)। আর প্রতিষ্ঠানের জন্য নির্ধারিত সময়ে এই উপার্জন যেহেতু সেই প্রতিষ্ঠানেরই আয়, তাই সেই অর্থগুলোকে অবশ্যই প্রতিষ্ঠানে ফিরিয়ে দিতে হবে। আর ভবিষ্যতে এমন কাজ না করার জন্য দৃঢ় প্রতিজ্ঞ হতে হবে এবং আল্লাহর কাছে ক্ষমা চাইতে হবে। তাহলে ইনশা-আল্লাহ আল্লাহ তাআলা ক্ষমা করে দিবেন।
প্রশ্নকারী : আরিফ
বেগমগঞ্জ, নোয়াখালী।