এলো এলোরে এলো মাহে রামাযান,
এই মাসে নাযিল হয়েছে পবিত্র কুরআন।
এটা সঠিক পথের দিশারী হেদায়াতের প্রমাণ,
যা ন্যায়-অন্যায়ের পার্থক্যকারী দ্বন্দ্বের সমাধান।
মাহে রামাযান যখন তোমাদের মাঝে আসে,
খুশীভরে ছিয়াম পালন করো তখন সেই মাসে।
গর্ভবতী, দুগ্ধপোষ্য শিশুর মা, অসুস্থ, মুসাফির হলে তবে-
অন্য যেকোনো সময় সংখ্যা এটার পূর্ণ করতে হবে।
ছিয়াম পালনে যদি কেউ তোমরা না থাকো সামর্থ্যবান,
প্রতি ছিয়ামের পরিবর্তে একজন দরিদ্রকে করবে খাদ্য দান।
নির্দিষ্ট কারণ ছাড়া যদি কেউ ছিয়াম ভঙ্গ করে,
সমপরিমাণ ছিয়াম ওই ব্যক্তি পালন করবে পরে।
ছিয়ামের রাত্রিতে স্ত্রী সহবাসে তোমরা হক্বদার,
সে সময় পর্যন্ত তোমরা করে যাও পানাহার-
রাত্রির কৃষ্ণরেখা দূর হয়ে ঊষার শুভ্ররেখা-
যে পর্যন্ত তোমাদের কাছে স্পষ্ট না যায় দেখা।
ছিয়াম ভঙ্গ করবে তখন, যখন প্রবেশিত হবে রাতে,
আর তোমাদের মসজিদে ই‘তিকাফকালীন অবস্থাতে-
স্ত্রী সহবাস করো না; তবে জরুরী কারণে করা যাবে দেখা,
এগুলো হলো মহান আল্লাহর চিহ্নিত সীমারেখা।
ছিয়াম মানে যত হারাম কর্ম, কথা, উপার্জন ত্যাগ করা,
গীবত, অপবাদ, হিংসা, মিথ্যা, শিরক, বিদ‘আত ছাড়া।
অন্যদেরকে ইফতার করাও হলেও একটু খেজুর পানি,
ছাদাক্বা করো কবুল করবে আল্লাহ মেহেরবান জানি।
আল-কুরআন মাজীদ নাযিল হয়েছে ক্বদরের রাতে,
পাবে তাকে মাহে রামাযানের শেষ দশকের বিজোড়েতে।
লায়লাতুল ক্বদর সহস্র মাস অপেক্ষা শ্রেষ্ঠ রাত,
কী মহিমান্বিত রজনি তুলনা মিলে না তার।
প্রতি কর্মে ফেরেশতাগণ ও জিবরীল e সে রাতে-
মহান আল্লাহর অনুমতিক্রমে নেমে আসে পৃথিবীতে।
ঊষার আবির্ভাব পর্যন্ত সে রজনি শান্তিপূর্ণ, নিরাপত্তা চান,
নিশ্চয়ই তিনি অতিক্ষমাশীল, অতিদয়ালু, মহা অনুগ্রহবান।
এই মাসে দয়াময় আল্লাহ শয়তানকে করেন শিকলবন্দি,
এক্ষুনি তোমাদের গুনাহরাশি ক্ষমা চেয়ে নাও জলদি।
আব্দুল বারী
নন্দীগ্রাম, বগুড়া।