উত্তর: প্রচলিত বীমা ব্যবস্থার কোনোটিই বৈধ নয়। কেননা প্রথমত, এখানে দাতাপক্ষের টাকা নিয়ে দ্বিগুণ বিনিময় দেওয়ার প্রলোভন দেখিয়ে বিনিয়োগকারী পক্ষ লাভবান হয়। কিন্তু যদি বিনিয়োগকারী পক্ষ ক্ষতিগ্রস্ত হয়, তাহলে দাতাপক্ষের সমস্ত টাকাই নষ্ট হওয়ার আশঙ্কা রয়েছে, যা এক প্রকার জুয়ার শামিল। আর ইসলামে জুয়াখেলা সম্পূর্ণ নিষিদ্ধ ও কবীরা গুনাহ (আল-মায়েদা, ৫/৯০-৯১; ছহীহ মুসলিম, হা/১৬৪৭)। দ্বিতীয়ত, এটি একটি সূদভিত্তিক লেনদেন। কেননা একটি নির্দিষ্ট সময় অতিবাহিত হওয়ার পর দাতাপক্ষ তার প্রদেয় টাকার দ্বিগুণ গ্রহণ করে থাকে, যা নিঃসন্দেহে হারাম (আল-বাকারা, ২/২৭৫-২৭৬; ছহীহ বুখারী, হা/৬৮৫৭; ছহীহ মুসলিম, হা/৪১৭৬)। তৃতীয়ত, এটি এক প্রকার ধোঁকা, কেননা দাতাপক্ষকে কী পরিমাণ টাকা দেওয়া হবে তা সাধারণত তাকে জানানো হয় না। তাই এটা একটি অনির্দিষ্ট বস্তু প্রাপ্তির চুক্তি, যা নিষিদ্ধ (ছহীহ মুসলিম, হা/৩৮৮১; আবূ দাঊদ, হা/৩৩৭৮)। চতুর্থত, জীবনবীমার মাধ্যমে অন্য পরিবারের যে ভার বহনের দায়িত্ব নেওয়া হয়, এমনটি শারঈ বিধান নয়। কেননা সে পরিবার কীভাবে চলবে তা আল্লাহর যিম্মাদারীতে রয়েছে।
প্রশ্নকারী :মুহাম্মাদ ফাহিম হাসান
ঢাকা।