মিয়ানমারের রাখাইন রাজ্যে রোহিঙ্গা মুসলিমদের ওপর কঠোর দমন-পীড়ন চালাচ্ছে জাতিগত সশস্ত্র গোষ্ঠী আরাকান আর্মি। যুক্তরাষ্ট্রভিত্তিক মানবাধিকার সংস্থা হিউম্যান রাইটস ওয়াচ (এইচআরডব্লিউ) ২০২৫ সালের ২৮ জুলাই এক বিবৃতিতে এ তথ্য জানায়। সংস্থাটি জানায়, আরাকান আর্মির দখলে থাকা এলাকায় রোহিঙ্গাদের চলাচলে কড়াকড়ি, বাড়িঘর লুটপাট, আটক, বাধ্যতামূলক শ্রম এবং জোরপূর্বক বাহিনীতে ভর্তির মতো নানাবিধ নিপীড়ন চলছে। মিয়ানমার সেনাবাহিনীর মতো তারাও রোহিঙ্গাদের বিরুদ্ধে মানবতাবিরোধী অপরাধে লিপ্ত।
এইচআরডব্লিউর এশিয়া পরিচালক এলেইন পিয়ারসন বলেন, ‘আরাকান আর্মিও সেনাবাহিনীর মতোই বৈষম্যমূলক দমননীতি অনুসরণ করছে, যা আন্তর্জাতিক আইনের লঙ্ঘন’। ২০২৩ সালের নভেম্বর থেকে সংঘর্ষ বেড়ে যাওয়ার পর আরাকান আর্মি কিছু এলাকা নিয়ন্ত্রণে নিলেও রোহিঙ্গাদের অবস্থা আরও শোচনীয় হয়ে ওঠে। অভিযোগ রয়েছে, রোহিঙ্গাদের কৃষিজমি, বাড়িঘর, গবাদিপশু এমনকি কবরস্থানও দখল করে নিচ্ছে তারা। কিছু এলাকায় কবরস্থান ধ্বংস করে মরদেহ ধানক্ষেতে দাফনের নির্দেশও দিয়েছে। এদিকে রোহিঙ্গা সশস্ত্র গোষ্ঠীগুলো, বিশেষ করে আরসা, আবারও আরাকান আর্মির বিরুদ্ধে সংঘাতে জড়িয়েছে। দুই পক্ষের মধ্যে চলমান সংঘাতে রোহিঙ্গারা চরম নিরাপত্তাহীনতায় ভুগছেন।
এইচআরডব্লিউ জানায়, ২০২৪ সালের মে থেকে এ পর্যন্ত কক্সবাজারে নতুন করে ১ লাখ ২০ হাজারের বেশি রোহিঙ্গা আশ্রয় নিয়েছে, যাদের অনেকেই কোনো সহায়তা পাচ্ছেন না। সংস্থাটি মনে করে, এখনো নিরাপদ ও মর্যাদাপূর্ণ প্রত্যাবাসনের পরিবেশ নেই। তাই আন্তর্জাতিক সম্প্রদায়কে এ বিষয়ে কার্যকর পদক্ষেপ নিতে হবে।