উত্তর: ঋণগ্রস্থ ব্যক্তি যদি ঋণ পরিশোধ না করেই মারা যায়, তাহলে তার রেখে যাওয়া সম্পদ থেকে ঋণ পরিশোধ করতে হবে (আন-নিসা, ৪/১১)। সালামা ইবনু আকওয়া রযিয়াল্লাহু আনহু হতে বর্ণিত, একদিন নবী ছাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়াসাল্লাম-এর কাছে ছালাতে জানাযা আদায়ের জন্য একটি জানাযা উপস্থিত করা হলো। তখন নবী ছাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়াসাল্লাম জিজ্ঞেস করলেন, ‘তার কি কোনো ঋণ আছে?’ ছাহাবীগণ বললেন, না। তখন তিনি তার জানাযার ছালাত আদায় করলেন। তারপর আরেকটি জানাযা উপস্থিত করা হলো। তিনি জিজ্ঞেস করলেন, ‘তার কি কোনো ঋণ আছে?’ ছাহাবীগণ বললেন, হ্যাঁ। তিনি বললেন, ‘তোমাদের সাথীর ছালাতে জানাযা তোমরাই আদায় করে নাও’। আবূ কাতাদা রযিয়াল্লাহু আনহু বললেন, হে আল্লাহর রাসূল ছাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়াসাল্লাম! তার ঋণের দায়-দায়িত্ব আমার উপর। তখন তিনি তার জানাযার ছালাত আদায় করলেন (ছহীহ বুখারী, হা/২২৯৫; মুসনাদে আহমাদ, হা/৯১৮৫)। যদি সম্পদ না থাকে থাকে, তাহলে তার উত্তরাধিকারীগণ বা যেকোনো ব্যক্তি তা পরিশোধ করবে (ছহীহ বুখারী, হা/২২৯৫)। কিন্তু ঋণদাতা যদি স্বেচ্ছায় তা মাফ করে দেয়, তাহলে সেই ঋণের জন্য ঋণগ্রস্থ ব্যক্তিকে পাকড়াও করা হবে না এবং তিনি গুনাহগারও হবেন না। আবূ হুরায়রা রযিয়াল্লাহু আনহু হতে বর্ণিত, তিনি বলেন, রাসূলুল্লাহ ছাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়াসাল্লাম বলেছেন, ‘যে লোক অভাবী ঋণগ্রস্তকে সুযোগ প্রদান করে অথবা ঋণ মাফ করে দেয়, কিয়ামতের দিবসে আল্লাহ তাআলা তাকে নিজ আরশের ছায়ায় আশ্রয় প্রদান করবেন, যেদিন তাঁর আরশের ছায়া ছাড়া আর কোনো ছায়া থাকবে না’ (তিরমিযী, হা/১৩০৬)।
প্রশ্নকারী : মুফাসসির
চন্দ্রিমা, রাজশাহী।