কুরআন ও সুন্নাহকে আঁকড়ে ধরার এক অনন্য বার্তা

প্রশ্ন (১৭): কবর যিয়ারত করার সময় কি কোনো আলাদা দু‘আ করতে হবে নাকি এমনিই কবর দেখব আর চলে আসব?

উত্তর: কবর যিয়ারত করা রাসূল ছাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়াসাল্লাম-এর সুন্নাত। বুরায়দা রযিয়াল্লাহু আনহু তার পিতা থেকে বর্ণনা করেন, তিনি বলেন, রাসূলুল্লাহ ছাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়াসাল্লাম বলেছেন, ‘আমি তোমাদেরকে কবর যিয়ারত করতে নিষেধ করতাম। এখন তোমরা কবর যিয়ারত করতে পারো’ (ছহীহ মুসলিম, হা/২১৫০)। অন্য বর্ণনায় আছে, রাসূলুল্লাহ ছাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়াসাল্লাম বলেছেন, ‘তোমরা কবর যিয়ারত করো। কেননা তা তোমাদেরকে আখেরাত স্মরণ করিয়ে দেয়’ (ইবনু মাজাহ, হা/১৫৬৯)। কবর যিয়ারতের উদ্দেশ্য হলো কবরবাসীর জন্য ক্ষমা ও মাগফিরাতের দু‘আ করা, আখেরাতকে স্মরণ করা এবং আখেরাতের জন্য প্রস্তুতি গ্রহণ করা। কবর যিয়ারতের সময় সেখানে গিয়ে সালাম দিতে হবে। আবূ হুরায়রা রযিয়াল্লাহু আনহু থেকে বর্ণিত, একবার রাসূলুল্লাহ ছাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়াসাল্লাম একটি কবরস্থানে এসে বললেন, ‘তোমাদের উপর শান্তি বর্ষিত হোক। হে কবরবাসী মুমিনগণ! ইনশাআল্লাহ আমরাও তোমাদের সাথে এসে মিলব’ (ছহীহ মুসলিম, হা/৪৭২)। তারপর কবরের পাশে দাঁড়িয়ে হাত তুলে দু‘আ করবে। আয়েশা রাযিয়াল্লাহু আনহা বলেন, যেতে যেতে তিনি জান্নাতুল বাক্বীতে (কবরস্থানে) পৌঁছলেন। তথায় তিনি দীর্ঘ সময় দাঁড়িয়ে থাকলেন। অতঃপর তিনি তিনবার হাত উঠিয়ে দু‘আ করলেন। এবার গৃহের দিকে ফিরে রওয়ানা করলে আমিও রওয়ানা হলাম (ছহীহ মুসলিম, হা/২১৪৬)। উল্লেখ যে, দলবদ্ধভাবে কবরের পাশে গিয়ে বিভিন্ন দু‘আ (সূরা ফাতিহা, দরূদ, নাস, ইখলাছ) পড়ে শেষে সকলে মিলে হাত তুলে দু‘আ করা বিদআত। এছাড়াও কবরের পাশে ছালাত আদায় করা যাবে না বা দু‘আর জন্য, কুরআন পড়ার জন্য বসা যাবে না। ‎আবূ হুরায়রা রযিয়াল্লাহু আনহু থেকে বর্ণিত, তিনি বলেন, রাসূলুল্লাহ ছাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়াসাল্লাম বলেছেন, ‘তোমাদের কারো জ্বলন্ত অঙ্গারের উপর বসে থাকা এবং তাতে তার কাপড় পুড়ে গিয়ে শরীরের চামড়া দগ্ধীভূত হওয়া কবরের উপর বসার চেয়ে উত্তম’ (ছহীহ মুসলিম, হা/২১৩৮)। কবরে তওয়াফ করা, কবরবাসীর কাছে কিছু সাহায্য চাওয়া, সেখানে সিজদা করা, নির্দিষ্ট কোনো সময়ের যিয়ারত করা, তাদের জন্য যবেহ করা ইত্যাদি বড় শিরকের অন্তর্ভুক্ত।

প্রশ্নকারী : দ্বীন ইসলাম

আসাম, ভারত।


Magazine