উত্তর : সূদী কারবারের সাথে জড়িত কোনো প্রতিষ্ঠানে চাকুরী করা যাবে না। কারণ এটিও পরোক্ষভাবে সূদী কারবারে সহযোগিতার শামিল যা হারাম। মহান আল্লাহ বলেন, ‘সৎকর্ম ও আল্লাহভীতিতে একে অন্যকে সহযোগিতা করো। পাপ ও সীমালঙ্ঘনের ব্যাপারে একে অন্যকে সহযোগিতা করো না। আল্লাহকে ভয় করো। নিশ্চয় আল্লাহ শাস্তিদানে অতি কঠোর’ (আল-মায়েদা, ৫/২)। নূ’মান ইবনু বাশীর রাযিয়াল্লাহু আনহু হতে বর্ণিত, তিনি বলেন, আমি রাসূলুল্লাহ ছাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়াসাল্লাম-কে বলতে শুনেছি, ‘নিশ্চয় হালাল সুস্পষ্ট এবং হারামও সুস্পষ্ট। এ দুইয়ের মাঝে রয়েছে অনেক সন্দেহজনক বিষয় যা অনেক মানুষই জানে না। যে ব্যক্তি এ সব সন্দেহজনক বিষয় হতে দূরে থাকল সে তার দ্বীন ও মর্যাদাকে নিরাপদ রাখতে পারল, আর যে ব্যক্তি সন্দেহজনক বিষয়ে জড়ালো হলো সে হারামের মধ্যে লিপ্ত হয়ে পড়ল। সাবধান! প্রত্যেক বাদশারই সংরক্ষিত এলাকা রয়েছে। সাবধান! আল্লাহর সংরক্ষিত এলাকা হলো তার হারামকৃত বিষয়সমূহ (ছহীহ বুখারী, হা/৫২; তিরমিযী, হা/১২০৫; ইবনু মাজাহ, হা/৩৯৮৪)। প্রশ্নের বর্ণনানুসারে যেহেতু উক্ত বিভাগে হালাল-হারাম মিশ্রিত রয়েছে যার সাথে জড়িত হওয়ার প্রবল আশঙ্কা রয়েছে এবং সে অফিসে কর্মরত থাকায় হারাম বিষয়ে সহযোগিতা করতে হয় তাই ইসলামের নির্দেশনানুযায়ী এমন প্রতিষ্ঠানে চাকুরী না করে বৈধ পন্থায় রিযিক অন্বেষণ করা উচিত।
-জুলকার
ঢাকা।