রক্তে ভেজা শিশুর মুখে, নেই কোনো হাসি,
বিধ্বস্ত ঘর, পুড়ে গেছে খেলনার বাসি।
আকাশ কাঁদে, বাতাস বোবা—
গাযা যেন এক শোকের ব্যথিত কবিতা।
মাটির নিচে স্বপ্ন গাঁথা, আগুন গিলে ফেলে,
মায়ের কোল খালি আজও, বুক ফেটে কেঁদে চলে।
একটা বুলেট, একগুচ্ছ প্রাণ,
একটি বোমা নিভিয়ে দেয় শত ঘরের প্রাণ।
কে বলবে আজ তারা সন্ত্রাসী?
তারা তো শুধুই বাঁচতে চায়, একটু স্বাধীন হাওয়ায়।
কিন্তু বিশ্ব চুপ— নিস্তব্ধ চারপাশ,
মানবতা আজ গোরস্থানে, দম্ভে ঝলসে গেল আশ্বাস।
মসজিদে পড়ে ছিল রক্তমাখা কুরআন,
আযান থেমে যায়, যখন বাজে বিমান।
তবু সাহস হারায় না তারা, গাযার বীর সন্তান,
তাক্বওয়ার তলোয়ার হাতে— শহীদির সম্মান।
হে মুসলিম, তুমি কি চুপ থাকবে আরও?
গাযা ডাকছে, বলছে, ‘তোমরা কোথাও যাও?’
উঠো, জাগো, কুরআনের সৈনিক হও,
দু‘আ করো, পাশে দাঁড়াও, আল্লাহর কাছে ঝুঁকে যাও।
-হাফেয রফীকুল ইসলাম বিন আমজাদ
রামশার কাজীপুর, নলডাঙ্গা, নাটোর।