উত্তর: সব যাদুই যাদু হিসেবে গণ্য। কোনো যাদুকে কালো নামে পৃথক করা যাবে না। যাদু-টোনা, বশীকরণ, বান মারা তাবিজ করা বা কুফুরী শক্তি প্রয়োগ করাকে কালো যাদু বা ব্ল্যাক মাজিক বলা হয়। এসব হচ্ছে শয়তানের কাজ। মহান আল্লাহ বলেন, ‘এবং সুলায়মানের রাজত্বকালে শয়তানরা যা পাঠ করত, তারা তা অনুসরণ করত, মূলত সুলাইমান কুফুরী করেনি বরং শয়তানরাই কুফুরি করেছিল, তারা মানুষকে যাদু শিক্ষা দিত’ (আল বাকারা, ২/১০২)। আবূ মূসা রযিয়াল্লাহু আনহু থেকে বর্ণিত, রাসূল ছাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়াসাল্লাম বলেছেন, ‘তিন শ্রেণির মানুষ জান্নাতে যাবে না। ১. মদ্যপানকারী ২. আত্মীয়তার সম্পর্ক ছিন্নকারী ৩. যাদুকে বিশ্বাসকারী (মুসতাদরাক আলা আস-ছহীহাইন, হা/৭২৩৪)। সাতটি বড় বড় ধ্বংসাত্মক পাপের মধ্যে যাদু একটি। আবূ হুরায়রা রযিয়াল্লাহু আনহু থেকে বর্ণিত রাসূলুল্লাহ ছাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়াসাল্লাম বলেন, ‘তোমরা সাতটি ধ্বংসকারী বিষয় থেকে দূরে থাকো। জিজ্ঞেস করা হলো হে আল্লাহর রাসূল! সেগুলো কি কি? তিনি বলেন, ‘আল্লাহর সাথে কাওকে শরীক করা, যাদু করা...’ (ছহীহ বুখারী, হা/২৬১৫; ছহীহ মুসলিম, হা/৮৯)। সুতরাং এসব কাজ থেকে দূরে থাকা ফরয। উল্লেখ্য যে, মানুষের প্রতি কালো যাদুর প্রভাব পড়ে থাকে। যেমন রাসূল ছাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়াসাল্লাম-কে ইহুদী লাবিদ ইবনুল আসাম যাদু করে ছিল। যার প্রভাবে তিনি অনেক বিষয় ভুলে যেতেন। যার প্রেক্ষিতে সূরা ফালাক্ব ও সূরা নাস নাযিল হয়ে ছিল (ছহীহ বুখারী, হা/৩০৯৫)। যাদুর ব্যাপারে আমাদের আক্বীদা হচ্ছে: মহান আল্লাহ বলেন, ‘...অথচ তারা তার মাধ্যমে কারো কোন ক্ষতি করতে পারত না আল্লাহর অনুমতি ছাড়া (আল বাকারা, ২/১০২)।
প্রশ্নকারী : সিয়াম
আক্কেলপুর, জয়পুরহাট।