মেললে চোখ একাল ভালো, ওকাল দূরে কালো
মুদলে নয়ন ওকাল হ্যালো, একালে নেই আলো।
কবর যিয়ারতে অন্তর কোমল, চোখ অশ্রম্নসিক্ত করে
এক দণ্ডর জীবনে মোদের, পরকাল মনে পড়ে।
ধোঁকা ছলনারই ভবে, পাপ করিবার পরে
মরিচা বান্দার ক্বলবে, জানি হাদীছ পড়ে।
কুরআনের আমল মরণ স্মরণ, তওবা যে বেশি করে
পবিত্র তার অমত্মঃকরণ, মরিচা ঝরে পড়ে।
সৎ মুমিনের মৃত্যু লগ্নে, শুভ্র সুরতের ফেরেশতা আসে
জান্নাতী কাফন সুগন্ধি সাথে, স্মিত হাস্যে সামনে বসে।
‘হে প্রশান্ত আত্মা!’ বলে, মৃত্যু দূতের সাদর সম্ভাষণ
রবের ক্ষমা ও সন্তোষের সঙ্গে, বেরিয়ে আসার আমন্ত্রণ।
খোলা মশকের পানির মতো, পাক রূহ বেরিয়ে যায়
কাফনে পুরে ফেরেশতার দল, সপ্তাকাশে পৌঁছায়।
রবের আদেশে তার আমলনামা, ইল্লিয়্যিনে লেখা হয়
আত্মা পুনঃ দেহে পাঠালে, ফেরেশতা সওয়ালে যায়।
দ্বীন কী তোমার, বর কেবা, এ ব্যক্তি কে? -দিবে উত্তর
ইসলাম দ্বীন, আল্লাহই রব, ইনি রাসূল মুহাম্মাদ।
গায়েবী আওয়ায, বান্দা আমার সত্যবাদী, তাকে জান্নাতী শয্যা দাও
সুরভিত বায়ু সুগদ্ধি পেতে, জান্নাতমুখী দুয়ার বানাও।
মুহাম্মাদ আব্দুল মালেক মাহমূদ
শিক্ষক (অবঃ), মনিপুর স্কুল এন্ড কলেজ, মিরপুর, ঢাকা।