উত্তর : শ্বশুর-শাশুড়ীকে সম্মান ও শ্রদ্ধা করে আববা-আম্মা বলা যায়। কেননা যে হাদীছে অন্যকে পিতা বলতে নিষেধ করা হয়েছে তার অর্থ হল, নিজের পিতা ব্যতীত অন্যকে নিজ পিতা বলে স্বীকৃতি দেয়া। আর তা হারাম। কেননা এ সময় সে কাফের হয়ে যায় (ছহীহ বুখারী, হা/৩৫০৮; ছহীহ মুসলিম, হা/৬১) এবং জান্নাতও তার জন্য হারাম হয়ে যায় (ছহীহ বুখারী, হা/৪৩২৬)। তবে শ্বশুর-শাশুড়ীকে আববা-আম্মা বলা হয় মূলত সম্মানের খাতির; স্বীকৃতি স্বরূপ নয়। যেমন রাসূলুল্লাহ ছাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়াসাল্লাম ইবনু আববাস ও আনাস রাযিয়াল্লাহু আনহুমা-কে আদর করে ‘ইয়া বুনাইয়া’ বা ‘হে আমার ছেলে’ বলতেন (আবূ দাঊদ, হা/১৯৪০; নাসাঈ, হা/৩০৬৪; ইবনু মাজাহ, হা/৩০২৫; মিশকাত হা/২৬১৩; তিরমিযী, হা/২৬৯৮; মিশকাত হা/৪৬৫২)। বদরের যুদ্ধে মু‘আয ও মু‘আউওয়ায নামক দুই তরুণ প্রবীণ ছাহাবী আব্দুর রহমান ইবনে ‘আউফ রাযিয়াল্লাহু আনহু-কে ‘ইয়া ‘আম্মে’ বা ‘হে চাচাজী’ বলে সম্বোধন করেন (ছহীহ বুখারী, হা/৩১৪১)। অবশ্য পালকপুত্র পালনকর্তাকে পিতা বলে স্বীকৃতি দিতে পারবে না। প্রয়োজনে খাতা-কলমে নিজ পিতার নামই উল্লেখ করবে এবং পালকপুত্র যুবক হলে পালিত মাতাকে তার থেকে পর্দা করতে হবে।
-মিলন হোসাইন
রহিমানপুর, ঠাকুরগাঁও।