উত্তর: ছেলে যদি সত্যিকার অর্থে দ্বীনদার হয়, তাহলে পিতাকে বুঝিয়ে রাজী করানোর চেষ্টা করতে হবে। তারপরেও পিতা যদি রাজী না হয়, তাহলে তার মতের বাইরে গিয়ে বিবাহ করা যাবে না। বরং পিতা যেখানে মত দেয়, সেখানেই বিবাহ করতে হবে। কেননা বিধবা বা তালাকপ্রাপ্তা মহিলারাও অভিভাবকের অনুমতি ছাড়া বিবাহ করতে পারবে না। বিবাহে কুমারী মেয়েদের জন্য যেমন অভিভাবকের অনুমতি থাকা শর্ত, ঠিক তেমনই বিধবা বা তালাকপ্রাপ্তা মহিলাদের জন্যও অভিভাবকের অনুমতি থাকা শর্ত। অবশ্য তাদের পছন্দ-অপছন্দের স্বাধীনতা রয়েছে। রাসূলুল্লাহ ছাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়াসাল্লাম বলেছেন, ‘অভিভাবক ছাড়া বিবাহ হয় না’ (তিরমিযী, হা/১১০১; আবূ দাঊদ, হা/২০৮৬; ইবনু মাজাহ, হা/১৮৮১)। রাসূলুল্লাহ ছাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়াসাল্লাম আরো বলেছেন, ‘কোনো মহিলা তার অভিভাবকের অনুমতি ছাড়া বিয়ে করলে তার সে বিয়ে বাতিল’। তিনি একথাটি তিনবার বলেছেন (আবূ দাঊদ, হা/২০৮৩; তিরমিযী, হা/১১০২)। উল্লেখ্য, দ্বীনদার ছেলে পাওয়া গেলে সেখানে বিয়ে দেওয়া পিতার কর্তব্য। কেননা এর মধ্যেই দুনিয়া ও আখেরাতের কল্যাণ নিহিত রয়েছে।
প্রশ্নকারী : রিনা খাতুন
জঙ্গীপুর, মুর্শিদাবাদ, ভারত।