উত্তর: প্রথমত, সেনাবাহিনীর প্রশিক্ষণ ও নিয়মতান্ত্রিকতা রক্ষার নিমিত্তে দাঁড়ানোর যে কোনো পদ্ধতি বৈধ এবং দাঁড়ানোর পদ্ধতিকে মূর্তির সাথে সাদৃশ্য দেওয়ার কোনো যথার্থতা নেই। যতক্ষণ কোনো বিধান সরাসরি শরীআতের বিরুদ্ধে না যাচ্ছে ততক্ষণ যেকোনো অফিসিয়াল সিদ্ধান্ত মেনে চলাই দায়িত্ব। দ্বিতীয়ত, আর্মিতে আর্মির রুলস অনুযায়ী অফিসার এবং জেসিওদেরকে দেখলে দাঁড়িয়ে দায়িত্বপালনরত অবস্থায় সাবধানতা অবলম্বন সাপেক্ষে অধিক সতর্কতার সাথে দাঁড়ানো ইসলামী শরীআত পরিপন্থী কিছু নয়। যেমন ছাত্র শিক্ষককে দেখে কিংবা কর্মকর্তা তাদের প্রধানকে দেখে সতর্কতা অবলম্বন করা। তবে যদি বসে থাকা অবস্থা থেকে দাঁড়ানো হয়, তাহলে তার দুই অবস্থা- ১. যদি তার আগমন উপলক্ষে সম্ভাষণ জানানোর জন্য দাঁড়ানো হয়, তবে তা বৈধ। আবূ সাঈদ খুদরী রাযিয়াল্লাহু আনহু হতে বর্ণিত, তিনি বলেন, বনূ ক্বুরায়যা সম্প্রদায় যখন সা‘দ রাযিয়াল্লাহু আনহু-এর ঘোষিত রায় মেনে নেওয়ার শর্তে দূর্গ হতে অবতরণ করলেন, তখন রাসূলুল্লাহ ছাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়াসাল্লাম সা‘দকে ডেকে পাঠালেন। তিনি নবী ছাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়াসাল্লাম-এর নিকটবর্তী ছিলেন। সা‘দ রাযিয়াল্লাহু আনহু যখন গাধার পিঠে আরোহণ করে মসজিদে নববীর নিকটবর্তী হলেন, তখন নবী ছাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়াসাল্লাম আনছারগণকে বললেন, ‘তোমরা তোমাদের নেতার জন্য দাঁড়িয়ে যাও’ (ছহীহ বুখারী হা/৪১২১; ছহীহ মুসলিম ,৬৪/১৭৬৮)। ২. যদি তাকে সম্মান প্রদর্শন বা তার বড়ত্ব প্রকাশের নিমিত্তে দাঁড়ানো হয়, তবে বৈধ নয়। আনাস রাযিয়াল্লাহু আনহু হতে বর্ণিত, তিনি বলেন, ছাহাবীদের নিকট রাসূলুল্লাহ ছাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়াসাল্লাম-এর চাইতে বেশি প্রিয় ব্যক্তি আর কেউ ছিলেন না। অথচ তারা তাকে দেখে দাঁড়াতেন না। কেননা তারা জানতেন যে, তিনি এটা পছন্দ করেন না (তিরমিযী, হা/২৭৫৪)।
প্রশ্নকারী : মো. রুবেল রানা
মেহেরপুর।